পরিবহন ও সড়কে সবচেয়ে বড় সমস্যা শৃঙ্খলা

বাস মালিকরা লোভী : কাদের

বাস মালিকদের লোভ নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাস মালিকরা লোভী। তাদের লোভ-লালসার সীমা বহু দূর চলে গেছে। তাদের লোভ-লালসা মানসিক প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। বাসে যেন অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া না হয়, এ জন্য টার্মিনালে ঘুরেছি। তারা বোঝাতে চেয়েছেন, যাওয়ার সময় যাত্রী থাকলেও আসার সময় খালি আসতে হয়। তাদের বলেছি, সারা বছরই তো ব্যবসা করেছেন, ঈদের সময় মুনাফার ক্ষেত্রে একটু সংযমী হোন। ঢাকায় হিমাচল পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএকে বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়র সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সড়ক ও পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা একটি বড় সংকট উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, পরিবহনে শৃঙ্খলা নেই এবং সড়কেও শৃঙ্খলা নেই। আমাদের এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে শৃঙ্খলা। শৃঙ্খলার সংকট যদি আমরা কাটাতে পারি, তাহলে এ দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক স্বস্তি আসবে। ঈদযাত্রা এর আগে এত স্বস্তিদায়ক হয়নি। কোথাও থেকে বড় ধরনের যানজটের খবর পাইনি। আজ (সোমবার) একটু চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে গার্মেন্ট ছুটির কারণে। এছাড়া বৃষ্টি-বাদল হলে যানবাহনের ধীরগতি হতে পারে। এমনটাই সবাই বিশ্বাস করেন। এখন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ৪ ঘণ্টায় যাচ্ছেন। আমরা বহুদিন পর স্বস্তির জায়গায় এসেছি। এই স্বস্তিদায়ক যাত্রা আগামী দিনেও রাখতে চাই। শুধু ঈদ কেন, সারা বছরই রাস্তায় স্বস্তি থাকবেÑ এটাই জনগণ আশা করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সততার সঙ্গে কাজ করাÑ এটা একটা চ্যালেঞ্জ। সত্য কথা আমরা খুব কম লোকই বলি। রাজনীতিতে সৎ মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নেই। আমরা সবাই সৎ হলে দেশের চেহারাটা বদলে যেত। আমাদের এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন আশা অতিরিক্ত হয়েছে। কিন্তু ডিসিপ্লিনের অভাবে এর সুফল আমরা জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারিনি। অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ আছে। মালিকরা একটা বিষয় বলার চেষ্টা করেছেন, আসার পথে তারা খালি আসেন। আমি বলেছি, আপনারা ঈদের সময়টায় আয়ের বিষয়টি একটা সংযমের সঙ্গে করবেন। সব কথায় কাজ হয়? এমন হলে তো বাংলাদেশ এতদিনে সোনার বাংলা হয়ে যেতে। সব কথাতেও কাজ হয় না আবার সব সত্য কথাও আমরা বলি না। এখানে বিপদে পড়ে জনগণ। অশান্তির কারণ তারা (জনগণ) সৃষ্টি করেন না। আমরা প্রভাবশালীরাই সৃষ্টি করি।

সড়কমন্ত্রী বলেন, টোকিও শহরের রাস্তা আমাদের চেয়ে প্রশস্ত নয়। তারপরও সেখানে শৃঙ্খলা এমন যে, দুর্ঘটনা হয় না, যানজটও হয় না। আমাদের এখানে রাস্তায় যানজটের সঙ্গে জনজটও হয়ে যায়। ইদানীং এই সমস্যা অত্যন্ত প্রকট। কেউ নিয়ম মানেন না। এখানে জলজট, জনজট ও যানজটÑ তিনটি মিলেমিশে একাকার। এটা ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের যানজট সমস্যাকে অসহনীয় করে তুলছে। ঈদের পরই ডিটিসিএর (ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ) মিটিং করব। দুই সিটি মেয়রদের সঙ্গে বৈঠক করব। ঢাকায় বছরের পর বছর ট্রাফিক ব্যবস্থায় যে বিশৃঙ্খলা চলছে, সেটির অবসানে আমাদের কিছু কাজ আছে। আমারও কিছু আইডিয়া আছে। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলব। কার্যকর কিছু করা দরকার। শুধু লিপ সার্ভিস দিয়ে আমরা দিস্তার পর দিস্তা কাগজ লিখেছি, রিপোর্ট করেছি, তদন্ত কমিটি করেছি। কিন্তু সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। যতটা রেজাল্ট আসার কথা, ওই রেজাল্ট আসেনি। মানুষকে লিপ সার্ভিস দিয়ে আর কতকাল খুশি রাখা যাবে। মানুষ সত্যিকার অর্থে বাস্তব সমাধান চায়।

মেট্রোরেলের মাধ্যমে ঢাকার যানজট সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-৬) পূর্তকাজ আগামী বছরের মধ্যে শেষ হবে। ২০২১ সালের মাঝামাঝি মেট্রোরেল আমরা চালু করতে পারব। পাঁচটি মেট্রোরেলের কাজ ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হলে যানজট নিরসনের সুফল পাওয়া যাবে। বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পটি এত দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে যে, আমি যদি আগে বুঝতাম, তাহলে এ প্রকল্পটির বিকল্প চিন্তা করতাম। বিআরটি প্রকল্পটি আমরা এখানে কতটা বাস্তবায়ন করতে পারব?

ঈদের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা আদালতের বিষয়। আদালত বন্দি করেছেন, মুক্তি দিতে পারেন আদালত। আপনি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন, একটি বইয়ে আপনি লিখেছেন সুযোগ পেলে আপনি রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনার চেষ্টা করবেনÑ এ বিষয়ে তিনি বলেন, গুণগত পরিবর্তন বলতে বুঝি আচরণগত পরিবর্তন। এখানে একটা পরিবর্তন দরকার। আমরা রাজনীতিবিদরা পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত শব্দবোমা নিক্ষেপ করি। এটা পরিবেশটাকে নষ্ট করছে। আমি আমাদের পার্টি, আমাদের সরকার ও বিরোধী দলের কাছে আহ্বান করতে চাইÑ আমরা এ বিষয়গুলো অন্তত রাজনীতিতে বিদ্বেষের ভাষাটা শব্দবোমা যে বিষয়টি, যে বিষয়টা পারস্পরিক সম্পর্ককে অবনতির দিকে নিয়ে যায়, তা না করি। এখন একটা ওয়ার্কিং আন্ডারস্ট্যান্ডিং গণতন্ত্রে থাকা দরকার। এটা থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের বক্তৃতায় ভাষা যদি একটু নমনীয় করি, অন্তত সৌজন্যবোধটা রাজনীতিতে থাকে। অন্য বিরোধী দলের কারো জানাজায় যাব নাÑ এটা হয় না। এসব বিষয়ে যদি পরিবর্তন আনতে পারি, তাহলে বড় ধরনের চেঞ্জ আমরা করতে পারব। রাজনীতিতে যাতে সামাজিক সম্পর্ক ও সৌজন্যবোধ বজায় থাকে, ওই উদ্যোগ আগামীতে আওয়ামী লীগ নেবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার, ০৪ জুন ২০১৯ , ২১ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ২৯ রমজান ১৪৪০

পরিবহন ও সড়কে সবচেয়ে বড় সমস্যা শৃঙ্খলা

বাস মালিকরা লোভী : কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বাস মালিকদের লোভ নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাস মালিকরা লোভী। তাদের লোভ-লালসার সীমা বহু দূর চলে গেছে। তাদের লোভ-লালসা মানসিক প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। বাসে যেন অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া না হয়, এ জন্য টার্মিনালে ঘুরেছি। তারা বোঝাতে চেয়েছেন, যাওয়ার সময় যাত্রী থাকলেও আসার সময় খালি আসতে হয়। তাদের বলেছি, সারা বছরই তো ব্যবসা করেছেন, ঈদের সময় মুনাফার ক্ষেত্রে একটু সংযমী হোন। ঢাকায় হিমাচল পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএকে বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়র সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সড়ক ও পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা একটি বড় সংকট উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, পরিবহনে শৃঙ্খলা নেই এবং সড়কেও শৃঙ্খলা নেই। আমাদের এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে শৃঙ্খলা। শৃঙ্খলার সংকট যদি আমরা কাটাতে পারি, তাহলে এ দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক স্বস্তি আসবে। ঈদযাত্রা এর আগে এত স্বস্তিদায়ক হয়নি। কোথাও থেকে বড় ধরনের যানজটের খবর পাইনি। আজ (সোমবার) একটু চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে গার্মেন্ট ছুটির কারণে। এছাড়া বৃষ্টি-বাদল হলে যানবাহনের ধীরগতি হতে পারে। এমনটাই সবাই বিশ্বাস করেন। এখন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ৪ ঘণ্টায় যাচ্ছেন। আমরা বহুদিন পর স্বস্তির জায়গায় এসেছি। এই স্বস্তিদায়ক যাত্রা আগামী দিনেও রাখতে চাই। শুধু ঈদ কেন, সারা বছরই রাস্তায় স্বস্তি থাকবেÑ এটাই জনগণ আশা করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সততার সঙ্গে কাজ করাÑ এটা একটা চ্যালেঞ্জ। সত্য কথা আমরা খুব কম লোকই বলি। রাজনীতিতে সৎ মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নেই। আমরা সবাই সৎ হলে দেশের চেহারাটা বদলে যেত। আমাদের এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন আশা অতিরিক্ত হয়েছে। কিন্তু ডিসিপ্লিনের অভাবে এর সুফল আমরা জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারিনি। অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ আছে। মালিকরা একটা বিষয় বলার চেষ্টা করেছেন, আসার পথে তারা খালি আসেন। আমি বলেছি, আপনারা ঈদের সময়টায় আয়ের বিষয়টি একটা সংযমের সঙ্গে করবেন। সব কথায় কাজ হয়? এমন হলে তো বাংলাদেশ এতদিনে সোনার বাংলা হয়ে যেতে। সব কথাতেও কাজ হয় না আবার সব সত্য কথাও আমরা বলি না। এখানে বিপদে পড়ে জনগণ। অশান্তির কারণ তারা (জনগণ) সৃষ্টি করেন না। আমরা প্রভাবশালীরাই সৃষ্টি করি।

সড়কমন্ত্রী বলেন, টোকিও শহরের রাস্তা আমাদের চেয়ে প্রশস্ত নয়। তারপরও সেখানে শৃঙ্খলা এমন যে, দুর্ঘটনা হয় না, যানজটও হয় না। আমাদের এখানে রাস্তায় যানজটের সঙ্গে জনজটও হয়ে যায়। ইদানীং এই সমস্যা অত্যন্ত প্রকট। কেউ নিয়ম মানেন না। এখানে জলজট, জনজট ও যানজটÑ তিনটি মিলেমিশে একাকার। এটা ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের যানজট সমস্যাকে অসহনীয় করে তুলছে। ঈদের পরই ডিটিসিএর (ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ) মিটিং করব। দুই সিটি মেয়রদের সঙ্গে বৈঠক করব। ঢাকায় বছরের পর বছর ট্রাফিক ব্যবস্থায় যে বিশৃঙ্খলা চলছে, সেটির অবসানে আমাদের কিছু কাজ আছে। আমারও কিছু আইডিয়া আছে। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলব। কার্যকর কিছু করা দরকার। শুধু লিপ সার্ভিস দিয়ে আমরা দিস্তার পর দিস্তা কাগজ লিখেছি, রিপোর্ট করেছি, তদন্ত কমিটি করেছি। কিন্তু সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। যতটা রেজাল্ট আসার কথা, ওই রেজাল্ট আসেনি। মানুষকে লিপ সার্ভিস দিয়ে আর কতকাল খুশি রাখা যাবে। মানুষ সত্যিকার অর্থে বাস্তব সমাধান চায়।

মেট্রোরেলের মাধ্যমে ঢাকার যানজট সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-৬) পূর্তকাজ আগামী বছরের মধ্যে শেষ হবে। ২০২১ সালের মাঝামাঝি মেট্রোরেল আমরা চালু করতে পারব। পাঁচটি মেট্রোরেলের কাজ ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হলে যানজট নিরসনের সুফল পাওয়া যাবে। বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পটি এত দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে যে, আমি যদি আগে বুঝতাম, তাহলে এ প্রকল্পটির বিকল্প চিন্তা করতাম। বিআরটি প্রকল্পটি আমরা এখানে কতটা বাস্তবায়ন করতে পারব?

ঈদের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা আদালতের বিষয়। আদালত বন্দি করেছেন, মুক্তি দিতে পারেন আদালত। আপনি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন, একটি বইয়ে আপনি লিখেছেন সুযোগ পেলে আপনি রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনার চেষ্টা করবেনÑ এ বিষয়ে তিনি বলেন, গুণগত পরিবর্তন বলতে বুঝি আচরণগত পরিবর্তন। এখানে একটা পরিবর্তন দরকার। আমরা রাজনীতিবিদরা পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত শব্দবোমা নিক্ষেপ করি। এটা পরিবেশটাকে নষ্ট করছে। আমি আমাদের পার্টি, আমাদের সরকার ও বিরোধী দলের কাছে আহ্বান করতে চাইÑ আমরা এ বিষয়গুলো অন্তত রাজনীতিতে বিদ্বেষের ভাষাটা শব্দবোমা যে বিষয়টি, যে বিষয়টা পারস্পরিক সম্পর্ককে অবনতির দিকে নিয়ে যায়, তা না করি। এখন একটা ওয়ার্কিং আন্ডারস্ট্যান্ডিং গণতন্ত্রে থাকা দরকার। এটা থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের বক্তৃতায় ভাষা যদি একটু নমনীয় করি, অন্তত সৌজন্যবোধটা রাজনীতিতে থাকে। অন্য বিরোধী দলের কারো জানাজায় যাব নাÑ এটা হয় না। এসব বিষয়ে যদি পরিবর্তন আনতে পারি, তাহলে বড় ধরনের চেঞ্জ আমরা করতে পারব। রাজনীতিতে যাতে সামাজিক সম্পর্ক ও সৌজন্যবোধ বজায় থাকে, ওই উদ্যোগ আগামীতে আওয়ামী লীগ নেবে বলেও জানান তিনি।