আগুন, বিস্ফোরণ পেট্রলবোমা উদ্ধার

  • আতঙ্ক, নানা জল্পনা
  • নিরাপত্তা জোরদার
  • খালেদার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বিএনপির

ঈদের দিন রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের প্রধান গেটে একটি বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত একটি পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার রাত ২টা ৪০ মিনিটের সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রশাসনের সন্দেহÑ মেডিকেল অফিসার হিসেবে চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়ে যারা ফেল করেছে, তারাই এ ঘটনা ঘটাতে পারে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে বিশ্ববিদ্যালয়টির উচ্চপর্যারে নির্দেশে গতকাল শুক্রবার সকালে শাহবাগ থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সৈয়দ মোজাফ্ফর আহমেদ বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় ঈদের ছুৃটিতে বন্ধ ছিল। নিচে গেট থেকে সব গেটে সর্বক্ষণই নিরাপত্তা কর্মী ছিল। এরপরও ঈদের দিন রাত ২টার পর রেজিস্ট্রার অফিসে ঢোকার গেটে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুৃটে যান। বিস্ফোরণে আগুন ধরে গেলে তা দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসাররা নিভিয়ে ফেলেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পেট্রলবোমা উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তারা আলামত জব্দ করেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঘটনার পর পর ভিসি, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকতা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বৃহস্পতিবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিস্ফোরণের ঘটনায় থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। তাদের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার সকালে শাহবাগ থানায় মামলা (নম্বর-৭) করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিস্ফোরক আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সন্দেহ- মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষায় যারা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, তারা এ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়াতে পারে। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ১৫০ থেকে ২০০ জন দলবাজ মেডিকেল অফিসার নানাভাবে হুমকি, ভাঙচুর ও তান্ডব চালিয়ে আসছে। তারা এখনও বিশৃঙ্খলা অব্যাহত রেখেছে। তাদের অত্যাচারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অতিষ্ঠ। একটি মহল তাদের ইন্দন দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। পরীক্ষায় ফেল করা ডাক্তাররা ভিসিকে নানাভাবে পথরোধ, হাসপাতাল ঘেরাও, ভাঙচুরসহ তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভিসির পক্ষ থেকে ধৈর্যসহকারে আন্দোলনকারীদের অনিয়ম মোকাবিলা করা হচ্ছে। তারা বিষয়টি ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান বরবর লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এমনকি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা খোঁজখবর রাখছেন। এরপরও আন্দোলনকারীদের অপকর্ম রহস্যজনক কারণে থামানো হচ্ছে না। তারা প্রশাসনকে অকার্যকর করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর কনককান্তি বড়ুয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনিতেই আনসার সদস্যরা নিরাপত্তা দিচ্ছেন। ঈদের রাতে বিস্ফোরণ ঘটার পর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। রাজনৈতিক ও ভিআইপি রোগীদের সমস্যা হচ্ছে না। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পুলিশের তদন্ত চলছে।

এ সম্পর্কে পুলিশের রমনা জোনের ডিসি মারুফ হোসেন সর্দার বলেন, ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, এই সপ্তাহে লিখিত পরীক্ষায় পাস করা মেডিকেল অফিসারদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এ কারণে আন্দোলনকারী দলবাজ মেডিকেল অফিসাররা বিশৃঙ্খলাসহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

এ বিষয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, কে বা কারা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন।

খালেদার নিরাপত্তা নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ প্রকাশ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। এ ঘটনার নেপথ্যে উপর মহলের (সরকারের) নীলনকশা রয়েছে বলে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। এ ঘটনার পর বিএনপির পক্ষ থেকে হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানানো হয়েছে ।

ঈদের পরদিন বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় রেজিস্ট্রারের কক্ষের সামনে থেকে শাহবাগ পুলিশ একটা পেট্রলবোমা উদ্ধার করে। ওইদিন কে বা কারা দুটি পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে প্রশাসনিক ভবন লক্ষ্য করে। একটি বোমা বিস্ফোরিত হলেও আরেকটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের।

গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহল কবির রিজবী বলেন, বিএসএমএমইউয়ে যেখানে নিñিদ্র নিরাপত্তার বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে, সেখানে পেট্রলবোমা গেল কেমন করে? এখানে যদি উপরের মহলের পৃষ্ঠপোষকতা না থাকে বা কোন একটা নীলনকশা না থাকে, তাহলে এটা হওয়ার কথা নয়। এটা জনগণই আশঙ্কা করছে। তিনি বলেন, যখন খবরটি এসেছে, তখন থেকে অনেকেই আমাদের বলেছেন, ঘটনাটা কী? সবাই চমকে উঠেছেন, হতবাক হয়েছেন। কারণ সেখানে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আছেন। খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার পাশাপাশি তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, এটা একটা বড় মাস্টারপ্ল্যান। সরকার কী উদ্দেশ্য নিয়ে কী করছে, এটা বলা মুশকিল। আমাদের দেশনেত্রী সুস্থ নন। সুস্থ হওয়ার জন্য হাসপাতালে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা দরকার।

শনিবার, ০৮ জুন ২০১৯ , ২৫ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ৪ শাওয়াল ১৪৪০

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

আগুন, বিস্ফোরণ পেট্রলবোমা উদ্ধার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

  • আতঙ্ক, নানা জল্পনা
  • নিরাপত্তা জোরদার
  • খালেদার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বিএনপির

ঈদের দিন রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের প্রধান গেটে একটি বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত একটি পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার রাত ২টা ৪০ মিনিটের সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রশাসনের সন্দেহÑ মেডিকেল অফিসার হিসেবে চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়ে যারা ফেল করেছে, তারাই এ ঘটনা ঘটাতে পারে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে বিশ্ববিদ্যালয়টির উচ্চপর্যারে নির্দেশে গতকাল শুক্রবার সকালে শাহবাগ থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সৈয়দ মোজাফ্ফর আহমেদ বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় ঈদের ছুৃটিতে বন্ধ ছিল। নিচে গেট থেকে সব গেটে সর্বক্ষণই নিরাপত্তা কর্মী ছিল। এরপরও ঈদের দিন রাত ২টার পর রেজিস্ট্রার অফিসে ঢোকার গেটে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুৃটে যান। বিস্ফোরণে আগুন ধরে গেলে তা দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসাররা নিভিয়ে ফেলেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পেট্রলবোমা উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তারা আলামত জব্দ করেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঘটনার পর পর ভিসি, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকতা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বৃহস্পতিবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিস্ফোরণের ঘটনায় থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। তাদের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার সকালে শাহবাগ থানায় মামলা (নম্বর-৭) করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিস্ফোরক আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সন্দেহ- মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষায় যারা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, তারা এ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়াতে পারে। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ১৫০ থেকে ২০০ জন দলবাজ মেডিকেল অফিসার নানাভাবে হুমকি, ভাঙচুর ও তান্ডব চালিয়ে আসছে। তারা এখনও বিশৃঙ্খলা অব্যাহত রেখেছে। তাদের অত্যাচারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অতিষ্ঠ। একটি মহল তাদের ইন্দন দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। পরীক্ষায় ফেল করা ডাক্তাররা ভিসিকে নানাভাবে পথরোধ, হাসপাতাল ঘেরাও, ভাঙচুরসহ তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভিসির পক্ষ থেকে ধৈর্যসহকারে আন্দোলনকারীদের অনিয়ম মোকাবিলা করা হচ্ছে। তারা বিষয়টি ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান বরবর লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এমনকি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা খোঁজখবর রাখছেন। এরপরও আন্দোলনকারীদের অপকর্ম রহস্যজনক কারণে থামানো হচ্ছে না। তারা প্রশাসনকে অকার্যকর করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর কনককান্তি বড়ুয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনিতেই আনসার সদস্যরা নিরাপত্তা দিচ্ছেন। ঈদের রাতে বিস্ফোরণ ঘটার পর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। রাজনৈতিক ও ভিআইপি রোগীদের সমস্যা হচ্ছে না। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পুলিশের তদন্ত চলছে।

এ সম্পর্কে পুলিশের রমনা জোনের ডিসি মারুফ হোসেন সর্দার বলেন, ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, এই সপ্তাহে লিখিত পরীক্ষায় পাস করা মেডিকেল অফিসারদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এ কারণে আন্দোলনকারী দলবাজ মেডিকেল অফিসাররা বিশৃঙ্খলাসহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

এ বিষয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, কে বা কারা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন।

খালেদার নিরাপত্তা নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ প্রকাশ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। এ ঘটনার নেপথ্যে উপর মহলের (সরকারের) নীলনকশা রয়েছে বলে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। এ ঘটনার পর বিএনপির পক্ষ থেকে হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানানো হয়েছে ।

ঈদের পরদিন বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় রেজিস্ট্রারের কক্ষের সামনে থেকে শাহবাগ পুলিশ একটা পেট্রলবোমা উদ্ধার করে। ওইদিন কে বা কারা দুটি পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে প্রশাসনিক ভবন লক্ষ্য করে। একটি বোমা বিস্ফোরিত হলেও আরেকটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের।

গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহল কবির রিজবী বলেন, বিএসএমএমইউয়ে যেখানে নিñিদ্র নিরাপত্তার বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে, সেখানে পেট্রলবোমা গেল কেমন করে? এখানে যদি উপরের মহলের পৃষ্ঠপোষকতা না থাকে বা কোন একটা নীলনকশা না থাকে, তাহলে এটা হওয়ার কথা নয়। এটা জনগণই আশঙ্কা করছে। তিনি বলেন, যখন খবরটি এসেছে, তখন থেকে অনেকেই আমাদের বলেছেন, ঘটনাটা কী? সবাই চমকে উঠেছেন, হতবাক হয়েছেন। কারণ সেখানে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আছেন। খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার পাশাপাশি তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, এটা একটা বড় মাস্টারপ্ল্যান। সরকার কী উদ্দেশ্য নিয়ে কী করছে, এটা বলা মুশকিল। আমাদের দেশনেত্রী সুস্থ নন। সুস্থ হওয়ার জন্য হাসপাতালে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা দরকার।