ঢাকায় শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টি তীব্র গরমে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর থেকে জানা গেছে, এ সময় রাজধানীতে সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ৫০ মিলিমিটার। এর মধ্যে গতকাল ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়।
মে মাসের বেশিরভাগ সময় দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম হলেও চলতি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সারাদেশেই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। আজ থেকে ৫ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের গতকাল সকালের পূর্বাভাসে জানানো হয়, ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। ঢাকাসহ রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, খুলনা, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বৃষ্টির কারণে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমবে। তবে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। বাংলাদেশ সংলগ্ন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মিজোরাম, মণিপুর, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে ৫ জুন পর্যন্ত টানা ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, মৌসুমি বায়ু আমাদের দেশে জুনের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে চলে। অনেক সময় মৌসুমি বায়ু আসার আগে বর্ষার মেঘ দেশের ভেতর আশা শুরু হয়। এখন আবহাওয়া তেমনই রয়েছে। ৩১ মে থেকে ঈদের আগে বৃষ্টির ঘনঘটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার, ০২ জুন ২০১৯ , ১৯ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ২৭ রমজান ১৪৪০
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
ঢাকায় শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টি তীব্র গরমে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর থেকে জানা গেছে, এ সময় রাজধানীতে সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ৫০ মিলিমিটার। এর মধ্যে গতকাল ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়।
মে মাসের বেশিরভাগ সময় দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম হলেও চলতি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সারাদেশেই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। আজ থেকে ৫ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের গতকাল সকালের পূর্বাভাসে জানানো হয়, ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। ঢাকাসহ রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, খুলনা, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বৃষ্টির কারণে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমবে। তবে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। বাংলাদেশ সংলগ্ন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মিজোরাম, মণিপুর, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে ৫ জুন পর্যন্ত টানা ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, মৌসুমি বায়ু আমাদের দেশে জুনের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে চলে। অনেক সময় মৌসুমি বায়ু আসার আগে বর্ষার মেঘ দেশের ভেতর আশা শুরু হয়। এখন আবহাওয়া তেমনই রয়েছে। ৩১ মে থেকে ঈদের আগে বৃষ্টির ঘনঘটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।