মৌলভীবাজারের আইনজীবী আবিদা সুলতানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় রিমান্ডে থাকা বাড়ির ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম তানভীর আলম একাই এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মৌলভীবাজারের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম গতকাল বিকেলে মৌলভীবাজার মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বড়লেখার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হরিদাস কুমারের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামি তানভীর আলম বলেছে, আইনজীবী আবিদা সুলতানা ও তার মধ্যে গত বেশ কিছু দিন ধরেই ঝগড়া বিবাদ হয়ে আসছে এবং আইনজীবী আবিদা সুলতানা তাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলে। এই ঝগড়া বিবাদের জের ও বাড়ি ছাড়ার তাগাদা দেয়ার প্রেক্ষিতে তানভীর আলম আবিদা সুলতানার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ঘটনার দিনও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে তানভীর আলম পানির ফিল্টারের ভেতরে থাকা পাথর দিয়ে আবিদা সুলতানার মাথায় আঘাত করে এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এতে রক্তপাত শুরু হলে কাপড় দিয়ে বেঁধে রক্তপাত বন্ধের চেষ্টা করে। ঝগড়ার সময় আবিদা সুলতানা তাকে ভন্ড ইমাম বলায় ক্ষোভ মেটাতে টেনে নিহতের জামা কাপড় ছিঁড়েছে। ইমাম তানভীর আলম একাই এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে।
পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ঘটনার সময় তানভীর আলমের মা বাড়ির বাইরে এবং স্ত্রী মাদ্রাসায় ছিল বলে তারা দাবি করেছে। ঘটনার পর উভয়ে বাড়িতে আসে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। নিহত আইনজীবী আবিদা সুলতানার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি গত ২৮ মে এবং আরেকটি ২৯ মে শ্রীমঙ্গলের বরুনা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। তানভীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছিল শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরুনা মাদ্রাসা থেকে। তার স্বীকারোক্তি মতে মোবাইল ফোন দুটিতে ব্যবহৃত সিম আইনজীবী আবিদা সুলতানার ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ এসব তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। এখনও এ হত্যাকান্ডের মোটিব সম্পর্কে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে হত্যাকান্ডটি ঘটেছে গত ২৬ মে দুপুর প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে রোববার সকালে আইনজীবী আবিদা সুলতানা বিয়ানীবাজারের তার ছোট বোনের বাড়ি থেকে মৌলভীবাজার আসার পথে পৈত্রিক বাড়িতে যায় কিছু জিনিস আনার জন্য। সন্ধ্যা অবদি সে মৌলভীবাজারের শহরের বাসায় না পৌঁছলে পরিবারের লোকজন বাড়িতে তাকে খুঁজতে যায়। সেখানে তালাবদ্ধ ঘর থেকে নারী আইনজীবী আবিদা সুলতানার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রবিবার, ০২ জুন ২০১৯ , ১৯ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ২৭ রমজান ১৪৪০
জেলা বার্তা পরিবেশক, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারের আইনজীবী আবিদা সুলতানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় রিমান্ডে থাকা বাড়ির ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম তানভীর আলম একাই এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মৌলভীবাজারের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম গতকাল বিকেলে মৌলভীবাজার মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বড়লেখার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হরিদাস কুমারের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামি তানভীর আলম বলেছে, আইনজীবী আবিদা সুলতানা ও তার মধ্যে গত বেশ কিছু দিন ধরেই ঝগড়া বিবাদ হয়ে আসছে এবং আইনজীবী আবিদা সুলতানা তাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলে। এই ঝগড়া বিবাদের জের ও বাড়ি ছাড়ার তাগাদা দেয়ার প্রেক্ষিতে তানভীর আলম আবিদা সুলতানার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ঘটনার দিনও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে তানভীর আলম পানির ফিল্টারের ভেতরে থাকা পাথর দিয়ে আবিদা সুলতানার মাথায় আঘাত করে এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এতে রক্তপাত শুরু হলে কাপড় দিয়ে বেঁধে রক্তপাত বন্ধের চেষ্টা করে। ঝগড়ার সময় আবিদা সুলতানা তাকে ভন্ড ইমাম বলায় ক্ষোভ মেটাতে টেনে নিহতের জামা কাপড় ছিঁড়েছে। ইমাম তানভীর আলম একাই এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে।
পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ঘটনার সময় তানভীর আলমের মা বাড়ির বাইরে এবং স্ত্রী মাদ্রাসায় ছিল বলে তারা দাবি করেছে। ঘটনার পর উভয়ে বাড়িতে আসে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। নিহত আইনজীবী আবিদা সুলতানার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি গত ২৮ মে এবং আরেকটি ২৯ মে শ্রীমঙ্গলের বরুনা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। তানভীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছিল শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরুনা মাদ্রাসা থেকে। তার স্বীকারোক্তি মতে মোবাইল ফোন দুটিতে ব্যবহৃত সিম আইনজীবী আবিদা সুলতানার ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ এসব তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। এখনও এ হত্যাকান্ডের মোটিব সম্পর্কে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে হত্যাকান্ডটি ঘটেছে গত ২৬ মে দুপুর প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে রোববার সকালে আইনজীবী আবিদা সুলতানা বিয়ানীবাজারের তার ছোট বোনের বাড়ি থেকে মৌলভীবাজার আসার পথে পৈত্রিক বাড়িতে যায় কিছু জিনিস আনার জন্য। সন্ধ্যা অবদি সে মৌলভীবাজারের শহরের বাসায় না পৌঁছলে পরিবারের লোকজন বাড়িতে তাকে খুঁজতে যায়। সেখানে তালাবদ্ধ ঘর থেকে নারী আইনজীবী আবিদা সুলতানার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।