আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে টাইগাররা

ভেন্যু, প্রতিপক্ষ, ফর্ম সবই বাংলাদেশের পক্ষে

দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল দারুণ একটা সূচনা করেছিল চলতি আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে। তবে, নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজয়ে সেই স্বপ্নযাত্রা কিছুটা হলেও হোঁচট খায়। আজ কার্ডিফে টাইগারদের প্রতিপক্ষ এবারের টুর্নামেন্টের স্বাগতিক, তথা হট ফেভারিট ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল।

আজকের ম্যাচের আলোচনায় থাকছে আবহাওয়া। শুক্রবার বিস্ট্রলে শ্রীংলকা-পাকিস্তান ম্যাচ হয়নি। বাংলাদেশের নির্ধারিত অনুশীলনও করতে পারেনি কার্ডিফে বৃষ্টির জন্য। কার্ডিফে এসে মাশরাফিরা মাঠে অনুশীলন করার আর সুযোগ পেলেন না। ওয়েলসের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী আজ আকাশ মেঘলা থাকবে, থাকবে প্রচন্ড বাতাসও। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রৌদ্রজ্জ্বল আকাশেরও পূর্বাভাস দেয়া আছে। সোফিয়া গার্ডেনের পিচ বরাবরই পেস বোলারদের স্বর্গরাজ্য। তার ওপরে মেঘলা আকাশের সঙ্গে বাতাস থাকলে অধিনায়করা চাইবেন টস জিতে পেসারদের হাতে বল তুলে দিতে।

আজকের ম্যাচে মাঠে নামার সময়ে বাংলাদেশকে প্রেরণা যোগাবে অনেকগুলো বিষয়। প্রথমত কার্ডিফের এই ভেন্যুতে কখনো ম্যাচে পরাজিত হয়নি টাইগাররা। দ্বিতীয়ত, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ দুটো বিশ্বকাপে জয়ের সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। আর ফর্ম নিয়ে কোন ভাবনা নেই। সাকিব-সৌম্যরা একসঙ্গে জ্বলে ওঠার ক্ষমতা রাখেন। সবাই একসঙ্গে জ্বলে উঠলে টাইগারদের গর্জন কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা ইতোমধ্যে জেনে গেছে ক্রিকেট বিশ্ব।

কার্ডিফের মাঠ মানেই টাইগারদের ফিরে যাওয়া ২০০৫ সালে। সেবারই প্রথম অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিয়েছিল উদীয়মান ক্রিকেট শক্তি। এরপর ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডকে হারায় টাইগাররা। দুটো জয়ই এসেছিল পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে এবং জুন মাসে। ফলে বাংলাদেশের জন্য ‘পয়মন্ত’ মাঠ বা ‘লাকি গ্রাউন্ড’ কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন। একই গ্রাউন্ডে আবারও জুন মাসেই আন্তর্জাতিক ম্যাচ তথা বিশ্বকাপের ম্যাচে প্রতিপক্ষ হিসেবে ইংল্যান্ডকে পাওয়া নি:সন্দেহে প্রেরণা যোগাচ্ছে মাশরাফিদের।

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের রেকর্ডবইও কথা বলছে বাংলাদেশ দলের পক্ষে। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ম্যাচে বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে হেরে যায় টাইগাররা। এরপর ২০১১ এবং ২০১৫ সালের আসরে ইংল্যান্ডকে প্রতিপক্ষ হিসাবে পায় বাংলাদেশ দল। দু’বারই টাইগারদের গর্জনে পরাভূত হয় বৃটিশ সিংহ। ২০১১ সালে পাওয়া জয়টা ঘরের মাঠ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হলেও ২০১৫ সালে পাওয়া জয় অ্যাডিলেডে। শেষবার তো বাংলাদেশ দলের কাছে হেরেই বিদায়ঘণ্টা বাজে ইংলিশদের। এই দুটো রেকর্ড তো বৃটিশদেরও জানা। বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচে মাঠে নামার সময়ে এই দুটো রেকর্ড কি সামান্য হলেও কাঁপন ধরাবে না মরগানদের? মনস্তাত্ত্বিক সুবিধাটুকু কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ দল যে মাঠের খেলাতেও এগিয়ে থাকবে, তা বলা বাহুল্য।

ফর্মের বিচেনায় ইংল্যান্ড দল পাকিস্তানের কাছে ১৪ রানের ব্যবধানে পরাজিত হলেও এ পর্যন্ত খেলা বিশ্বকাপের দুটো ম্যাচেই (দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে উদ্বোধনী ম্যাচসহ) তিনশতাধিক রান করেছে চলতি আসরের স্বাগতিকরা। মূলত বোলারদের লাগামহীন বোলিংয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা হাতছাড়া হয় ইংলিশদের।

সবদিক মিলিয়ে এউইন মরগানের দলটা বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচটাকে হালকাভাবে নিলে যে ভুল করবে, তা বলা বাহুল্য। টাইগারদের বোলিং ইউনিট নিজেদের দুটো ম্যাচেই ভালো করেছে। অন্তত প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ২১ রানে জয়ী হওয়া ম্যাচের পুরোটা সময়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রেখেছিলেন টাইগার বোলাররা। কিউইদের বিপক্ষেও টাইগার বোলাররা নিখুঁত লাইন-লেন্থ বজায় রেখেই চলেছিলেন। শেষদিকে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা হঠাৎই ধুমÑধারাক্কা ব্যাট চালানোর কারণে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয় টাইগারদের।

বাংলাদেশ দলের জন্য সমস্যা হচ্ছে, ব্যাটসম্যানরা সুন্দর একটা সূচনাকে বড় স্কোরে পরিণত করতে পারছেন না। অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান টানা দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছেন। তবে টানা দুই ম্যাচে নিস্প্রভ থাকেন বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। সৌম্য সরকার প্রথম ম্যাচে ভালো করার ধারাবাহিকতা দ্বিতীয় ম্যাচে বজায় রাখতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে উইকেটের পেছনে মুশফিকের ছন্নছাড়া দায়িত্ব পালন কিছুটা হলেও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অধিনায়ক মাশরাফি তার উইকেটকিপারের পক্ষে কথা বলেছেন। ফলে মুশফিককে আজকের ম্যাচেও উইকেটের পেছনে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাবে। আজকের ম্যাচ জিতে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে শতভাগ জয়ের রেকর্ড অক্ষুণ্ন রাখতে টপ এবং মিডল অর্ডারের কাছ থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং আশা করবেন মাশরাফি।

টাইগার বোলারদের বর্তমান ফর্মের সঙ্গে ব্যাটসম্যানরা ত্রুটি শুধরে ভালো করলে, বিশেষ করে টপ অর্ডারে তামিম-সৌম্য, মিডল অর্ডারে সাকিব-মুশফিক এবং শেষদিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাট হাসলে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে আবারও টাইগারদের গর্জন শোনার আশা করতেই পারে বাংলাদেশের কোটি কোটি ক্রিকেটভক্ত।

শনিবার, ০৮ জুন ২০১৯ , ২৫ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ৪ শাওয়াল ১৪৪০

আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে টাইগাররা

ভেন্যু, প্রতিপক্ষ, ফর্ম সবই বাংলাদেশের পক্ষে

বিশেষ প্রতিনিধি

image

বাংলাদেশ দল -ফাইল ছবি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল দারুণ একটা সূচনা করেছিল চলতি আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে। তবে, নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজয়ে সেই স্বপ্নযাত্রা কিছুটা হলেও হোঁচট খায়। আজ কার্ডিফে টাইগারদের প্রতিপক্ষ এবারের টুর্নামেন্টের স্বাগতিক, তথা হট ফেভারিট ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল।

আজকের ম্যাচের আলোচনায় থাকছে আবহাওয়া। শুক্রবার বিস্ট্রলে শ্রীংলকা-পাকিস্তান ম্যাচ হয়নি। বাংলাদেশের নির্ধারিত অনুশীলনও করতে পারেনি কার্ডিফে বৃষ্টির জন্য। কার্ডিফে এসে মাশরাফিরা মাঠে অনুশীলন করার আর সুযোগ পেলেন না। ওয়েলসের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী আজ আকাশ মেঘলা থাকবে, থাকবে প্রচন্ড বাতাসও। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রৌদ্রজ্জ্বল আকাশেরও পূর্বাভাস দেয়া আছে। সোফিয়া গার্ডেনের পিচ বরাবরই পেস বোলারদের স্বর্গরাজ্য। তার ওপরে মেঘলা আকাশের সঙ্গে বাতাস থাকলে অধিনায়করা চাইবেন টস জিতে পেসারদের হাতে বল তুলে দিতে।

আজকের ম্যাচে মাঠে নামার সময়ে বাংলাদেশকে প্রেরণা যোগাবে অনেকগুলো বিষয়। প্রথমত কার্ডিফের এই ভেন্যুতে কখনো ম্যাচে পরাজিত হয়নি টাইগাররা। দ্বিতীয়ত, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ দুটো বিশ্বকাপে জয়ের সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। আর ফর্ম নিয়ে কোন ভাবনা নেই। সাকিব-সৌম্যরা একসঙ্গে জ্বলে ওঠার ক্ষমতা রাখেন। সবাই একসঙ্গে জ্বলে উঠলে টাইগারদের গর্জন কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা ইতোমধ্যে জেনে গেছে ক্রিকেট বিশ্ব।

কার্ডিফের মাঠ মানেই টাইগারদের ফিরে যাওয়া ২০০৫ সালে। সেবারই প্রথম অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিয়েছিল উদীয়মান ক্রিকেট শক্তি। এরপর ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডকে হারায় টাইগাররা। দুটো জয়ই এসেছিল পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে এবং জুন মাসে। ফলে বাংলাদেশের জন্য ‘পয়মন্ত’ মাঠ বা ‘লাকি গ্রাউন্ড’ কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন। একই গ্রাউন্ডে আবারও জুন মাসেই আন্তর্জাতিক ম্যাচ তথা বিশ্বকাপের ম্যাচে প্রতিপক্ষ হিসেবে ইংল্যান্ডকে পাওয়া নি:সন্দেহে প্রেরণা যোগাচ্ছে মাশরাফিদের।

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের রেকর্ডবইও কথা বলছে বাংলাদেশ দলের পক্ষে। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ম্যাচে বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে হেরে যায় টাইগাররা। এরপর ২০১১ এবং ২০১৫ সালের আসরে ইংল্যান্ডকে প্রতিপক্ষ হিসাবে পায় বাংলাদেশ দল। দু’বারই টাইগারদের গর্জনে পরাভূত হয় বৃটিশ সিংহ। ২০১১ সালে পাওয়া জয়টা ঘরের মাঠ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হলেও ২০১৫ সালে পাওয়া জয় অ্যাডিলেডে। শেষবার তো বাংলাদেশ দলের কাছে হেরেই বিদায়ঘণ্টা বাজে ইংলিশদের। এই দুটো রেকর্ড তো বৃটিশদেরও জানা। বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচে মাঠে নামার সময়ে এই দুটো রেকর্ড কি সামান্য হলেও কাঁপন ধরাবে না মরগানদের? মনস্তাত্ত্বিক সুবিধাটুকু কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ দল যে মাঠের খেলাতেও এগিয়ে থাকবে, তা বলা বাহুল্য।

ফর্মের বিচেনায় ইংল্যান্ড দল পাকিস্তানের কাছে ১৪ রানের ব্যবধানে পরাজিত হলেও এ পর্যন্ত খেলা বিশ্বকাপের দুটো ম্যাচেই (দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে উদ্বোধনী ম্যাচসহ) তিনশতাধিক রান করেছে চলতি আসরের স্বাগতিকরা। মূলত বোলারদের লাগামহীন বোলিংয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা হাতছাড়া হয় ইংলিশদের।

সবদিক মিলিয়ে এউইন মরগানের দলটা বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচটাকে হালকাভাবে নিলে যে ভুল করবে, তা বলা বাহুল্য। টাইগারদের বোলিং ইউনিট নিজেদের দুটো ম্যাচেই ভালো করেছে। অন্তত প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ২১ রানে জয়ী হওয়া ম্যাচের পুরোটা সময়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রেখেছিলেন টাইগার বোলাররা। কিউইদের বিপক্ষেও টাইগার বোলাররা নিখুঁত লাইন-লেন্থ বজায় রেখেই চলেছিলেন। শেষদিকে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা হঠাৎই ধুমÑধারাক্কা ব্যাট চালানোর কারণে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয় টাইগারদের।

বাংলাদেশ দলের জন্য সমস্যা হচ্ছে, ব্যাটসম্যানরা সুন্দর একটা সূচনাকে বড় স্কোরে পরিণত করতে পারছেন না। অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান টানা দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছেন। তবে টানা দুই ম্যাচে নিস্প্রভ থাকেন বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। সৌম্য সরকার প্রথম ম্যাচে ভালো করার ধারাবাহিকতা দ্বিতীয় ম্যাচে বজায় রাখতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে উইকেটের পেছনে মুশফিকের ছন্নছাড়া দায়িত্ব পালন কিছুটা হলেও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অধিনায়ক মাশরাফি তার উইকেটকিপারের পক্ষে কথা বলেছেন। ফলে মুশফিককে আজকের ম্যাচেও উইকেটের পেছনে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাবে। আজকের ম্যাচ জিতে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে শতভাগ জয়ের রেকর্ড অক্ষুণ্ন রাখতে টপ এবং মিডল অর্ডারের কাছ থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং আশা করবেন মাশরাফি।

টাইগার বোলারদের বর্তমান ফর্মের সঙ্গে ব্যাটসম্যানরা ত্রুটি শুধরে ভালো করলে, বিশেষ করে টপ অর্ডারে তামিম-সৌম্য, মিডল অর্ডারে সাকিব-মুশফিক এবং শেষদিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাট হাসলে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে আবারও টাইগারদের গর্জন শোনার আশা করতেই পারে বাংলাদেশের কোটি কোটি ক্রিকেটভক্ত।