আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ

আজ মঙ্গলবার চাঁদ ঘিরে থাকবে এক আনন্দময় অনিশ্চয়তা। কেননা আজই জানা যাবে আগামীকাল বুধবার, নাকি পরশু বৃহস্পতিবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আকাশের গায়ে ঈদের এক ফাঁলি চাঁদ বয়ে আনবে অনাবিল আনন্দ। আজ চাঁদ দেখা গেলে সরকারি ঘোষণার পরপরই বেজে উঠবে ‘ঈদ মোবারক’ ধ্বনি। আর বাজবে জাতীয় কবি নজরুলের অমর গান ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ...’। চলবে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়। জানিয়ে দেওয়া হবে ঈদের জামাতের সময়সূচি।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে আজ সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির উদ্যোগে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভা থেকে বাংলাদেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে দেয়া হবে ঈদের ঘোষণা।

ইসলাম চাঁদ দেখে রোজা শুরু ও সমাপ্তির নির্দেশনা দিয়েছে। এ ব্যাপারে হাদীসে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রেখো এবং চাঁদ দেখে রোজার মাসের সমাপ্তি কর। আর যদি মেঘের আড়ালের কারণে চাঁদ দেখা না যায়, শাবান মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করো।’ (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম) সহীহ মুসলিমের একটি রেওয়ায়াতে বলা হয়েছে, ‘যদি তোমাদের উপর মেঘ ছেয়ে যায় তাহলে ত্রিশ দিন রোজা রাখো। চাঁদ দেখার ব্যাপারে ইমামদের বক্তব্য হচ্ছে, শাওয়ালের চাঁদ দেখা প্রমাণিত হওয়ার জন্য কমপক্ষে দু’জন বিশ্বস্ত লোকের স্বাক্ষ্য অপরিহার্য। আর মেঘ মুক্ত বা পরিষ্কার আকাশ থাকলে অনেক লোকের চাঁদ দেখা শর্ত।

সারাদেশে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে কয়েকদিন আগে থেকেই। রাজধানীসহ সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনায় ঈদ উদযাপনের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে শিশু-কিশোর-তরুণ-প্রবীণ সবাই শামিল হবেন ঈদগাহ ময়দানে। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে মুসল্লিরা কোলাকুলি করবেন একে অপরের সঙ্গে। দোয়া ও মোনাজাত করবেন বিশ্ব মুসলিমের ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং মুসলিম জাহানের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনার অঙ্গীকারে।

ঈদ শব্দের অর্থ আনন্দ। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে ঈদ হচ্ছে বান্দার জন্য বিরাট আতিথেয়তা। তাই তিনি ঈদের দিন রোযা পালনকে হারাম করে দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনের বর্ণনা অনুযায়ী, এক মাস রোজা রাখার পর মুসলমানরা নতুন পাজামা-পাঞ্জাবি তথা পছন্দের পোশাক পরে, শরীরে আতর খুশবু মেখে ঈদগাহে যান তখন ফেরেশতারা তাদের সংবর্ধনা জানান। স্বর্গীয় সব বাণীতে তাদের অভিনন্দিত করা হয়। পবিত্র ঈদ মুসলমানদের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে এবং সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে। বিশ্ব মুসলিম একই আত্মার বন্ধনে আবদ্ধ এ কথা স্মরণ করিয়ে দেয় পবিত্র ঈদ। ধনী গরিব ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিয়ে রাজা প্রজা এক কাতারে শামিল করিয়ে দেয় পবিত্র ঈদ। হিংসা বিদ্বেষ ও অহংকারসহ সকল অন্যায় ও পাপাচার মুছে দিয়ে নতুন করে সুখী পবিত্র জীবন যাপন শুরু করার তাগিদ এনে দেয় পবিত্র ঈদ।

আলোক সজ্জ্বা ও বিশেষ আয়োজন :

ঈদ উপলক্ষে বড় শহর ও রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্র গুলোকে সাজনো হচ্ছে উৎসবের সাজে। রাজধানীর প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা এবং বাংলা ও আরবিতে ঈদ মোবারক-খচিত ব্যানার দিয়ে সাজানো হবে। ঈদের দিবাগত রাতে নির্দিষ্ট সরকারি ভবনগুলোতেও আলোকসজ্জা করা হবে। জাতীয় পর্যায়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে স্থানীয় পর্যায়ে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশনগুলো দেশব্যাপী ঈদ উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এ ছাড়া বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতেও সরকারি কর্মসূচির আলোকে ঈদ উদযাপন করা হবে। প্রথাগতভাবে হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানায় উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। সরকারি শিশুসদন, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণকেন্দ্রেও থাকবে খাবার ও বিনোদনের বিশেষ ব্যবস্থা। ঈদ উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকাগুলো ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। আর এই আনন্দকে বাড়িয়ে দিতে আছে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।

চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক :

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদুল-ফিতরের তারিখ নির্ধারণ এবং শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে আজ সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি শেখ মো. আবদুল্লাহ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। দেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে ইসলামী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে টেলিফোন (৯৫৫৯৪৯৩, ৯৫৫৯৬৪৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭) ও ফ্যাক্স (৯৫৬৩৩৯৭ ও ৯৫৫৫৯৫১) নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ফিতরা :

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। এটি এক ধরনের সাদকা বা দান। যা রোজার ভুলত্রুটি দূর করার জন্য আদায় করা হয়। ঈদের নামাজের পূর্বেই ফিতরা আদায় করার বিধান রয়েছে। এ বছর ইসলামিক ফাউন্ডেশন জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করেছে ৭০ এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৮০ টাকা। গত বছর ফিতরার হার সর্বনিম্ন ৭০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা ছিল।

মঙ্গলবার, ০৪ জুন ২০১৯ , ২১ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ২৯ রমজান ১৪৪০

আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আজ মঙ্গলবার চাঁদ ঘিরে থাকবে এক আনন্দময় অনিশ্চয়তা। কেননা আজই জানা যাবে আগামীকাল বুধবার, নাকি পরশু বৃহস্পতিবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আকাশের গায়ে ঈদের এক ফাঁলি চাঁদ বয়ে আনবে অনাবিল আনন্দ। আজ চাঁদ দেখা গেলে সরকারি ঘোষণার পরপরই বেজে উঠবে ‘ঈদ মোবারক’ ধ্বনি। আর বাজবে জাতীয় কবি নজরুলের অমর গান ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ...’। চলবে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়। জানিয়ে দেওয়া হবে ঈদের জামাতের সময়সূচি।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে আজ সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির উদ্যোগে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভা থেকে বাংলাদেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে দেয়া হবে ঈদের ঘোষণা।

ইসলাম চাঁদ দেখে রোজা শুরু ও সমাপ্তির নির্দেশনা দিয়েছে। এ ব্যাপারে হাদীসে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রেখো এবং চাঁদ দেখে রোজার মাসের সমাপ্তি কর। আর যদি মেঘের আড়ালের কারণে চাঁদ দেখা না যায়, শাবান মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করো।’ (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম) সহীহ মুসলিমের একটি রেওয়ায়াতে বলা হয়েছে, ‘যদি তোমাদের উপর মেঘ ছেয়ে যায় তাহলে ত্রিশ দিন রোজা রাখো। চাঁদ দেখার ব্যাপারে ইমামদের বক্তব্য হচ্ছে, শাওয়ালের চাঁদ দেখা প্রমাণিত হওয়ার জন্য কমপক্ষে দু’জন বিশ্বস্ত লোকের স্বাক্ষ্য অপরিহার্য। আর মেঘ মুক্ত বা পরিষ্কার আকাশ থাকলে অনেক লোকের চাঁদ দেখা শর্ত।

সারাদেশে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে কয়েকদিন আগে থেকেই। রাজধানীসহ সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনায় ঈদ উদযাপনের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে শিশু-কিশোর-তরুণ-প্রবীণ সবাই শামিল হবেন ঈদগাহ ময়দানে। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে মুসল্লিরা কোলাকুলি করবেন একে অপরের সঙ্গে। দোয়া ও মোনাজাত করবেন বিশ্ব মুসলিমের ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং মুসলিম জাহানের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনার অঙ্গীকারে।

ঈদ শব্দের অর্থ আনন্দ। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে ঈদ হচ্ছে বান্দার জন্য বিরাট আতিথেয়তা। তাই তিনি ঈদের দিন রোযা পালনকে হারাম করে দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনের বর্ণনা অনুযায়ী, এক মাস রোজা রাখার পর মুসলমানরা নতুন পাজামা-পাঞ্জাবি তথা পছন্দের পোশাক পরে, শরীরে আতর খুশবু মেখে ঈদগাহে যান তখন ফেরেশতারা তাদের সংবর্ধনা জানান। স্বর্গীয় সব বাণীতে তাদের অভিনন্দিত করা হয়। পবিত্র ঈদ মুসলমানদের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে এবং সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে। বিশ্ব মুসলিম একই আত্মার বন্ধনে আবদ্ধ এ কথা স্মরণ করিয়ে দেয় পবিত্র ঈদ। ধনী গরিব ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিয়ে রাজা প্রজা এক কাতারে শামিল করিয়ে দেয় পবিত্র ঈদ। হিংসা বিদ্বেষ ও অহংকারসহ সকল অন্যায় ও পাপাচার মুছে দিয়ে নতুন করে সুখী পবিত্র জীবন যাপন শুরু করার তাগিদ এনে দেয় পবিত্র ঈদ।

আলোক সজ্জ্বা ও বিশেষ আয়োজন :

ঈদ উপলক্ষে বড় শহর ও রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্র গুলোকে সাজনো হচ্ছে উৎসবের সাজে। রাজধানীর প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা এবং বাংলা ও আরবিতে ঈদ মোবারক-খচিত ব্যানার দিয়ে সাজানো হবে। ঈদের দিবাগত রাতে নির্দিষ্ট সরকারি ভবনগুলোতেও আলোকসজ্জা করা হবে। জাতীয় পর্যায়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে স্থানীয় পর্যায়ে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশনগুলো দেশব্যাপী ঈদ উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এ ছাড়া বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতেও সরকারি কর্মসূচির আলোকে ঈদ উদযাপন করা হবে। প্রথাগতভাবে হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানায় উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। সরকারি শিশুসদন, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণকেন্দ্রেও থাকবে খাবার ও বিনোদনের বিশেষ ব্যবস্থা। ঈদ উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকাগুলো ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। আর এই আনন্দকে বাড়িয়ে দিতে আছে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।

চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক :

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদুল-ফিতরের তারিখ নির্ধারণ এবং শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে আজ সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি শেখ মো. আবদুল্লাহ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। দেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে ইসলামী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে টেলিফোন (৯৫৫৯৪৯৩, ৯৫৫৯৬৪৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭) ও ফ্যাক্স (৯৫৬৩৩৯৭ ও ৯৫৫৫৯৫১) নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ফিতরা :

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। এটি এক ধরনের সাদকা বা দান। যা রোজার ভুলত্রুটি দূর করার জন্য আদায় করা হয়। ঈদের নামাজের পূর্বেই ফিতরা আদায় করার বিধান রয়েছে। এ বছর ইসলামিক ফাউন্ডেশন জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করেছে ৭০ এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৮০ টাকা। গত বছর ফিতরার হার সর্বনিম্ন ৭০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা ছিল।