বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করবে মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ। এছাড়াও সেখানে রি-হায়ারিং কর্মসূচিতে নিবন্ধিত যেসব বাংলাদেশি ভিসা পাননি এবং যারা দালালের প্রতারণার শিকার হয়েছেন, তাদেরকে ভিসা দেবে মালয়েশিয়ান সরকার। গতকাল বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে একথা জানান মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিরা।

যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন. মালয়েশিয়ায় নিয়োজিত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম, ডেপুটি হাইকমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ, দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম, প্রথম সচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, দ্বিতীয় সচিব ফরিদ আহমদ, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক সেলিম রেজা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ফজলুল করিম ও উপ-সচিব আবুল হোসেনসহ আইন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন করে কর্মকর্তা।

যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় যোগদানকারী একজন প্রতিনিধি গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে সাধারণ কর্মী নিয়োগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হবে। কারণ, বিদেশি কর্মী বাছাই, নিয়োগ এবং প্রত্যাবর্তন বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার একটি স্বাধীন কমিটি করে দিয়েছে। সেই কমিটির দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রিসভা। সুতরাং যে সিদ্ধান্ত মন্ত্রিপরিষদ নেবে সে বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সুযোগ নেই। এছাড়াও অবৈধ কর্মীদের বিষয়ে আগের অবস্থানেই আছে মালয়েশিয়া। যারা রিহায়ারিং কর্মসূচিতে নিবন্ধিত হয়েছেন কিন্তু ভিসা পাননি, দালালের প্রতারণার শিকার হয়েছেন, তারা ভিসা পাবেন। কিন্তু যারা নিবন্ধিত হননি তাদের দেশে ফিরতে হবে। তবে এ সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার জন্য দেশটির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশের দূতাবাস সংশ্লিষ্টরা।

শ্রমবাজার চালু করার বিষয়ে গত ১১ মে থেক সপ্তাহব্যাপী মালয়েশিয়া সফর করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ। সফরে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মানবসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংয়ের তারিখ ঠিক হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ২৯ ও ৩০ মে মালয়েশিয়ায় দুদেশের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার, ০২ জুন ২০১৯ , ১৯ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ২৭ রমজান ১৪৪০

বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করবে মালয়েশিয়া

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ। এছাড়াও সেখানে রি-হায়ারিং কর্মসূচিতে নিবন্ধিত যেসব বাংলাদেশি ভিসা পাননি এবং যারা দালালের প্রতারণার শিকার হয়েছেন, তাদেরকে ভিসা দেবে মালয়েশিয়ান সরকার। গতকাল বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে একথা জানান মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিরা।

যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন. মালয়েশিয়ায় নিয়োজিত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম, ডেপুটি হাইকমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ, দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম, প্রথম সচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, দ্বিতীয় সচিব ফরিদ আহমদ, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক সেলিম রেজা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ফজলুল করিম ও উপ-সচিব আবুল হোসেনসহ আইন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন করে কর্মকর্তা।

যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় যোগদানকারী একজন প্রতিনিধি গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে সাধারণ কর্মী নিয়োগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হবে। কারণ, বিদেশি কর্মী বাছাই, নিয়োগ এবং প্রত্যাবর্তন বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার একটি স্বাধীন কমিটি করে দিয়েছে। সেই কমিটির দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রিসভা। সুতরাং যে সিদ্ধান্ত মন্ত্রিপরিষদ নেবে সে বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সুযোগ নেই। এছাড়াও অবৈধ কর্মীদের বিষয়ে আগের অবস্থানেই আছে মালয়েশিয়া। যারা রিহায়ারিং কর্মসূচিতে নিবন্ধিত হয়েছেন কিন্তু ভিসা পাননি, দালালের প্রতারণার শিকার হয়েছেন, তারা ভিসা পাবেন। কিন্তু যারা নিবন্ধিত হননি তাদের দেশে ফিরতে হবে। তবে এ সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার জন্য দেশটির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশের দূতাবাস সংশ্লিষ্টরা।

শ্রমবাজার চালু করার বিষয়ে গত ১১ মে থেক সপ্তাহব্যাপী মালয়েশিয়া সফর করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ। সফরে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মানবসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংয়ের তারিখ ঠিক হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ২৯ ও ৩০ মে মালয়েশিয়ায় দুদেশের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।