আদালত স্থানান্তর প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে খালেদার রিট

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর আদালত স্থানান্তর করা গত ১২ মে’র প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। গতকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়েরের পর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি খায়রুল আলমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটির শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন। আদালতে খালেদা জিয়ার রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এর আগে গত ২১ মে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে একটি আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু তার জবাব না পাওয়ায় এ রিটটি করা হয় বলে তিনি জানান। নোটিশে দাবি করা হয়, গত ১২ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপন অনুসারে খালেদা জিয়ার মামলা শুনানির জন্য পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালত (বিশেষ জজ আদালত-৯) স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যেকোন বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারে না। ফলে এই প্রজ্ঞাপন সংবিধানবিরোধী।

একইসঙ্গে কোথায় কোথায় কারাগার স্থানান্তরিত হতে পারে তা ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে দেয়া আছে। ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে কোথাও উল্লেখ নেই, কারাগারের মধ্যে আদালত স্থাপন হতে পারে। সুতরাং সংবিধান ও ফৌজদারি আইনের বিরুদ্ধে সরকার অবস্থান নিয়েছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

সোমবার, ২৭ মে ২০১৯ , ১৩ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ২১ রমজান ১৪৪০

আদালত স্থানান্তর প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে খালেদার রিট

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর আদালত স্থানান্তর করা গত ১২ মে’র প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। গতকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়েরের পর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি খায়রুল আলমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটির শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন। আদালতে খালেদা জিয়ার রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এর আগে গত ২১ মে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে একটি আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু তার জবাব না পাওয়ায় এ রিটটি করা হয় বলে তিনি জানান। নোটিশে দাবি করা হয়, গত ১২ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপন অনুসারে খালেদা জিয়ার মামলা শুনানির জন্য পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালত (বিশেষ জজ আদালত-৯) স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যেকোন বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারে না। ফলে এই প্রজ্ঞাপন সংবিধানবিরোধী।

একইসঙ্গে কোথায় কোথায় কারাগার স্থানান্তরিত হতে পারে তা ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে দেয়া আছে। ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে কোথাও উল্লেখ নেই, কারাগারের মধ্যে আদালত স্থাপন হতে পারে। সুতরাং সংবিধান ও ফৌজদারি আইনের বিরুদ্ধে সরকার অবস্থান নিয়েছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।