পাঁচ শতাধিক জঙ্গির অর্ধেকের বেশি জামিনে বেরিয়ে গেছে

র‌্যাব মহাপরিচালক

র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর গত তিন বছরে গ্রেফতার হওয়া ৫ শতাধিক জঙ্গির অর্ধেকের বেশি জামিনে বেরিয়ে গেছে। তাই জঙ্গিদের কোনো আইনি সহায়তা না দিতে আইনজীবীদের প্রতি অনুরোধ করছি। জঙ্গিদের আইনি সহায়তা দেয়া হবে আত্মঘাতী। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদুল ফিরত উপলক্ষে র‌্যাবের পক্ষ থেকে নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

র‌্যাবের ডিজি বলেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানে ভয়াবহ ওই জঙ্গি হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ৫১২ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তাদের মধ্যে প্রায় তিনশ’জন জামিনে বেরিয়ে গেছে। যারা জামিনে বেরিয়ে গেছে, তাদের অধিকাংশই এখন পলাতক। কতিপয় আইনজীবীর মাধ্যমে তারা জামিন নিয়েছেন। তাই আমাদের অনুরোধ থাকবে, জঙ্গিদের পক্ষে আইনজীবীরা আদালতে দাঁড়াবেন না। আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো অন্য আট-দশটি অপরাধের হিসেবে জঙ্গিবাদকে দেখা যাবে না। টাকা পেলেই জঙ্গিদের পক্ষে আদালতে দাঁড়ানো যাবে না। আপনারা যাদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে জামিনের ব্যবস্থা করেছেন, তাদের আবার কোর্টে হাজির করেন, সমস্যা নেই। কিন্তু দেখেন, তারা প্রায় সবাই পলাতক। তাই আপনাদের প্রতি অনুরোধ, জঙ্গিদের বিষয়টাকে আপনারা ভিন্নভাবে দেখবেন। জামিনে পলাতক জঙ্গিরা আবারও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এ জন্য আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। জঙ্গিরা বেশিদিন এ ধরনের তৎপরতা চালাতে পারবে না।

বেনজীর আহমেদ বলেন, ঈদুল ফিতরে রাজধানীসহ সারাদেশে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রেল, নৌ ও সড়কপথে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষার বিষয়েও র‌্যাবের নজরদারি রয়েছে। এ জন্য ১৫টি ক্যাম্প ও ২৪ মনিটরিং সেল করা হয়েছে- যারা নিরাপত্তা বিষয়টি দেখভাল করছেন। ঈদযাত্রা কেন্দ্র করে রাজধানীর বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে ১৫টি অস্থায়ী ক্যাম্প করেছে র‌্যাব। এছাড়া যানজট ও দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে ২৪ মনিটরিং সেল করা হয়েছে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করার জন্য। ঈদগাহ ছাড়াও দেশজুড়ে র‌্যাবের সর্বোচ্চ সতর্কতা থাকবে। ঈদে ফাঁকা শহরগুলোয় যেন কোনো অপরাধ না ঘটে, এ বিষয়ে তাদের আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে।

সোমবার, ০৩ জুন ২০১৯ , ২০ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ২৮ রমজান ১৪৪০

পাঁচ শতাধিক জঙ্গির অর্ধেকের বেশি জামিনে বেরিয়ে গেছে

র‌্যাব মহাপরিচালক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর গত তিন বছরে গ্রেফতার হওয়া ৫ শতাধিক জঙ্গির অর্ধেকের বেশি জামিনে বেরিয়ে গেছে। তাই জঙ্গিদের কোনো আইনি সহায়তা না দিতে আইনজীবীদের প্রতি অনুরোধ করছি। জঙ্গিদের আইনি সহায়তা দেয়া হবে আত্মঘাতী। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদুল ফিরত উপলক্ষে র‌্যাবের পক্ষ থেকে নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

র‌্যাবের ডিজি বলেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানে ভয়াবহ ওই জঙ্গি হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ৫১২ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তাদের মধ্যে প্রায় তিনশ’জন জামিনে বেরিয়ে গেছে। যারা জামিনে বেরিয়ে গেছে, তাদের অধিকাংশই এখন পলাতক। কতিপয় আইনজীবীর মাধ্যমে তারা জামিন নিয়েছেন। তাই আমাদের অনুরোধ থাকবে, জঙ্গিদের পক্ষে আইনজীবীরা আদালতে দাঁড়াবেন না। আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো অন্য আট-দশটি অপরাধের হিসেবে জঙ্গিবাদকে দেখা যাবে না। টাকা পেলেই জঙ্গিদের পক্ষে আদালতে দাঁড়ানো যাবে না। আপনারা যাদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে জামিনের ব্যবস্থা করেছেন, তাদের আবার কোর্টে হাজির করেন, সমস্যা নেই। কিন্তু দেখেন, তারা প্রায় সবাই পলাতক। তাই আপনাদের প্রতি অনুরোধ, জঙ্গিদের বিষয়টাকে আপনারা ভিন্নভাবে দেখবেন। জামিনে পলাতক জঙ্গিরা আবারও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এ জন্য আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। জঙ্গিরা বেশিদিন এ ধরনের তৎপরতা চালাতে পারবে না।

বেনজীর আহমেদ বলেন, ঈদুল ফিতরে রাজধানীসহ সারাদেশে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রেল, নৌ ও সড়কপথে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষার বিষয়েও র‌্যাবের নজরদারি রয়েছে। এ জন্য ১৫টি ক্যাম্প ও ২৪ মনিটরিং সেল করা হয়েছে- যারা নিরাপত্তা বিষয়টি দেখভাল করছেন। ঈদযাত্রা কেন্দ্র করে রাজধানীর বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে ১৫টি অস্থায়ী ক্যাম্প করেছে র‌্যাব। এছাড়া যানজট ও দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে ২৪ মনিটরিং সেল করা হয়েছে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করার জন্য। ঈদগাহ ছাড়াও দেশজুড়ে র‌্যাবের সর্বোচ্চ সতর্কতা থাকবে। ঈদে ফাঁকা শহরগুলোয় যেন কোনো অপরাধ না ঘটে, এ বিষয়ে তাদের আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে।