গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে : পুলিশ
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকান্ডের ঘটনায় আলোচিত ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ঢাকায় অবস্থানের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে তাকে খুঁজছে পুলিশ। আদালতের পরোয়ানা তামিল করতে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতারে ঢাকায় অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ফেনীর সোনাগাজী সার্কেলের এএসপি সাইকুল আহমেদ ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, মোয়াজ্জেম ঢাকায় আছেন বলে তথ্য তাদের কাছে আছে। ঢাকায় সম্ভাব্য সব জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে, এখনও চলছে। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ওমর ফারুকও বলেন, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। আদালতের পরোয়ানার পর দুই সপ্তাহেও এই পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতার না হওয়ায় সমালোচনার মুখে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এদিন সকালেই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, একটা লোক পলাতক হলে তাকে অ্যারেস্ট করা কষ্টকরই হয়। তবে চেষ্টার কোন ক্রটি হচ্ছে না। খুব শীঘ্রই হয়ত শুনবেন ধরা পড়েছে।
গত মার্চ মাসে নুসরাত যখন তার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছিলেন, তখন সোনাগাজী থানার ওসি ছিলেন মোয়াজ্জেম। ওই মামলায় নুসরাতের জবানবন্দি নেয়ার পর তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলা হয় ঢাকায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। ওই মামলায় গত ২৭ মে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল এই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করে।
কিন্তু এপ্রিলের শুরুতে নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পর সমালোচনার মুখে ওসি মোয়াজ্জেমকে সোনাগাজী থেকে সরিয়ে নেয়া হয় পুলিশের রংপুর রেঞ্জে। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়। তারপর আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল নিয়ে ফেনী পুলিশের সঙ্গে রংপুর পুলিশের ঠেলাঠেলির মধ্যে লাপাত্তা হয়ে যান ওসি মোয়াজ্জেম। পরে ফেনী পুলিশই ওই পরোয়ানা তামিলের কাজ শুরু করে।
ওসি মোয়াজ্জেম পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকেই বলা হলেও পরোয়ানা জারির দুদিন পর আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আইনজীবীর মাধ্যমে তার আবেদন জমা পড়ে। সোনাগাজীর এএসপি সাইকুল বলেন, জামিনের জন্য তাকে (ওসি মোয়াজ্জেম) ঢাকায় থাকতে হবে। পুলিশ সদর দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলেও তাকে ঢাকায় অবস্থান জরুরি। অভিযানে অংশ নেয়া এক কর্মকর্তা বলেন, মোয়াজ্জেম ধরা না দিয়ে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করতে পারেন। আমরা আদালতপাড়ায়ও নজরদারি রাখছি। ওসি মোয়াজ্জেম কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, সেদিকেও দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এছাড়া, তার গ্রামের বাড়ি যশোরেও খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
বুধবার, ১২ জুন ২০১৯ , ২৯ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ৮ শাওয়াল ১৪৪০
গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে : পুলিশ
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকান্ডের ঘটনায় আলোচিত ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ঢাকায় অবস্থানের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে তাকে খুঁজছে পুলিশ। আদালতের পরোয়ানা তামিল করতে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতারে ঢাকায় অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ফেনীর সোনাগাজী সার্কেলের এএসপি সাইকুল আহমেদ ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, মোয়াজ্জেম ঢাকায় আছেন বলে তথ্য তাদের কাছে আছে। ঢাকায় সম্ভাব্য সব জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে, এখনও চলছে। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ওমর ফারুকও বলেন, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। আদালতের পরোয়ানার পর দুই সপ্তাহেও এই পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতার না হওয়ায় সমালোচনার মুখে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এদিন সকালেই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, একটা লোক পলাতক হলে তাকে অ্যারেস্ট করা কষ্টকরই হয়। তবে চেষ্টার কোন ক্রটি হচ্ছে না। খুব শীঘ্রই হয়ত শুনবেন ধরা পড়েছে।
গত মার্চ মাসে নুসরাত যখন তার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছিলেন, তখন সোনাগাজী থানার ওসি ছিলেন মোয়াজ্জেম। ওই মামলায় নুসরাতের জবানবন্দি নেয়ার পর তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলা হয় ঢাকায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। ওই মামলায় গত ২৭ মে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল এই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করে।
কিন্তু এপ্রিলের শুরুতে নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পর সমালোচনার মুখে ওসি মোয়াজ্জেমকে সোনাগাজী থেকে সরিয়ে নেয়া হয় পুলিশের রংপুর রেঞ্জে। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়। তারপর আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল নিয়ে ফেনী পুলিশের সঙ্গে রংপুর পুলিশের ঠেলাঠেলির মধ্যে লাপাত্তা হয়ে যান ওসি মোয়াজ্জেম। পরে ফেনী পুলিশই ওই পরোয়ানা তামিলের কাজ শুরু করে।
ওসি মোয়াজ্জেম পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকেই বলা হলেও পরোয়ানা জারির দুদিন পর আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আইনজীবীর মাধ্যমে তার আবেদন জমা পড়ে। সোনাগাজীর এএসপি সাইকুল বলেন, জামিনের জন্য তাকে (ওসি মোয়াজ্জেম) ঢাকায় থাকতে হবে। পুলিশ সদর দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলেও তাকে ঢাকায় অবস্থান জরুরি। অভিযানে অংশ নেয়া এক কর্মকর্তা বলেন, মোয়াজ্জেম ধরা না দিয়ে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করতে পারেন। আমরা আদালতপাড়ায়ও নজরদারি রাখছি। ওসি মোয়াজ্জেম কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, সেদিকেও দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এছাড়া, তার গ্রামের বাড়ি যশোরেও খোঁজ নেয়া হচ্ছে।