দুর্নীতি দমন কমিশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ঘুষ নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট বললেও অভিযোগকারী ডিআইজি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, তার কাছে সব রেকর্ড আছে। কমিশন থেকে ডাকা হলে তিনি তা উপস্থাপন করবেন। গতকাল দুপুরে বেইলি রোডের বাসায় সাংবাদিকদের এসব কথা জানান পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান।
ডিআইজি মিজানুর রহমান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন কমিটি করে অডিওটির সত্যতা যাচাই করুক, সংশ্লিষ্ট কমিশনে পাঠাক। এই ভোকালটা উনার (এনামুল বাছিরের) কিনা দেখুক। তাহলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। অডিও ফাঁসের বিষয়ে তিনি বলেন, নিজেকে সেভ করার জন্য এটা করেছি। আমার কাছে সব রেকর্ড আছে। আমাকে যখন ডাকবে তখন সব দেখাব।
কেন তিনি ঘুষ দিয়েছেন এই প্রশ্নের উত্তরে মিজানুর রহমান বলেন, বিভিন্নভাবে আমাকে প্রেশার ক্রিয়েট করে। বারবার দেখা করতে চায়। আমি দেখা করলাম। যখন দেখলাম যে এই লোকটা নিজেই দুর্নীতিবাজ, তখন সেটা তো প্রমাণ করতে হবে। আমি এই বিষয়টাই প্রমাণ করেছি। আমি ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়েছি। আমার স্বজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি তার সব তথ্য আছে। আমি যথাসময়ে অনুসন্ধান কমিটিকে প্রমাণ দেব।
দুদকের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি কমিশনের কাছে অন্যায় কিছু চাচ্ছি না। আইন অনুযায়ী ন্যায়বিচার চাচ্ছি। উনারা যদি সেটা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমাকে আইনি আশ্রয় নিতে হবে। আমি আশা করব তদন্ত কর্মকর্তা কোন রাগ-অনুরাগের বশবর্তী হয়ে নয়, স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশনের একজন সদস্য হিসেবে আমার ওপর জাস্টিস অ্যাপ্লাই করবেন। জিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।
অনুসন্ধানকালে তিনি কয়েক দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ডিআইজি মিজানুর রহমান। তিনি একটি অডিও ফাঁস করেন। যেখানে ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের কথোপকথন রয়েছে। এ অভিযোগের পর কমিশন থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে আলাদা তদন্ত হবে বলে গত রোববার সাংবাদিকদের জানান দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
বুধবার, ১২ জুন ২০১৯ , ২৯ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ৮ শাওয়াল ১৪৪০
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
দুর্নীতি দমন কমিশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ঘুষ নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট বললেও অভিযোগকারী ডিআইজি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, তার কাছে সব রেকর্ড আছে। কমিশন থেকে ডাকা হলে তিনি তা উপস্থাপন করবেন। গতকাল দুপুরে বেইলি রোডের বাসায় সাংবাদিকদের এসব কথা জানান পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান।
ডিআইজি মিজানুর রহমান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন কমিটি করে অডিওটির সত্যতা যাচাই করুক, সংশ্লিষ্ট কমিশনে পাঠাক। এই ভোকালটা উনার (এনামুল বাছিরের) কিনা দেখুক। তাহলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। অডিও ফাঁসের বিষয়ে তিনি বলেন, নিজেকে সেভ করার জন্য এটা করেছি। আমার কাছে সব রেকর্ড আছে। আমাকে যখন ডাকবে তখন সব দেখাব।
কেন তিনি ঘুষ দিয়েছেন এই প্রশ্নের উত্তরে মিজানুর রহমান বলেন, বিভিন্নভাবে আমাকে প্রেশার ক্রিয়েট করে। বারবার দেখা করতে চায়। আমি দেখা করলাম। যখন দেখলাম যে এই লোকটা নিজেই দুর্নীতিবাজ, তখন সেটা তো প্রমাণ করতে হবে। আমি এই বিষয়টাই প্রমাণ করেছি। আমি ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়েছি। আমার স্বজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি তার সব তথ্য আছে। আমি যথাসময়ে অনুসন্ধান কমিটিকে প্রমাণ দেব।
দুদকের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি কমিশনের কাছে অন্যায় কিছু চাচ্ছি না। আইন অনুযায়ী ন্যায়বিচার চাচ্ছি। উনারা যদি সেটা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমাকে আইনি আশ্রয় নিতে হবে। আমি আশা করব তদন্ত কর্মকর্তা কোন রাগ-অনুরাগের বশবর্তী হয়ে নয়, স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশনের একজন সদস্য হিসেবে আমার ওপর জাস্টিস অ্যাপ্লাই করবেন। জিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।
অনুসন্ধানকালে তিনি কয়েক দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ডিআইজি মিজানুর রহমান। তিনি একটি অডিও ফাঁস করেন। যেখানে ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের কথোপকথন রয়েছে। এ অভিযোগের পর কমিশন থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে আলাদা তদন্ত হবে বলে গত রোববার সাংবাদিকদের জানান দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।