কর্মসংস্থানমুখী প্রবৃদ্ধিসহ অগ্রাধিকার পাচ্ছে পাঁচ বিষয়

আছে রপ্তানি, উন্নয়ন, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যও

আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পাঁচ বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল এই পাঁচ বিষয়কে ‘ফাইভ প্রো’ হিসেবে অভিহিত করছেন। বিষয়গুলো হলো প্রো-গ্রোথ (উন্নয়ন), প্রো-এমপ্লয়মেন্ট (কর্মসংস্থান), প্রো-এক্সপোর্ট (রপ্তানি), প্রো-ডেভেলপমেন্ট (উন্নয়ন) এবং প্রো-প্রডাকশন (উৎপাদন)। একই সঙ্গে অবকাঠামো উন্নয়ন, চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা, দারিদ্র্য বিমোচনও গুরুত্ব পাচ্ছে। ২২ শতাংশ মানুষ এখনও দরিদ্রতার মধ্যে বসবাস করছে। এ হার দ্রুত কীভাবে কমিয়ে আনা যায়, ওই চেষ্টাও থাকবে বাজেটে। এ জন্য দেয়া হবে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্ব। আগামী ১৩ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করা হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার পরিকল্পনাও থাকবে বাজেটে।

অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২১ সালের আগেই দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কে নেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। এ জন্য তিন বছরমেয়াদি আগাম বাজেট পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মানবসম্পদ উন্নয়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সর্বশেষ গত অর্থবছরে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। চলতি বছর এটা সাড়ে ৮ শতাংশের কাছাকাছি। ২০২১ সালের মধ্যেই জিডিপির এ হার দুই অঙ্কে উন্নীত হবে বলে আশা করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে জন্য বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। তা চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা বা সাড়ে ১৩ শতাংশ বেশি। বিশাল এই বাজেট বাস্তাবায়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য দেয়া হচ্ছে। তবে বরাবরের মতো ৫ শতাংশ ঘাটতি ধরে এ বাজেট প্রণয়ন করা হবে।

সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ থাকবে। পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় নেই বললেই চলে। এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আনার উদ্যোগ থাকছে। মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার আলোকে ৩ বছরের মধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগ ২৩ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে। এ জন্য ইকোনমিক জোনগুলো দ্রুত চালুর উদ্যোগ থাকছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেখানে ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এদিকে সরকারি বিনিয়োগ ৮ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজ করা হবে। সহজেই ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

আগামী বাজেটে গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসার, গ্রামের হাটবাজারগুলোয় অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউস হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী নতুন সরকারকে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এ জন্য অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি চলতি বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বাড়ানো হবে। ব্যক্তি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি বাড়ানো হবে ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। পরিবেশ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ১১, আমদানি খাতের ১৪ ও রেমিট্যান্স ১৪ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই হিসাব মাথায় রেখে নতুন সরকারের জন্য এসব লক্ষ্য নির্ধারণ করা হবে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ বিষয়ে বাজেট-পূর্ব এক আলোচনায় বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে প্রতি পরিবারের একজন যাতে চাকরি পায়, এ ব্যবস্থা রাখা হবে। তিনি বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করা হবে। ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে যদি সারাদেশে ৫০ হাজার মেশিন বসানো হয়, তা হলে ওই মেশিন পরিচালনা করতে জনবল দরকার হবে। এভাবেই কর্মসংস্থানের সুযোগের সৃষ্টি হবে। এগুলো কাজ শেষ হলে গ্রামীণ অর্থনৈতিক অবস্থা চাঙ্গা হবে এবং লাখ লাখ যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। রপ্তানি বাড়াতে নতুন নতুন বাজার খোলা হবে। যেসব দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানি হয়, সেখানে রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া রপ্তানির সম্ভাব্য দেশে ইকোনমিক কাউন্সিলর নিয়োগ দেবে সরকার।

রপ্তানির বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ২০২১ সালে দেশের রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য সামনে রেখে পণ্য রপ্তানি ও বাজার সম্প্রসারণের কাজ করে যাচ্ছে সরকার। রপ্তানি আয় বাড়াতে পণ্যে বৈচিত্র্য আনা হবে। রপ্তানিকৃত পণ্যে ভর্তুকির তালিকায় আরও পণ্য যোগ করা হবে। রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো, উৎপাদন বহুমুখীকরণ, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়নেও কাজ করা হচ্ছে। রপ্তানি আয়ের মূল চালিকাশক্তি গার্মেন্ট খাতের আরও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে।

সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৩৬ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভারে ভ্যাটমুক্ত রয়েছে। আগামী বাজেটে এটা বেড়ে ৫০ লাখ টাকা করা হবে। ৮০ লাখ থেকে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত টার্নওভারের ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার হবে ৪ শতাংশ। তা আগামী বাজেটে কার্যকর করা হবে। এসব পদক্ষেপ দেশে উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা করবে বলে মনে করছে সরকার। এছাড়া ইতোমধ্যে বিদেশি কর্মকর্তাদের সম্মানী বা বেতনের অর্থ নিজ দেশে পাঠাতে আরোপিত শর্ত শিথিল করা হয়েছে। এর বাইরে দক্ষতা উন্নয়নে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে রফতানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে বন্ডেড সুবিধাসহ আরও সহজ শর্ত রেখে সরকার নতুন আমদানি নীতি করতে যাচ্ছে।

আরও খবর
বাজেট অধিবেশন আজ শুরু
বৃষ্টির শঙ্কা নিয়ে ব্রিস্টলে আজ বাংলা-লঙ্কা মুখোমুখি
ব্রিস্টলে সূর্যের হাসিতে টাইগারদের অনুশীলন
ব্রিস্টলই কি স্বরূপে ফেরাবে মাশরাফিকে!
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জারদারি গ্রেফতার
রাজধানীর ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতেই মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ
দুদক পরিচালক বাছির সাময়িক বরখাস্ত
সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪২ জন নিহত
এবার সড়কে দুর্ঘটনা কম মৃত্যু বেশি
১৮ মিলিয়ন ডলারের তহবিল সংগ্রহ আরব আমিরাতের
অভিযোগপত্র আদালতে গ্রহণ : শুনানি ২০ জুন
একদিনে সড়কে ঝরল আরও ৭ প্রাণ
বন্দুকযুদ্ধে নিহত সাইফুল বিতর্কিত বদির ভাইদের কথাও বলে গেছে
প্রথম পর্যায়ে মনোনীত ১৩ লাখ ১৮,৮৬৬ শিক্ষার্থী

মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০১৯ , ২৮ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ৭ শাওয়াল ১৪৪০

কর্মসংস্থানমুখী প্রবৃদ্ধিসহ অগ্রাধিকার পাচ্ছে পাঁচ বিষয়

আছে রপ্তানি, উন্নয়ন, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যও

রোকন মাহমুদ

আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পাঁচ বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল এই পাঁচ বিষয়কে ‘ফাইভ প্রো’ হিসেবে অভিহিত করছেন। বিষয়গুলো হলো প্রো-গ্রোথ (উন্নয়ন), প্রো-এমপ্লয়মেন্ট (কর্মসংস্থান), প্রো-এক্সপোর্ট (রপ্তানি), প্রো-ডেভেলপমেন্ট (উন্নয়ন) এবং প্রো-প্রডাকশন (উৎপাদন)। একই সঙ্গে অবকাঠামো উন্নয়ন, চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা, দারিদ্র্য বিমোচনও গুরুত্ব পাচ্ছে। ২২ শতাংশ মানুষ এখনও দরিদ্রতার মধ্যে বসবাস করছে। এ হার দ্রুত কীভাবে কমিয়ে আনা যায়, ওই চেষ্টাও থাকবে বাজেটে। এ জন্য দেয়া হবে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্ব। আগামী ১৩ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করা হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার পরিকল্পনাও থাকবে বাজেটে।

অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২১ সালের আগেই দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কে নেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। এ জন্য তিন বছরমেয়াদি আগাম বাজেট পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মানবসম্পদ উন্নয়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সর্বশেষ গত অর্থবছরে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। চলতি বছর এটা সাড়ে ৮ শতাংশের কাছাকাছি। ২০২১ সালের মধ্যেই জিডিপির এ হার দুই অঙ্কে উন্নীত হবে বলে আশা করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে জন্য বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। তা চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা বা সাড়ে ১৩ শতাংশ বেশি। বিশাল এই বাজেট বাস্তাবায়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য দেয়া হচ্ছে। তবে বরাবরের মতো ৫ শতাংশ ঘাটতি ধরে এ বাজেট প্রণয়ন করা হবে।

সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ থাকবে। পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় নেই বললেই চলে। এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আনার উদ্যোগ থাকছে। মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার আলোকে ৩ বছরের মধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগ ২৩ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে। এ জন্য ইকোনমিক জোনগুলো দ্রুত চালুর উদ্যোগ থাকছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেখানে ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এদিকে সরকারি বিনিয়োগ ৮ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজ করা হবে। সহজেই ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

আগামী বাজেটে গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসার, গ্রামের হাটবাজারগুলোয় অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউস হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী নতুন সরকারকে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এ জন্য অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি চলতি বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বাড়ানো হবে। ব্যক্তি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি বাড়ানো হবে ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। পরিবেশ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ১১, আমদানি খাতের ১৪ ও রেমিট্যান্স ১৪ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই হিসাব মাথায় রেখে নতুন সরকারের জন্য এসব লক্ষ্য নির্ধারণ করা হবে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ বিষয়ে বাজেট-পূর্ব এক আলোচনায় বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে প্রতি পরিবারের একজন যাতে চাকরি পায়, এ ব্যবস্থা রাখা হবে। তিনি বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করা হবে। ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে যদি সারাদেশে ৫০ হাজার মেশিন বসানো হয়, তা হলে ওই মেশিন পরিচালনা করতে জনবল দরকার হবে। এভাবেই কর্মসংস্থানের সুযোগের সৃষ্টি হবে। এগুলো কাজ শেষ হলে গ্রামীণ অর্থনৈতিক অবস্থা চাঙ্গা হবে এবং লাখ লাখ যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। রপ্তানি বাড়াতে নতুন নতুন বাজার খোলা হবে। যেসব দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানি হয়, সেখানে রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া রপ্তানির সম্ভাব্য দেশে ইকোনমিক কাউন্সিলর নিয়োগ দেবে সরকার।

রপ্তানির বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ২০২১ সালে দেশের রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য সামনে রেখে পণ্য রপ্তানি ও বাজার সম্প্রসারণের কাজ করে যাচ্ছে সরকার। রপ্তানি আয় বাড়াতে পণ্যে বৈচিত্র্য আনা হবে। রপ্তানিকৃত পণ্যে ভর্তুকির তালিকায় আরও পণ্য যোগ করা হবে। রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো, উৎপাদন বহুমুখীকরণ, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়নেও কাজ করা হচ্ছে। রপ্তানি আয়ের মূল চালিকাশক্তি গার্মেন্ট খাতের আরও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে।

সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৩৬ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভারে ভ্যাটমুক্ত রয়েছে। আগামী বাজেটে এটা বেড়ে ৫০ লাখ টাকা করা হবে। ৮০ লাখ থেকে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত টার্নওভারের ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার হবে ৪ শতাংশ। তা আগামী বাজেটে কার্যকর করা হবে। এসব পদক্ষেপ দেশে উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা করবে বলে মনে করছে সরকার। এছাড়া ইতোমধ্যে বিদেশি কর্মকর্তাদের সম্মানী বা বেতনের অর্থ নিজ দেশে পাঠাতে আরোপিত শর্ত শিথিল করা হয়েছে। এর বাইরে দক্ষতা উন্নয়নে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে রফতানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে বন্ডেড সুবিধাসহ আরও সহজ শর্ত রেখে সরকার নতুন আমদানি নীতি করতে যাচ্ছে।