কাদের
এবার ঈদযাত্রায় সড়ক পরিবহনে দুর্ঘটনার চেয়ে মৃত্যুর হার বেশি ছিল উল্লেখ করে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবাদুল কাদের বলেছেন, এবার দুর্ঘটনা হয়েছে ৬৬টি। কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। মূলত ইজিবাইক-সিএনজিচালিত অটোরিকশার কারণেই দুর্ঘটনা বেশি হয়। আর এসব দুর্ঘটনায় গাড়িতে থাকা সবাই মারা যান। লং রুটে ড্রাইভিং ও রাস্তার পাশে যানবাহন রাখায় দুর্ঘটনা ও দুর্ভোগ হয়। এবার রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি ছিল। চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে সন্তোষজনক অবস্থানে যেতে পারিনি বলে জানান তিনি। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঈদযাত্রা ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকের অসন্তোষের কারণেই ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিবাদ বা আন্দোলন বাজে রকমের হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ অনেক অপমানিত হয়েছে। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের আন্দোলন রাতারাতি বন্ধ করা যায় না। এ খাতের সঙ্গে অনেক কিছু সংশ্লিষ্ট রয়েছে। শ্রমিকরা ভিন্নমতের ছিলেন না। তারা ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। প্রাথমিকভাবে যুক্তিতর্ক দিয়ে সমাধান করতে দেরি হয়ে গেছে। এটি হয়েছে আমার দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির কারণে। এখন এ বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এ আইনের সঙ্গে নতুন কোন কিছু যোগ করা যায় কিনা। পরিবহন খাতের কাছে সরকার জিম্মি হয়নি। পরিবহন খাতে জনস্বার্থ যাতে জিম্মি না হয়, এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কে শৃঙ্খলার সংকট রয়েছে। বেপরোয়া গাড়িচালক ও যাত্রীর জন্য বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এ জন্য মিটিং ডাকছি। এতে স্বল্প, মধ্য, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হবে। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে না পারলে কোন পরিকল্পনা কাজে আসবে না। তাই শুধু পরিকাঠামো পরিবর্তন করলে হবে না। জনগণের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা ওই লক্ষ্যে কাজ করছি। আশা করছি, আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারব। এবারও ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি ছিল। বিআরটিএ এবার ২৫৫টি মামলা করেছে। এর বিপরীতে ৫ লাখ ২০০ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে। এছাড়া টাঙ্গাইল রুটে যানজট হয়েছে। এর অন্যতম কারণ লং রুটের গাড়ি ও রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে হোটেলে খাবার খাওয়ার প্রবণতা। এর বাইরে এবারের ঈদে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সড়কে ইজিবাইক নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইজিবাইক-সিএনজি বন্ধ করতে হলে আমাদের বিকল্প পথে যেতে হবে। কারণ যারা এসব যানবাহন চালান, তারা গরিব মানুষ। আর যারা গাড়িতে চলাচল করেন, তারা বাধ্য হয়েই করেন। কারণ ওইসব স্থানে যানবাহন সংকটের কারণে এসব যানবাহনেই চলাচল করতে হয়। আমরা এগুলো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। তবে হাইওয়েতে ইজিবাইক-সিএনজি চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। সবকিছু বিবেচনা করেই ইজিবাইক বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
রাজধানীতে রাইড শেয়ারিং বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে উবার, পাঠাওয়ের মতো ২০ থেকে ২২টি কোম্পানি রাইড শেয়ারিং রয়েছে। রাইড শেয়ারিংয়ের কারণে পরিবহন খাতে অনেকটা সংকট নিরসন হয়েছে। অটোরিকশায় ভাড়া বেশি নেয়া বা জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। রাইড শেয়ারিং নিয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। কোন জালিয়াতি পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে রাইড শেয়ারিংয়ের নীতিমালা করা হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০১৯ , ২৮ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ৭ শাওয়াল ১৪৪০
কাদের
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
এবার ঈদযাত্রায় সড়ক পরিবহনে দুর্ঘটনার চেয়ে মৃত্যুর হার বেশি ছিল উল্লেখ করে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবাদুল কাদের বলেছেন, এবার দুর্ঘটনা হয়েছে ৬৬টি। কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। মূলত ইজিবাইক-সিএনজিচালিত অটোরিকশার কারণেই দুর্ঘটনা বেশি হয়। আর এসব দুর্ঘটনায় গাড়িতে থাকা সবাই মারা যান। লং রুটে ড্রাইভিং ও রাস্তার পাশে যানবাহন রাখায় দুর্ঘটনা ও দুর্ভোগ হয়। এবার রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি ছিল। চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে সন্তোষজনক অবস্থানে যেতে পারিনি বলে জানান তিনি। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঈদযাত্রা ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকের অসন্তোষের কারণেই ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিবাদ বা আন্দোলন বাজে রকমের হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ অনেক অপমানিত হয়েছে। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের আন্দোলন রাতারাতি বন্ধ করা যায় না। এ খাতের সঙ্গে অনেক কিছু সংশ্লিষ্ট রয়েছে। শ্রমিকরা ভিন্নমতের ছিলেন না। তারা ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। প্রাথমিকভাবে যুক্তিতর্ক দিয়ে সমাধান করতে দেরি হয়ে গেছে। এটি হয়েছে আমার দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির কারণে। এখন এ বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এ আইনের সঙ্গে নতুন কোন কিছু যোগ করা যায় কিনা। পরিবহন খাতের কাছে সরকার জিম্মি হয়নি। পরিবহন খাতে জনস্বার্থ যাতে জিম্মি না হয়, এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কে শৃঙ্খলার সংকট রয়েছে। বেপরোয়া গাড়িচালক ও যাত্রীর জন্য বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এ জন্য মিটিং ডাকছি। এতে স্বল্প, মধ্য, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হবে। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে না পারলে কোন পরিকল্পনা কাজে আসবে না। তাই শুধু পরিকাঠামো পরিবর্তন করলে হবে না। জনগণের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা ওই লক্ষ্যে কাজ করছি। আশা করছি, আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারব। এবারও ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি ছিল। বিআরটিএ এবার ২৫৫টি মামলা করেছে। এর বিপরীতে ৫ লাখ ২০০ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে। এছাড়া টাঙ্গাইল রুটে যানজট হয়েছে। এর অন্যতম কারণ লং রুটের গাড়ি ও রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে হোটেলে খাবার খাওয়ার প্রবণতা। এর বাইরে এবারের ঈদে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সড়কে ইজিবাইক নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইজিবাইক-সিএনজি বন্ধ করতে হলে আমাদের বিকল্প পথে যেতে হবে। কারণ যারা এসব যানবাহন চালান, তারা গরিব মানুষ। আর যারা গাড়িতে চলাচল করেন, তারা বাধ্য হয়েই করেন। কারণ ওইসব স্থানে যানবাহন সংকটের কারণে এসব যানবাহনেই চলাচল করতে হয়। আমরা এগুলো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। তবে হাইওয়েতে ইজিবাইক-সিএনজি চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। সবকিছু বিবেচনা করেই ইজিবাইক বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
রাজধানীতে রাইড শেয়ারিং বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে উবার, পাঠাওয়ের মতো ২০ থেকে ২২টি কোম্পানি রাইড শেয়ারিং রয়েছে। রাইড শেয়ারিংয়ের কারণে পরিবহন খাতে অনেকটা সংকট নিরসন হয়েছে। অটোরিকশায় ভাড়া বেশি নেয়া বা জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। রাইড শেয়ারিং নিয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। কোন জালিয়াতি পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে রাইড শেয়ারিংয়ের নীতিমালা করা হবে বলে জানান তিনি।