টনটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে তরতর করে এগোচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার স্কোর। একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ৪০০ ছুঁই ছুঁই স্কোর হবে অজিদের। ক্যাঙারুদের স্কোর আকাশছোঁয়া হতে দিলেন না মোহাম্মদ আমির। যে আমিরকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডেই রাখা হয়নি, তিনিই হয়ে উঠলেন পাকিস্তানের ত্রাতা। শিকার করলেন পাঁচটি উইকেট। ফলে ডেভিড ওয়ার্নারের শতরানের ইনিংসটার পরও অজিদের স্কোর ৩০৭ রান। এক ওভার হাতে থাকতেই অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। জয়ের জন্য পাকিস্তানের টার্গেট ৩০৮ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ রীতিমতো চড়াও হয়েছিলেন পাকিস্তানের বোলিং ডিপার্টমেন্টের ওপর। হাত খুলে মারতে থাকা ফিঞ্চ ৮৪ বলে ৮২ রান করে আমিরের বলে ফেরার আগে প্রথম উইকেটে গড়েন ১৪৬ রানের পার্টনারশিপ। অবশ্য ৩০ রানে একবার জীবন পেয়েছিলেন অজি অধিনায়ক। সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ১৩ বল খেলে ১০ রান করে শিকার হন আসিফ আলির বলে।
ব্যাটে ঝড় তোলা হয়নি গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। শাহিন আফ্রিদির বলে স্ট্যাম্প খুইয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ২০ রানের মাথায়।
একপ্রান্ত আগলে রেখে বল টেম্পারিং কান্ডে নিষিদ্ধ হওয়ার আগের সেঞ্চুরিটার ৬০০ দিন পর আবারও শতরানের ইনিংস খেলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ১১১ বলে ১০৭ রান করে শাহিন আফ্রিদির বলে ইমাম-উল-হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ওসমান খাজাকে ব্যাটিং অর্ডারের নিচের দিকে নামিয়েও সাফল্য পায়নি অস্ট্রেলিয়া। ১৬ বলে ১৮ রান জমা দিয়ে তিনিও আমিরের শিকার হন।
একই পেসারের তৃতীয় শিকার হয়ে ২৬ বলে ২৩ রান করে শন মার্শ সাজঘরে ফিরলে অজিদের বড় স্কোর গড়ার পথ বাধাপ্রাপ্ত হয় দারুণভাবেই। উল্টো করে বললে ম্যাচে ফেরে পাকিস্তান। ৩ বলে ২ রান করে ওয়াহাব রিয়াজের বলে নাথান কোল্টার-নাইল সাজঘরের পথ ধরেন। হাসান আলীর বলে উইকেটের পেছনে পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজের হাতে ধরা পড়ার আগে ৬ বলে খেলে ২ রান জমা দেন প্যাট কামিন্স। আমিরের বলে অ্যালেক্স ক্যারি (২০) এবং মিচেল স্টার্ক (৩) ফিরলে এক ওভার বাকি থাকতেই অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ৩০৭ রানে। নিজের কোটার ১০ ওভারে দুটি মেডেনসহ মাত্র ৩০ রানের বিনিময়ে আমিরের পাঁচ উইকেট শিকারই যে পাকিস্তানের নাগালের বাইরে যায়নি অজিদের স্কোর, তা বলা বাহুল্য। আমিরের সঙ্গে শাহিন আফ্রিদির শিকার দুটি উইকেট।
বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০১৯ , ৩০ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ৯ শাওয়াল ১৪৪০
বিশেষ প্রতিনিধি
টনটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে তরতর করে এগোচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার স্কোর। একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ৪০০ ছুঁই ছুঁই স্কোর হবে অজিদের। ক্যাঙারুদের স্কোর আকাশছোঁয়া হতে দিলেন না মোহাম্মদ আমির। যে আমিরকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডেই রাখা হয়নি, তিনিই হয়ে উঠলেন পাকিস্তানের ত্রাতা। শিকার করলেন পাঁচটি উইকেট। ফলে ডেভিড ওয়ার্নারের শতরানের ইনিংসটার পরও অজিদের স্কোর ৩০৭ রান। এক ওভার হাতে থাকতেই অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। জয়ের জন্য পাকিস্তানের টার্গেট ৩০৮ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ রীতিমতো চড়াও হয়েছিলেন পাকিস্তানের বোলিং ডিপার্টমেন্টের ওপর। হাত খুলে মারতে থাকা ফিঞ্চ ৮৪ বলে ৮২ রান করে আমিরের বলে ফেরার আগে প্রথম উইকেটে গড়েন ১৪৬ রানের পার্টনারশিপ। অবশ্য ৩০ রানে একবার জীবন পেয়েছিলেন অজি অধিনায়ক। সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ১৩ বল খেলে ১০ রান করে শিকার হন আসিফ আলির বলে।
ব্যাটে ঝড় তোলা হয়নি গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। শাহিন আফ্রিদির বলে স্ট্যাম্প খুইয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ২০ রানের মাথায়।
একপ্রান্ত আগলে রেখে বল টেম্পারিং কান্ডে নিষিদ্ধ হওয়ার আগের সেঞ্চুরিটার ৬০০ দিন পর আবারও শতরানের ইনিংস খেলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ১১১ বলে ১০৭ রান করে শাহিন আফ্রিদির বলে ইমাম-উল-হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ওসমান খাজাকে ব্যাটিং অর্ডারের নিচের দিকে নামিয়েও সাফল্য পায়নি অস্ট্রেলিয়া। ১৬ বলে ১৮ রান জমা দিয়ে তিনিও আমিরের শিকার হন।
একই পেসারের তৃতীয় শিকার হয়ে ২৬ বলে ২৩ রান করে শন মার্শ সাজঘরে ফিরলে অজিদের বড় স্কোর গড়ার পথ বাধাপ্রাপ্ত হয় দারুণভাবেই। উল্টো করে বললে ম্যাচে ফেরে পাকিস্তান। ৩ বলে ২ রান করে ওয়াহাব রিয়াজের বলে নাথান কোল্টার-নাইল সাজঘরের পথ ধরেন। হাসান আলীর বলে উইকেটের পেছনে পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজের হাতে ধরা পড়ার আগে ৬ বলে খেলে ২ রান জমা দেন প্যাট কামিন্স। আমিরের বলে অ্যালেক্স ক্যারি (২০) এবং মিচেল স্টার্ক (৩) ফিরলে এক ওভার বাকি থাকতেই অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ৩০৭ রানে। নিজের কোটার ১০ ওভারে দুটি মেডেনসহ মাত্র ৩০ রানের বিনিময়ে আমিরের পাঁচ উইকেট শিকারই যে পাকিস্তানের নাগালের বাইরে যায়নি অজিদের স্কোর, তা বলা বাহুল্য। আমিরের সঙ্গে শাহিন আফ্রিদির শিকার দুটি উইকেট।