গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৩ বছর

বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৬ লাখ এবং দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ দশমিক ৩ হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)। গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস অব বাংলাদেশের (এমএসভিএসবি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মধ্যে পুরুষের আয়ু ৭০ দশমিক ৮ বছর ও নারীর আয়ু ৭৩ দশমিক ৮ বছর।

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) দ্বিতীয় পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়। আদমশুমারির মধ্যবর্তী অবস্থা তুলে ধরতে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ বছর। ২০১৬ সালে ৭১ দশমিক ৬ বছর, ২০১৫ সালে ৭০ দশমিক ৯ বছর, ২০১৪ সালে ৭০ দশমিক ৭ বছর, ২০১৩ সালে ৭০ দশমিক ৪ বছর এবং ২০০৮ সালে গড় আয়ু ছিল ৬৬ দশমিক ৮ বছর।

২০১৮ সালে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে ১৯ লাখ হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৪৬ লাখ। পুরুষের সংখ্যা বেড়েছে ৮ কোটি ২৪ লাখ ও নারীর সংখ্যা বেড়েছে ৮ কোটি ২২ লাখ। ২০১৭ সালে জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ২৭ লাখ।

এমএসভিএসবির জরিপে উঠে এসেছে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৩ ভাগ। মাথাপিছু আয় এক হাজার ৯০৯ ডলার। এ ছাড়া অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে এগিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে। দেশ সব খাতে এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী অর্থাৎ ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা ২০১৭ সালের তুলনায় বেড়ে ২০১৮-তে দশমিক ?২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ, ১৫ থেকে ৪৯ বছরের ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ, ৫০ থেকে ৫৯ বছরের ৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যা ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ২০১৮ সালে ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা ২০১৭ সালের তুলনায় দশমিক শূন্য এক শতাংশ কম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, বিবিএসের মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল হক প্রমুখ।

বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০১৯ , ৩০ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ৯ শাওয়াল ১৪৪০

গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৩ বছর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৬ লাখ এবং দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ দশমিক ৩ হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)। গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস অব বাংলাদেশের (এমএসভিএসবি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মধ্যে পুরুষের আয়ু ৭০ দশমিক ৮ বছর ও নারীর আয়ু ৭৩ দশমিক ৮ বছর।

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) দ্বিতীয় পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়। আদমশুমারির মধ্যবর্তী অবস্থা তুলে ধরতে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ বছর। ২০১৬ সালে ৭১ দশমিক ৬ বছর, ২০১৫ সালে ৭০ দশমিক ৯ বছর, ২০১৪ সালে ৭০ দশমিক ৭ বছর, ২০১৩ সালে ৭০ দশমিক ৪ বছর এবং ২০০৮ সালে গড় আয়ু ছিল ৬৬ দশমিক ৮ বছর।

২০১৮ সালে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে ১৯ লাখ হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৪৬ লাখ। পুরুষের সংখ্যা বেড়েছে ৮ কোটি ২৪ লাখ ও নারীর সংখ্যা বেড়েছে ৮ কোটি ২২ লাখ। ২০১৭ সালে জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ২৭ লাখ।

এমএসভিএসবির জরিপে উঠে এসেছে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৩ ভাগ। মাথাপিছু আয় এক হাজার ৯০৯ ডলার। এ ছাড়া অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে এগিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে। দেশ সব খাতে এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী অর্থাৎ ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা ২০১৭ সালের তুলনায় বেড়ে ২০১৮-তে দশমিক ?২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ, ১৫ থেকে ৪৯ বছরের ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ, ৫০ থেকে ৫৯ বছরের ৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যা ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ২০১৮ সালে ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা ২০১৭ সালের তুলনায় দশমিক শূন্য এক শতাংশ কম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, বিবিএসের মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল হক প্রমুখ।