বাড়তি ভাড়াসহ নানা দুর্ভোগ নিয়েই ঢাকা ফিরছে মানুষ

ঈদ শেষে ছুটি কাটিয়ে রাজধানীতে ফিরছে নগরবাসী। গতকাল রাজধানীর বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে ছিল ঢাকা ফেরত যাত্রীদের প্রচন্ড ভিড়। প্রতিটি পরিবহন যাত্রী বোঝাই করে রাজধানীতে প্রবেশ করেছে। ছাদে যাত্রী পরিবহন নিষেধ থাকলেও কেউ তা মানছে না। প্রতিটি লঞ্চ ও ট্রেন ছাদে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। এবার মহাসড়কে যানজটের ভোগান্তি না থাকলেও ঢাকা প্রবেশের পর যানজট গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়াসহ নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। বিশেষ করে লঞ্চ ও ফেরিঘাটে যাত্রীদের জিম্মি করে দুই-তিনগুণ ভাড়া আদায় করছে গণপরিবহন চালকরা। এছাড়া প্রতিদিনের মতো গতকালও রেলওয়ে শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে রেলপথের যাত্রীদের। পাশাপাশি অতিরিক্ত বোঝাইয়ের কারণে নির্ধারিত আসনে বসতে পারেনি অনেক ট্রেন যাত্রী। তাই ঈদের আগে রেলওলে অগ্রিম ফিরতি টিকিট কেটে দাঁড়িয়ে থেকে ঢাকা ফিরতে হয়েছে বলে অনেক যাত্রী অভিযোগ করেন। তাই আন্তঃনগর ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রয় বন্ধের দাবি জানান যাত্রীরা।

সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের ৬ দিন পরেও গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালে যাত্রীদের প্রচ- ভিড়। জীবিকার তাগিদেই এ শহরে বাস করেন কোটি মানুষ। ঈদের ছুটিতে নগরবাসী শেকড়ের টানে বাড়ি যাওয়ায় এ শহর প্রাণ হারিয়েছিল। কিন্তু ঈদের দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে এখনো ফিরছেন অনেকে। ফলে ঢাকা শহর ফিরে পাচ্ছে তার পুরনো চেহারা। গতকাল রাজধানীতে ফেরার বেলায়ও বাস ও লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৩ জুন একদিনের ছুটি নিয়ে গত ৩০ মে থেকেই অনেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। ৯ জুন অফিস খোলায় অনেকে শনিবার ঢাকায় ফিরেছেন। তবে অনেকে অতিরিক্ত ছুটি নেয়ায় গতকালও রাজধানীতে ফিরতে দেখা গেছে। এছাড়া পরিবারের যারা চাকরিজীবী নন, তারা আরও কিছু দিন সময় নিয়ে ধীরে ধীরে রাজধানীতে আসবেন বলে জানান অনেকে।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যাতায়াতের প্রধান বাহন লঞ্চ। নৌপথে সদরঘাটে এসেই লঞ্চগুলো ভিড়ে। মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর প্রধান লঞ্চ টার্মিনাল সদরঘাটে যাত্রীদের বেশ চাপ দেখা গেলো। বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, চরফ্যাশন, হুলারহাট, ভান্ডারিয়া, লালমোহনসহ দেশের বিভিন্ন রুটের যাত্রী নিয়ে টার্মিনালে আসে লঞ্চগুলো। এছাড়াও ঢাকা থেকে দূরত্ব কম হওয়ায় চাঁদপুরসহ মেঘনার আশপাশের উপজেলাগুলো থেকে সারাদিনই লঞ্চ এসে ঘাটে ভিড়ে। পরিবার পরিজন নিয়ে শেকড়ের টান ফেলে রাজধানীতে ফিরছেন কর্মজীবী এসব মানুষ। লঞ্চগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী না থাকলেও সবগুলো লঞ্চের আসন কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। ছিনতাই ও অপরাধ ঠেকাতে সদরঘাটে নৌ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিল তৎপর। বরগুনা থেকে ঢাকায় ফিরেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কর্মকর্তা ইনামুল। তিনি বলেন, অতিরিক্ত তিনদিন ছুটি নিয়েছি। তাই মঙ্গলবার ঢাকায় ফিরলাম। বুধবার থেকে কর্মক্ষেত্রে যোগ দেব। ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতে তেমন দুর্ভোগ না হলেও বাড়তি ভাড়া রাখা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তার।

এদিকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ট্রেনে করেও রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ। গতকাল সারাদিন ৩৩টি আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকায় আসে। অধিকাংশ ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনি। শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে রেলযাত্রীদের। পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী নীলসাগর, রংপুর ও সুন্দরবনসহ কয়েকটি ট্রেন এক থেকে দেড় ঘণ্টা দেরিতে ঢাকায় পৌঁছায়। এছাড়া পূর্বাঞ্চল থেকে ঢাকায় আসা প্রতিটি ট্রেনের বিলম্ব হয়েছে। অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসের যাত্রী উম্মে সানজিদা জিনিয়া বলেন, আমরা ঝক্কি ঝামেলা ছাড়াই ঢাকায় আসতে পেরেছি। আধ ঘণ্টা দেরি হয়েছে। মোটামুটি সময়মতো পৌঁছাতে পেরেছি।

তবে ফেরার পথে অনেক যাত্রী নির্ধারিত আসনে বসতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন। তানভীর নামের কিশোরগঞ্জ থেকে আসা এগারো সিন্দুর ট্রেনের এক যাত্রী বলেন, ঢাকা আসার জন্য টিকিট কেটে ট্রেন উঠি। কিন্তু মানুষের চাপের কারণে নির্ধারিত সিটে বসতে পারি নাই। অবশেষে দাঁড়িয়ে ঢাকায় ফিরতে হয়েছে।

এ বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময় যে চাপটা থাকে, ফেরার বেলায় তা নেই। এবার আমরা যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখনো অনেক লোক ঢাকায় ফিরছেন।

এদিকে রাজধানীর প্রধান তিন বাস টার্মিনাল সায়েদাবাদ, গাবতলী ও মহাখালীতে দূরপাল্লার বাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাজধানী ফিরছেন মানুষ। গ্রিন লাইন, হানিফ, ইউনিক, শ্যামলী ও এনাসহ দূরপাল্লা থেকে আসা সব বাসেই কোনো আসন ফাকা ছিল না। এছাড়া ভারতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরাও এসেছেন গ্রিন লাইন ও শ্যামলীর বাসে করে। তবে বিভিন্ন রুটের এসব বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। সায়েদাবাদে নোয়াখালী থেকে আসা যাত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েছে। নোয়াখালীর ভাড়া ননএসি ৩০০ টাকা হলেও প্রতিটি বাসই ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা আদায় করছে।’ রংপুর থেকে আসা এক যাত্রী বলেন, ‘ননএসি ভাড়া ৫০০ টাকা হলেও ক্ষেত্রবিশেষ ৭০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। কারণ জানতে চাইলে কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা বলেন, ইচ্ছে হলে যান, না হয় এতো ঝামেলা করবেন না।’

image

শিবচর (মাদারীপুর) : কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় -সংবাদ

আরও খবর
সামষ্টিক অর্থনীতি চাপের মুখে
বাজেট পেশ কাল : পাস ৩০ জুন
আরও আড়াই লাখ টন ধান কিনবে সরকার
ব্রিস্টলে বৃষ্টিতে ভাসল বাংলাদেশের আশা
ম্যাচ না হওয়ায় খুবই হতাশ বাংলাদেশ কোচ
গ্রামীণ জীবনে শহরের সুবিধা দিতে থাকবে দিকনির্দেশনা
খেলাপি ঋণের অর্ধেকের বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংকের
তদন্ত কর্মকর্তার দুর্নীতির দায় এড়াতে পারে না দুদক
ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুদের পুনর্বাসন নীতিমালা তৈরিতে রুল
প্রাণ ও ড্যানিশসহ ১৮ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
সব রেকর্ড আছে, কমিশন ডাকলে পেশ করব -ডিআইজি মিজান
স্কুলছাত্রী জান্নাতিকে পুড়িয়ে হত্যায় থানায় মামলা হয়নি
ওসি মোয়াজ্জেম ঢাকায় লুকিয়ে আছে

বুধবার, ১২ জুন ২০১৯ , ২৯ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ৮ শাওয়াল ১৪৪০

বাড়তি ভাড়াসহ নানা দুর্ভোগ নিয়েই ঢাকা ফিরছে মানুষ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

শিবচর (মাদারীপুর) : কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় -সংবাদ

ঈদ শেষে ছুটি কাটিয়ে রাজধানীতে ফিরছে নগরবাসী। গতকাল রাজধানীর বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে ছিল ঢাকা ফেরত যাত্রীদের প্রচন্ড ভিড়। প্রতিটি পরিবহন যাত্রী বোঝাই করে রাজধানীতে প্রবেশ করেছে। ছাদে যাত্রী পরিবহন নিষেধ থাকলেও কেউ তা মানছে না। প্রতিটি লঞ্চ ও ট্রেন ছাদে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। এবার মহাসড়কে যানজটের ভোগান্তি না থাকলেও ঢাকা প্রবেশের পর যানজট গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়াসহ নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। বিশেষ করে লঞ্চ ও ফেরিঘাটে যাত্রীদের জিম্মি করে দুই-তিনগুণ ভাড়া আদায় করছে গণপরিবহন চালকরা। এছাড়া প্রতিদিনের মতো গতকালও রেলওয়ে শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে রেলপথের যাত্রীদের। পাশাপাশি অতিরিক্ত বোঝাইয়ের কারণে নির্ধারিত আসনে বসতে পারেনি অনেক ট্রেন যাত্রী। তাই ঈদের আগে রেলওলে অগ্রিম ফিরতি টিকিট কেটে দাঁড়িয়ে থেকে ঢাকা ফিরতে হয়েছে বলে অনেক যাত্রী অভিযোগ করেন। তাই আন্তঃনগর ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রয় বন্ধের দাবি জানান যাত্রীরা।

সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের ৬ দিন পরেও গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালে যাত্রীদের প্রচ- ভিড়। জীবিকার তাগিদেই এ শহরে বাস করেন কোটি মানুষ। ঈদের ছুটিতে নগরবাসী শেকড়ের টানে বাড়ি যাওয়ায় এ শহর প্রাণ হারিয়েছিল। কিন্তু ঈদের দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে এখনো ফিরছেন অনেকে। ফলে ঢাকা শহর ফিরে পাচ্ছে তার পুরনো চেহারা। গতকাল রাজধানীতে ফেরার বেলায়ও বাস ও লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৩ জুন একদিনের ছুটি নিয়ে গত ৩০ মে থেকেই অনেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। ৯ জুন অফিস খোলায় অনেকে শনিবার ঢাকায় ফিরেছেন। তবে অনেকে অতিরিক্ত ছুটি নেয়ায় গতকালও রাজধানীতে ফিরতে দেখা গেছে। এছাড়া পরিবারের যারা চাকরিজীবী নন, তারা আরও কিছু দিন সময় নিয়ে ধীরে ধীরে রাজধানীতে আসবেন বলে জানান অনেকে।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যাতায়াতের প্রধান বাহন লঞ্চ। নৌপথে সদরঘাটে এসেই লঞ্চগুলো ভিড়ে। মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর প্রধান লঞ্চ টার্মিনাল সদরঘাটে যাত্রীদের বেশ চাপ দেখা গেলো। বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, চরফ্যাশন, হুলারহাট, ভান্ডারিয়া, লালমোহনসহ দেশের বিভিন্ন রুটের যাত্রী নিয়ে টার্মিনালে আসে লঞ্চগুলো। এছাড়াও ঢাকা থেকে দূরত্ব কম হওয়ায় চাঁদপুরসহ মেঘনার আশপাশের উপজেলাগুলো থেকে সারাদিনই লঞ্চ এসে ঘাটে ভিড়ে। পরিবার পরিজন নিয়ে শেকড়ের টান ফেলে রাজধানীতে ফিরছেন কর্মজীবী এসব মানুষ। লঞ্চগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী না থাকলেও সবগুলো লঞ্চের আসন কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। ছিনতাই ও অপরাধ ঠেকাতে সদরঘাটে নৌ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিল তৎপর। বরগুনা থেকে ঢাকায় ফিরেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কর্মকর্তা ইনামুল। তিনি বলেন, অতিরিক্ত তিনদিন ছুটি নিয়েছি। তাই মঙ্গলবার ঢাকায় ফিরলাম। বুধবার থেকে কর্মক্ষেত্রে যোগ দেব। ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতে তেমন দুর্ভোগ না হলেও বাড়তি ভাড়া রাখা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তার।

এদিকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ট্রেনে করেও রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ। গতকাল সারাদিন ৩৩টি আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকায় আসে। অধিকাংশ ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনি। শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে রেলযাত্রীদের। পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী নীলসাগর, রংপুর ও সুন্দরবনসহ কয়েকটি ট্রেন এক থেকে দেড় ঘণ্টা দেরিতে ঢাকায় পৌঁছায়। এছাড়া পূর্বাঞ্চল থেকে ঢাকায় আসা প্রতিটি ট্রেনের বিলম্ব হয়েছে। অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসের যাত্রী উম্মে সানজিদা জিনিয়া বলেন, আমরা ঝক্কি ঝামেলা ছাড়াই ঢাকায় আসতে পেরেছি। আধ ঘণ্টা দেরি হয়েছে। মোটামুটি সময়মতো পৌঁছাতে পেরেছি।

তবে ফেরার পথে অনেক যাত্রী নির্ধারিত আসনে বসতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন। তানভীর নামের কিশোরগঞ্জ থেকে আসা এগারো সিন্দুর ট্রেনের এক যাত্রী বলেন, ঢাকা আসার জন্য টিকিট কেটে ট্রেন উঠি। কিন্তু মানুষের চাপের কারণে নির্ধারিত সিটে বসতে পারি নাই। অবশেষে দাঁড়িয়ে ঢাকায় ফিরতে হয়েছে।

এ বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময় যে চাপটা থাকে, ফেরার বেলায় তা নেই। এবার আমরা যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখনো অনেক লোক ঢাকায় ফিরছেন।

এদিকে রাজধানীর প্রধান তিন বাস টার্মিনাল সায়েদাবাদ, গাবতলী ও মহাখালীতে দূরপাল্লার বাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাজধানী ফিরছেন মানুষ। গ্রিন লাইন, হানিফ, ইউনিক, শ্যামলী ও এনাসহ দূরপাল্লা থেকে আসা সব বাসেই কোনো আসন ফাকা ছিল না। এছাড়া ভারতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরাও এসেছেন গ্রিন লাইন ও শ্যামলীর বাসে করে। তবে বিভিন্ন রুটের এসব বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। সায়েদাবাদে নোয়াখালী থেকে আসা যাত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েছে। নোয়াখালীর ভাড়া ননএসি ৩০০ টাকা হলেও প্রতিটি বাসই ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা আদায় করছে।’ রংপুর থেকে আসা এক যাত্রী বলেন, ‘ননএসি ভাড়া ৫০০ টাকা হলেও ক্ষেত্রবিশেষ ৭০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। কারণ জানতে চাইলে কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা বলেন, ইচ্ছে হলে যান, না হয় এতো ঝামেলা করবেন না।’