কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকের কাছ থেকে আরও আড়াই লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই ধান কেনা হবে কেজিপ্রতি ২৬ টাকা দরে। এর আগেও ২৬ টাকা দরে দেড় লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক ও খাদ্য সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এবার বোরোর ফলন ‘অনেক উদ্বৃত্ত’ হয়ে গেছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের খাদ্য গুদামগুলোর ধারণক্ষমতা ১৯ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। আর এখন গুদামে আছে ১৪ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য। এরপরও যদি ধানের দাম না বাড়ে, তাহলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি আরও ধান কিনবে সরকার। তিনি বলেন, ‘সোমবার (১০ জুন) প্রধানমন্ত্রী দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা আরও আড়াই লাখ মেট্রিক টন ধান কৃষকের কাছ থেকে কিনব। এতেও বাজার না উঠলে (ধানের) পরিমাণ আরও বাড়াব, যেন কৃষক নায্যমূল্য পান।’
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, এই আড়াই লাখ টনের বাইরে প্রয়োজনে আরও এক বা দুই লাখ মেট্রিক টন ধান কৃষকের কাছ থেকে কেনা হবে।
এবছর বোরো মৌসুমে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, দেড় লাখ টন আতপ চাল এবং দেড় লাখ টন বোরো ধান এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সময় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ২৫ এপ্রিল থেকে প্রতিকেজি ধান ২৬ টাকা এবং প্রতি কেজি চাল ৩৬ টাকায় কিনবে সরকার।
কিন্তু সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয় শুরু হতে দেরি হওয়ার কারণে ফড়িয়ারা সেই সুযোগ নেয়। তারা ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করলে ধান নিয়ে অসহায় অবস্থায় পড়েন কৃষকরা। উৎপাদন খরচ না ওঠায় অসন্তোষ থেকে পাকা ধানে কৃষকের আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটে।
এই পরিস্থিতিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কৃষকদের বাঁচাতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে মন্ত্রণালয়কে বেশি ধান কেনার ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে। একইসঙ্গে চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক বাড়ানো হয়।
এখন পর্যন্ত কৃষকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টন বোরো ধান কেনা হয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক লাখ ২০ হাজার টন ধান কেনা এখনও বাকি আছে।’ আরও আড়াই লাখ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত হওয়ায় এবার সব মিলিয়ে মোট চার লাখ টন বোরো ধান কৃষকের কাছ থেকে কিনবে সরকার।
বুধবার, ১২ জুন ২০১৯ , ২৯ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ৮ শাওয়াল ১৪৪০
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকের কাছ থেকে আরও আড়াই লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই ধান কেনা হবে কেজিপ্রতি ২৬ টাকা দরে। এর আগেও ২৬ টাকা দরে দেড় লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক ও খাদ্য সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এবার বোরোর ফলন ‘অনেক উদ্বৃত্ত’ হয়ে গেছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের খাদ্য গুদামগুলোর ধারণক্ষমতা ১৯ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। আর এখন গুদামে আছে ১৪ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য। এরপরও যদি ধানের দাম না বাড়ে, তাহলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি আরও ধান কিনবে সরকার। তিনি বলেন, ‘সোমবার (১০ জুন) প্রধানমন্ত্রী দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা আরও আড়াই লাখ মেট্রিক টন ধান কৃষকের কাছ থেকে কিনব। এতেও বাজার না উঠলে (ধানের) পরিমাণ আরও বাড়াব, যেন কৃষক নায্যমূল্য পান।’
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, এই আড়াই লাখ টনের বাইরে প্রয়োজনে আরও এক বা দুই লাখ মেট্রিক টন ধান কৃষকের কাছ থেকে কেনা হবে।
এবছর বোরো মৌসুমে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, দেড় লাখ টন আতপ চাল এবং দেড় লাখ টন বোরো ধান এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সময় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ২৫ এপ্রিল থেকে প্রতিকেজি ধান ২৬ টাকা এবং প্রতি কেজি চাল ৩৬ টাকায় কিনবে সরকার।
কিন্তু সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয় শুরু হতে দেরি হওয়ার কারণে ফড়িয়ারা সেই সুযোগ নেয়। তারা ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করলে ধান নিয়ে অসহায় অবস্থায় পড়েন কৃষকরা। উৎপাদন খরচ না ওঠায় অসন্তোষ থেকে পাকা ধানে কৃষকের আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটে।
এই পরিস্থিতিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কৃষকদের বাঁচাতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে মন্ত্রণালয়কে বেশি ধান কেনার ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে। একইসঙ্গে চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক বাড়ানো হয়।
এখন পর্যন্ত কৃষকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টন বোরো ধান কেনা হয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক লাখ ২০ হাজার টন ধান কেনা এখনও বাকি আছে।’ আরও আড়াই লাখ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত হওয়ায় এবার সব মিলিয়ে মোট চার লাখ টন বোরো ধান কৃষকের কাছ থেকে কিনবে সরকার।