এমএম আকাশ
অর্থনীতিবিদ এমএম আকাশ বলেন, প্রতিবারের মতো এ বছরও বড় আকারের বাজেট ঘোষণা হয়েছে। এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো ঠিকমতো রাজস্ব আহরণ ও তা ব্যয় করা। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, যেসব খাতে যতটুকু ব্যয় করার দরকার, ততটুকু ব্যয় হচ্ছে, নাকি এর চেয়ে বেশি হচ্ছে। এ বিষয়টি ঠিক রাখা চ্যালেঞ্জ হবে। বর্তমানে রাজস্ব আয়ের যে ধারা অব্যহত রয়েছে, তা হলো ৯ মাসে ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। এটা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৫২ শতাংশ। তাহলে বাকি ৩ মাসে যে ৪৮ শতাংশ অর্জন হবে, সেটি কীভাবে। এভাবে যদি শেষ তিন মাসে রাজস্ব আয় করা হয় এবং তা ব্যয় করা হয়, তাহলে তা অদক্ষতার পরিচয় দেয়া হবে। তাই এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের যে ঘাটতি রয়েছে, তা খুব বেশি নয়। প্রতিবারই এমন ঘাটতি থাকে। কিন্তু রাজস্ব সঠিক সময়ে আদায় করাটাই চ্যালেঞ্জ হবে। আর সরকার যদি ঘাটতিতে পড়ে, তাহলে কোথা থেকে টাকা সংগ্রহ করবে। হয়তো সেটি করবে বৈদেশিক সাহায্যের মাধ্যমে, নয়তো ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে। কিন্তু ব্যাংকের অবস্থা তো এবার খুবই খারাপ। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ৪৭ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে তোলা হবে। আমার মনে হয়েছে, সেটিও চ্যালেঞ্জের হবে। ঘাটতির বাকি টাকা হয়তো বৈদেশিক সাহায্য ও সঞ্চয়পত্র থেকে নেয়া হবে। তবে যাই হোক না কেন, রাজস্ব সংগ্রহই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯ , ২৯ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ১০ শাওয়াল ১৪৪০
এমএম আকাশ
অর্থনীতিবিদ এমএম আকাশ বলেন, প্রতিবারের মতো এ বছরও বড় আকারের বাজেট ঘোষণা হয়েছে। এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো ঠিকমতো রাজস্ব আহরণ ও তা ব্যয় করা। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, যেসব খাতে যতটুকু ব্যয় করার দরকার, ততটুকু ব্যয় হচ্ছে, নাকি এর চেয়ে বেশি হচ্ছে। এ বিষয়টি ঠিক রাখা চ্যালেঞ্জ হবে। বর্তমানে রাজস্ব আয়ের যে ধারা অব্যহত রয়েছে, তা হলো ৯ মাসে ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। এটা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৫২ শতাংশ। তাহলে বাকি ৩ মাসে যে ৪৮ শতাংশ অর্জন হবে, সেটি কীভাবে। এভাবে যদি শেষ তিন মাসে রাজস্ব আয় করা হয় এবং তা ব্যয় করা হয়, তাহলে তা অদক্ষতার পরিচয় দেয়া হবে। তাই এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের যে ঘাটতি রয়েছে, তা খুব বেশি নয়। প্রতিবারই এমন ঘাটতি থাকে। কিন্তু রাজস্ব সঠিক সময়ে আদায় করাটাই চ্যালেঞ্জ হবে। আর সরকার যদি ঘাটতিতে পড়ে, তাহলে কোথা থেকে টাকা সংগ্রহ করবে। হয়তো সেটি করবে বৈদেশিক সাহায্যের মাধ্যমে, নয়তো ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে। কিন্তু ব্যাংকের অবস্থা তো এবার খুবই খারাপ। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ৪৭ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে তোলা হবে। আমার মনে হয়েছে, সেটিও চ্যালেঞ্জের হবে। ঘাটতির বাকি টাকা হয়তো বৈদেশিক সাহায্য ও সঞ্চয়পত্র থেকে নেয়া হবে। তবে যাই হোক না কেন, রাজস্ব সংগ্রহই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।