কুমিল্লায় গার্মেন্ট কর্মীকে গণধর্ষণ

গ্রেফতার ৩ : আহত ৪

প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক গার্মেন্টস কর্মীকে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় এনে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাতে জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের মালিখিল এলাকার একটি মৎস্য খামারের অফিসকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ রোববার দাউদকান্দির বলদাখাল এলাকা থেকে আসামি গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশ ও আসামিদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ গোলাম রাব্বি ও রাব্বি আহাম্মদ নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। সন্ধ্যায় তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় দুই এএসআই ও দুই কনস্টেবলসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর আগে আল আমিন নামে অভিযুক্ত আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম শহরের পদ্মা গার্মেন্টসে অপারেটর পদে কর্মরত এক কর্মীর (২০) সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে ফেসবুকের সূত্র ধরে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মালিখিল গ্রামের রমিজ মিয়ার ছেলে গোলাম রাব্বীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত শুক্রবার রাব্বী ওই গার্মেন্টসকর্মীকে বিয়ে করবে, এ ব্যাপারে তার বাবা-মা সম্মতি দিয়েছেন, এজন্য সরাসরি দেখতে চায়- একথা বলে তাকে মোবাইল ফোনে দাউদকান্দি চলে আসার জন্য বলে। এতে গার্মেন্টসকর্মী বাসযোগে রাত ১২টার দিকে দাউদকান্দি বাস স্টেশনে এসে পৌঁছেন। এ সময় প্রেমিক গোলাম রাব্বী, তার বন্ধু আল আমিন ও রাব্বি আহাম্মদসহ কয়েকজন তাকে নিয়ে একটি সিএনজিযোগে রওয়ানা করে। এরপর ওই গার্মেন্টসকর্মীকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের মালিখিল এলাকার একটি মৎস্য খামারের অফিসকক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত তাকে গণধর্ষণ করে ঘটনাস্থলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। এদিকে এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মালিখিল গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে আল আমিনকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী রোববার বেলা ৩টার দিকে দাউদকান্দির বলদাখাল সুইস গেইট এলাকায় অভিযানে গেলে আসামিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে গোলাম রাব্বী ও রাব্বি আহাম্মদ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। এ সময় থানার এএসআই আমির হোসেন ও প্রদীপ এবং দুই কনস্টেবলসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে আহত গোলাম রাব্বী ও রাব্বি আহাম্মদ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, ৩ রাউন্ড গুলি, একটি রাম দা, একটি চাকু ও একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সোমবার, ১০ জুন ২০১৯ , ২৭ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ৬ শাওয়াল ১৪৪০

কুমিল্লায় গার্মেন্ট কর্মীকে গণধর্ষণ

গ্রেফতার ৩ : আহত ৪

প্রতিনিধি, কুমিল্লা

প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক গার্মেন্টস কর্মীকে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় এনে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাতে জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের মালিখিল এলাকার একটি মৎস্য খামারের অফিসকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ রোববার দাউদকান্দির বলদাখাল এলাকা থেকে আসামি গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশ ও আসামিদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ গোলাম রাব্বি ও রাব্বি আহাম্মদ নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। সন্ধ্যায় তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় দুই এএসআই ও দুই কনস্টেবলসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর আগে আল আমিন নামে অভিযুক্ত আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম শহরের পদ্মা গার্মেন্টসে অপারেটর পদে কর্মরত এক কর্মীর (২০) সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে ফেসবুকের সূত্র ধরে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মালিখিল গ্রামের রমিজ মিয়ার ছেলে গোলাম রাব্বীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত শুক্রবার রাব্বী ওই গার্মেন্টসকর্মীকে বিয়ে করবে, এ ব্যাপারে তার বাবা-মা সম্মতি দিয়েছেন, এজন্য সরাসরি দেখতে চায়- একথা বলে তাকে মোবাইল ফোনে দাউদকান্দি চলে আসার জন্য বলে। এতে গার্মেন্টসকর্মী বাসযোগে রাত ১২টার দিকে দাউদকান্দি বাস স্টেশনে এসে পৌঁছেন। এ সময় প্রেমিক গোলাম রাব্বী, তার বন্ধু আল আমিন ও রাব্বি আহাম্মদসহ কয়েকজন তাকে নিয়ে একটি সিএনজিযোগে রওয়ানা করে। এরপর ওই গার্মেন্টসকর্মীকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের মালিখিল এলাকার একটি মৎস্য খামারের অফিসকক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত তাকে গণধর্ষণ করে ঘটনাস্থলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। এদিকে এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মালিখিল গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে আল আমিনকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী রোববার বেলা ৩টার দিকে দাউদকান্দির বলদাখাল সুইস গেইট এলাকায় অভিযানে গেলে আসামিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে গোলাম রাব্বী ও রাব্বি আহাম্মদ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। এ সময় থানার এএসআই আমির হোসেন ও প্রদীপ এবং দুই কনস্টেবলসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে আহত গোলাম রাব্বী ও রাব্বি আহাম্মদ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, ৩ রাউন্ড গুলি, একটি রাম দা, একটি চাকু ও একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।