প্রথম খেলায় ধরাশায়ী পাকিস্তান

বড় জয়ে দ্বাদশ বিশ্বকাপ মিশন শুরু করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গতকাল ট্রেন্ট ব্রিজে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে দুরন্তভাবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরু করেছে স্বঘোষিত ফেবারিট ক্যারিবিয়ান দলটি। ওয়ানডে এবং টি-২০ ক্রিকেটের বিশ্বনন্দিত ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলের জন্যই এবারের বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিততে চায় এ ঘোষণা দিয়েই তারা মাঠে নেমেছে। প্রথম ম্যাচে চমৎকার খেলে পাকিস্তানকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বুঝিয়ে দিয়েছে তারা এমনি এমনিই নিজেদের ফেভারিট হিসেবে ঘোষণা দেয়নি। তাদের সামর্থ আছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। অন্তত প্রথম ম্যাচে তারা সেভাবেই খেলেছে। পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ১০৫ রানে অল আউট করে দেয়ার পর নিজেরা মাত্র ১৩.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান করে জয়ী হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা যেমন তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন ঠিক তেমনি দারুণ ব্যাটিং করেছেন ব্যাটসম্যানরাও। দারুণ বোলিং করে চার উইকেট দখল করা ওশান থমাস হয়েছেন ম্যাচসেরা।

ক্রিস গেইল, সাই হোপ, হেটমায়ার, রাসেলদের মতো আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানদের নিয়ে গড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিং লাইনের সামনে প্রতিপক্ষের বোলারদের যতই কারিশমা থাকুক না কেন মাত্র ১০৫ রান নিয়ে লড়াই করা যায়না। পাকিস্তানিরাও পারেনি। ওভার প্রতি মাত্র ২ রানের মতো করে প্রয়োজন হওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা দেখেশুনে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছে। তাদের রান সংগ্রহের কোন তাড়া না থাকায় মনে হয়েছিল গেইলরা হয়তো ততটা বিধ্বংসী ব্যাটিং করবেননা। কিন্তু ‘গেইল এমন একজন ব্যাটসম্যান যিনি ধীর গতিতে রান সংগ্রহ করতে পারেন না। তাই তিনি দ্বিতীয় ওভারেই শুরু করেন তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। হাসান আলীকে মারেন দুটি বাউন্ডারি। তাড়াহুড়া না থাকলেও দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আউট হন সাই হোপ (১১)। মোহাম্মদ আমিরের রাইজিং ডেলিভারি ঠিকমতো টাইমিং করতে না পারায় সেটি ক্যাচ হিসেবে যায় হাফিজের কাছে। তিনি সহজ ক্যাচটি ধরতে ভুল করেননি। হোপকে আউট করে পাকিস্তানিরা সাময়িকভাবে উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন। কিন্তু গেইল সে অবস্থা বেশিক্ষণ থাকতে দেননি। তিনি ঠিকই চেষ্টা করেছেন তার স্বভাবসূলভ ব্যাটিং করতে। যে কারণে রানের গতি থেমে থাকেনি। কিন্তু আমির ঠিকই আঘাত হেনেছেন পরের ওভারেই। ওয়ান ডাউনে ব্যাটিং করতে নামা ড্যারেন ব্রাভোকে তিনি ক্যাচ বানান বাবর আজমের। আমিরের দারুণ বোলিং পাকিস্তানিদেরও আশাবাদী করে তোলে। কিন্ত গেইলের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং সেই আশাকে দূরাশায় পরিণত করে। যদিও মোহাম্মদ আমির ঠিকই গেইলকে আউট করেছিলেন। কিন্তু আউট হওয়ার আগে গেইল ৩৪ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে দলকে জয়ের অনেক কাছে পৌঁছে দেন। বাকি কাজ সারেন নিকোলাস পুরান। ওহাব রিয়াজের বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দেয়া পুরান অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে। তিনি এ রান করতে বল খেলেছেন ১৯টি। চার মেরেছেন চারটি এবং ছক্কা দুটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পতন হওয়া তিন উইকেটই দখল করেন মোহাম্মদ আমির। এজন্য তিনি ব্যয় করেন ২৬ রান।

টসে জিতে প্রথমে বোলিং করতে নেমেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বুঝিয়ে দিয়েছে কেন তারা এবার নিজেদেরকে ফেবারিট হিসেবে মনে করছে। সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের বিবেচনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফেভারিট না হলেও ক্রিস গেইল এবং আন্দ্রে রাসেলদের অন্তর্ভুক্তি যে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে তা বোলিংয়েই বোঝা গেছে। পাকিস্তান দল ইংল্যান্ডে যাওয়ার পর জয়ের মুখ না দেখলেও ব্যাটিংয়ে মোটামুটি ভালো করেছে প্রতিটি ম্যাচেই। তাদের ব্যাটিং দেখেই অনেকে পাকিস্তানকেও ফেভারিটদের তালিকায় রেখেছেন। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস ও বাউন্সের মুখে প্রথম দিনই মুখ থুবড়ে পড়েছে পাকিস্তানিরা। ৫০ ওভারের ম্যাচে তারা ব্যাটিং করতে পেরেছে মাত্র ২১.৪ ওভার। অল আউট হয়েছে ১০৫ রানে। বিশ্বকাপে এটা তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হয় বলতে গেলে খুব একটা ভাল হয়নি। পাকিস্তান প্রথম তিন ওভারে ১৭ রান করে ফেলে। যদিও তৃতীয় ওভারের শেষ বলে তারা হারায় ইমাম উল হকের উইকেট। পতনের শুরুটা হয় সেখান থেকেই। কটরেলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। নতুন বলে অপর প্রান্ত থেকে ধস নামান অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডার। তার পেস ও বাউন্সে দিশেহারা হয়ে আউট হয় পাকিস্তানি তিন ব্যাটসম্যান। কম যাননি ওশান থমাস। এ পেসারের বলে আউট হন আরও চার জন। অল রাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলও উইকেটে ভাগ বসান। তিনি ৩ ওভার বোলিং করে মাত্র ৪ রান দিয়ে দখল করেন দুই উইকেট। একটি দল যখন মাত্র ১০৫ রানে অল আউট হয় তখন বুঝতে বাকি থাকে না বোলারদের দাপট কতটা নির্মম ছিল। তার মধ্যেও হোল্ডারের বলে পাকিস্তানিরা রান তুলেছিল ওভার প্রতি ৮.৪০ করে। কিন্তু সঙ্গে তিন উইকেটের পতনই পাকিস্তানিদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। পাকিস্তানিদের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি ২২ রান করে তুলেছেন ফখর জামান এবং বাবর আজম। এছাড়া মোহাম্মদ হাফিজ করে ১৬ রান। ৮৩ রানের মাথায় ৯ উইকেটের পতন ঘটলে মনে হয়েছিল পাকিস্তানের রান ১০০ অতিক্রম করতে পারবেনা। কিন্তু বোলার ওয়াহাব রিয়াজ ১৮ রান করলে তাদের ইনিংসে জমা হয় ১০৫ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওশান থমাস ২৭ রানে ৪টি, হোল্ডার ৪২ রানে ৩টি এবং রাসেল ৪ রানে ২টি উইকেট লাভ করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : পাকিস্তান ২১.৪ ওভারে ১০৫ (ইমাম ২, ফখর ২২, বাবর ২২, হারিস ৮, সরফরাজ ৮, হাফিজ ১৬, ওয়াসিম ১, শাদাব ০, হাসান ১, ওয়াহাব ১৮, আমির ৩*; কটরেল ৪-০-১৮-১, হোল্ডার ৫-০-৪২-৩, রাসেল ৩-১-৪-২, ব্র্যাথওয়েট ৪-০-১৪-০, টমাস ৫.৪-০-২৭-৪)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩.৪ ওভারে ১০৮/৩ (গেইল ৫০, হোপ ১১, ব্রাভো ০, পুরান ৩৪*, হেটমায়ার ৭*; আমির ৬-০-২৬-৩, হাসান ৪-০-৩৯-০, ওয়াহাব ৩.৪-১-৪০-০)। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ : ওশানে টমাস।

শনিবার, ০১ জুন ২০১৯ , ১৮ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ২৬ রমজান ১৪৪০

প্রথম খেলায় ধরাশায়ী পাকিস্তান

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

নিয়মিত বিরতিতে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের উইকেট তুলে নিয়ে উল্লাসে মাতোয়ারা উইন্ডিজের বোলাররা

বড় জয়ে দ্বাদশ বিশ্বকাপ মিশন শুরু করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গতকাল ট্রেন্ট ব্রিজে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে দুরন্তভাবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরু করেছে স্বঘোষিত ফেবারিট ক্যারিবিয়ান দলটি। ওয়ানডে এবং টি-২০ ক্রিকেটের বিশ্বনন্দিত ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলের জন্যই এবারের বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিততে চায় এ ঘোষণা দিয়েই তারা মাঠে নেমেছে। প্রথম ম্যাচে চমৎকার খেলে পাকিস্তানকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বুঝিয়ে দিয়েছে তারা এমনি এমনিই নিজেদের ফেভারিট হিসেবে ঘোষণা দেয়নি। তাদের সামর্থ আছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। অন্তত প্রথম ম্যাচে তারা সেভাবেই খেলেছে। পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ১০৫ রানে অল আউট করে দেয়ার পর নিজেরা মাত্র ১৩.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান করে জয়ী হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা যেমন তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন ঠিক তেমনি দারুণ ব্যাটিং করেছেন ব্যাটসম্যানরাও। দারুণ বোলিং করে চার উইকেট দখল করা ওশান থমাস হয়েছেন ম্যাচসেরা।

ক্রিস গেইল, সাই হোপ, হেটমায়ার, রাসেলদের মতো আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানদের নিয়ে গড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিং লাইনের সামনে প্রতিপক্ষের বোলারদের যতই কারিশমা থাকুক না কেন মাত্র ১০৫ রান নিয়ে লড়াই করা যায়না। পাকিস্তানিরাও পারেনি। ওভার প্রতি মাত্র ২ রানের মতো করে প্রয়োজন হওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা দেখেশুনে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছে। তাদের রান সংগ্রহের কোন তাড়া না থাকায় মনে হয়েছিল গেইলরা হয়তো ততটা বিধ্বংসী ব্যাটিং করবেননা। কিন্তু ‘গেইল এমন একজন ব্যাটসম্যান যিনি ধীর গতিতে রান সংগ্রহ করতে পারেন না। তাই তিনি দ্বিতীয় ওভারেই শুরু করেন তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। হাসান আলীকে মারেন দুটি বাউন্ডারি। তাড়াহুড়া না থাকলেও দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আউট হন সাই হোপ (১১)। মোহাম্মদ আমিরের রাইজিং ডেলিভারি ঠিকমতো টাইমিং করতে না পারায় সেটি ক্যাচ হিসেবে যায় হাফিজের কাছে। তিনি সহজ ক্যাচটি ধরতে ভুল করেননি। হোপকে আউট করে পাকিস্তানিরা সাময়িকভাবে উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন। কিন্তু গেইল সে অবস্থা বেশিক্ষণ থাকতে দেননি। তিনি ঠিকই চেষ্টা করেছেন তার স্বভাবসূলভ ব্যাটিং করতে। যে কারণে রানের গতি থেমে থাকেনি। কিন্তু আমির ঠিকই আঘাত হেনেছেন পরের ওভারেই। ওয়ান ডাউনে ব্যাটিং করতে নামা ড্যারেন ব্রাভোকে তিনি ক্যাচ বানান বাবর আজমের। আমিরের দারুণ বোলিং পাকিস্তানিদেরও আশাবাদী করে তোলে। কিন্ত গেইলের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং সেই আশাকে দূরাশায় পরিণত করে। যদিও মোহাম্মদ আমির ঠিকই গেইলকে আউট করেছিলেন। কিন্তু আউট হওয়ার আগে গেইল ৩৪ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে দলকে জয়ের অনেক কাছে পৌঁছে দেন। বাকি কাজ সারেন নিকোলাস পুরান। ওহাব রিয়াজের বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দেয়া পুরান অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে। তিনি এ রান করতে বল খেলেছেন ১৯টি। চার মেরেছেন চারটি এবং ছক্কা দুটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পতন হওয়া তিন উইকেটই দখল করেন মোহাম্মদ আমির। এজন্য তিনি ব্যয় করেন ২৬ রান।

টসে জিতে প্রথমে বোলিং করতে নেমেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বুঝিয়ে দিয়েছে কেন তারা এবার নিজেদেরকে ফেবারিট হিসেবে মনে করছে। সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের বিবেচনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফেভারিট না হলেও ক্রিস গেইল এবং আন্দ্রে রাসেলদের অন্তর্ভুক্তি যে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে তা বোলিংয়েই বোঝা গেছে। পাকিস্তান দল ইংল্যান্ডে যাওয়ার পর জয়ের মুখ না দেখলেও ব্যাটিংয়ে মোটামুটি ভালো করেছে প্রতিটি ম্যাচেই। তাদের ব্যাটিং দেখেই অনেকে পাকিস্তানকেও ফেভারিটদের তালিকায় রেখেছেন। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস ও বাউন্সের মুখে প্রথম দিনই মুখ থুবড়ে পড়েছে পাকিস্তানিরা। ৫০ ওভারের ম্যাচে তারা ব্যাটিং করতে পেরেছে মাত্র ২১.৪ ওভার। অল আউট হয়েছে ১০৫ রানে। বিশ্বকাপে এটা তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হয় বলতে গেলে খুব একটা ভাল হয়নি। পাকিস্তান প্রথম তিন ওভারে ১৭ রান করে ফেলে। যদিও তৃতীয় ওভারের শেষ বলে তারা হারায় ইমাম উল হকের উইকেট। পতনের শুরুটা হয় সেখান থেকেই। কটরেলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। নতুন বলে অপর প্রান্ত থেকে ধস নামান অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডার। তার পেস ও বাউন্সে দিশেহারা হয়ে আউট হয় পাকিস্তানি তিন ব্যাটসম্যান। কম যাননি ওশান থমাস। এ পেসারের বলে আউট হন আরও চার জন। অল রাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলও উইকেটে ভাগ বসান। তিনি ৩ ওভার বোলিং করে মাত্র ৪ রান দিয়ে দখল করেন দুই উইকেট। একটি দল যখন মাত্র ১০৫ রানে অল আউট হয় তখন বুঝতে বাকি থাকে না বোলারদের দাপট কতটা নির্মম ছিল। তার মধ্যেও হোল্ডারের বলে পাকিস্তানিরা রান তুলেছিল ওভার প্রতি ৮.৪০ করে। কিন্তু সঙ্গে তিন উইকেটের পতনই পাকিস্তানিদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। পাকিস্তানিদের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি ২২ রান করে তুলেছেন ফখর জামান এবং বাবর আজম। এছাড়া মোহাম্মদ হাফিজ করে ১৬ রান। ৮৩ রানের মাথায় ৯ উইকেটের পতন ঘটলে মনে হয়েছিল পাকিস্তানের রান ১০০ অতিক্রম করতে পারবেনা। কিন্তু বোলার ওয়াহাব রিয়াজ ১৮ রান করলে তাদের ইনিংসে জমা হয় ১০৫ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওশান থমাস ২৭ রানে ৪টি, হোল্ডার ৪২ রানে ৩টি এবং রাসেল ৪ রানে ২টি উইকেট লাভ করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : পাকিস্তান ২১.৪ ওভারে ১০৫ (ইমাম ২, ফখর ২২, বাবর ২২, হারিস ৮, সরফরাজ ৮, হাফিজ ১৬, ওয়াসিম ১, শাদাব ০, হাসান ১, ওয়াহাব ১৮, আমির ৩*; কটরেল ৪-০-১৮-১, হোল্ডার ৫-০-৪২-৩, রাসেল ৩-১-৪-২, ব্র্যাথওয়েট ৪-০-১৪-০, টমাস ৫.৪-০-২৭-৪)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩.৪ ওভারে ১০৮/৩ (গেইল ৫০, হোপ ১১, ব্রাভো ০, পুরান ৩৪*, হেটমায়ার ৭*; আমির ৬-০-২৬-৩, হাসান ৪-০-৩৯-০, ওয়াহাব ৩.৪-১-৪০-০)। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ : ওশানে টমাস।