তদন্ত কর্মকর্তার দুর্নীতির দায় এড়াতে পারে না দুদক

টিআইবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির এবং পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের মধ্যে ঘুষ লেনদেনের যে অভিযোগ উঠেছেÑ দ্রুততম সময়ের মধ্যে উভয়ের ক্ষেত্রে তদন্ত শেষ করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, তদন্ত কর্মকর্তার দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দুদকের পক্ষে এর দায় কোনভাবেই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। একই সঙ্গে ঘুষ লেনদেনে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তার সব অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দায়ও পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি দুদকের।

দুদক ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ উভয়কেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের ওপর জনগণের ক্ষয়িষ্ণু আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আমরা জেনেছি যে- তথ্য পাচার, চাকরির শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অসদাচরণের অভিযোগে খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং দুদকের তদন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের সুপারিশ করেছে। দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘকালের পুঞ্জিভূত সমস্যা।

দুদক কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে বর্তমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এ বিষয়ে ইতিপূর্বে একাধিকবার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু তা যে বাস্তবে কোন কার্যকর ফল দেয়নি, তার প্রমাণ এই আলোচিত ঘটনা। তাই এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে রীতিমতো শুদ্ধি অভিযান পরিচালিত করতে না পারলে দুদকের ওপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা অসম্ভব হবে। একই সঙ্গে দুর্নীতির আরও ব্যাপক বিস্তার ঘটবে। দেশে দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষায়িত কর্তৃপক্ষের ওপর দেশের মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই তদন্ত শেষ করে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

আরও খবর
সামষ্টিক অর্থনীতি চাপের মুখে
বাজেট পেশ কাল : পাস ৩০ জুন
আরও আড়াই লাখ টন ধান কিনবে সরকার
ব্রিস্টলে বৃষ্টিতে ভাসল বাংলাদেশের আশা
ম্যাচ না হওয়ায় খুবই হতাশ বাংলাদেশ কোচ
গ্রামীণ জীবনে শহরের সুবিধা দিতে থাকবে দিকনির্দেশনা
খেলাপি ঋণের অর্ধেকের বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংকের
ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুদের পুনর্বাসন নীতিমালা তৈরিতে রুল
প্রাণ ও ড্যানিশসহ ১৮ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
সব রেকর্ড আছে, কমিশন ডাকলে পেশ করব -ডিআইজি মিজান
স্কুলছাত্রী জান্নাতিকে পুড়িয়ে হত্যায় থানায় মামলা হয়নি
ওসি মোয়াজ্জেম ঢাকায় লুকিয়ে আছে
বাড়তি ভাড়াসহ নানা দুর্ভোগ নিয়েই ঢাকা ফিরছে মানুষ

বুধবার, ১২ জুন ২০১৯ , ২৯ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ৮ শাওয়াল ১৪৪০

তদন্ত কর্মকর্তার দুর্নীতির দায় এড়াতে পারে না দুদক

টিআইবি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির এবং পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের মধ্যে ঘুষ লেনদেনের যে অভিযোগ উঠেছেÑ দ্রুততম সময়ের মধ্যে উভয়ের ক্ষেত্রে তদন্ত শেষ করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, তদন্ত কর্মকর্তার দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দুদকের পক্ষে এর দায় কোনভাবেই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। একই সঙ্গে ঘুষ লেনদেনে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তার সব অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দায়ও পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি দুদকের।

দুদক ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ উভয়কেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের ওপর জনগণের ক্ষয়িষ্ণু আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আমরা জেনেছি যে- তথ্য পাচার, চাকরির শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অসদাচরণের অভিযোগে খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং দুদকের তদন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের সুপারিশ করেছে। দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘকালের পুঞ্জিভূত সমস্যা।

দুদক কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে বর্তমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এ বিষয়ে ইতিপূর্বে একাধিকবার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু তা যে বাস্তবে কোন কার্যকর ফল দেয়নি, তার প্রমাণ এই আলোচিত ঘটনা। তাই এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে রীতিমতো শুদ্ধি অভিযান পরিচালিত করতে না পারলে দুদকের ওপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা অসম্ভব হবে। একই সঙ্গে দুর্নীতির আরও ব্যাপক বিস্তার ঘটবে। দেশে দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষায়িত কর্তৃপক্ষের ওপর দেশের মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই তদন্ত শেষ করে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।