দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বেড়েছে

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ২৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট বাজেট বরাদ্দের ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এই বরাদ্দ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট বরাদ্দের চেয়ে ১ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা বেশি হলেও ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চেয়ে ৫১০ কোটি টাকা কম।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতে সংশোধিত বাজেট বরাদ্দ ছিল ২৬ হাজার ৫০২ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২৮ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা যা মোট বাজেট বরাদ্দের ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং এ খাতে এখন পর্যন্ত দেয়া সর্বোচ্চ বরাদ্দ।

বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে মোট বরাদ্দের মধ্যে এবার বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য রাখা হয়েছে ২৬ হাজার ৬৫ কোটি টাকা এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য বরাদ্দ ছিল ২৪ হাজার ২১২ কোটি টাকা এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জন্য বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ২৯০ কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে এবার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ বরাদ্দ বেড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে প্রস্তাবিত বাজেটে ১৯ হাজার ৬৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ১৭টি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বক্তব্যে এসব তথ্য উঠে আসে।

অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় বিদ্যুৎকে সমৃদ্ধির সোপান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী বছরের মধ্যে দেশের সব উপজেলার ১০০ শতাংশ বিদ্যুতের আওতায় চলে আসবে। তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে গতি আনতে নতুন মডেল উৎপাদন-অংশীদারত্ব চুক্তি (পিএসসি) অনুমোদনের পর স্থল ও সমুদ্রের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। বক্তব্যে বলা হয়, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমানে ২১ হাজার ১৬৯ মেগাওয়াটে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সরকার প্রায় ৯৩ শতাংশ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। পুরাতন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো মেরামতের মাধ্যমে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৪ হাজার ২০২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতায় বিদ্যুৎ আমদানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ সাশ্রয়, দক্ষ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্ক, তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম ও বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ বিষয়েও অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়।

আরও খবর
বাস্তবায়নই বড় চ্যালেঞ্জ
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে
৪৮ বছরে বাজেট বেড়েছে ৬৬৬ গুণ
সঠিক সময়ে রাজস্ব আদায়ই বড় চ্যালেঞ্জ
আ’লীগের ইশতেহার অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই
বাজেট বাস্তবায়ন করাই বড় চ্যালেঞ্জ
প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন কিছু নেই
জননিরাপত্তায় ব্যয় ২১ হাজার ৯২৩ কোটি ১৭ লাখ 
করমুক্ত আয়সীমা আগের মতোই
আবারও এমপিওভুক্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ৬১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা
স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বেড়েছে
বড় দলের বিপক্ষে লড়াই করার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের : কোচ রোডস
পরিবহন ও যোগাযোগে বরাদ্দ ৬৪ হাজার ৮২০ কোটি টাকা
ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচও পরিত্যক্ত
তিন মোড়ল ছাড়া বাকি দেশগুলোর প্রতি কোন দায়দায়িত্ব বোধ আছে মনে করে না আইসিসি

শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯ , ২৯ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ১০ শাওয়াল ১৪৪০

বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত

দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বেড়েছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ২৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট বাজেট বরাদ্দের ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এই বরাদ্দ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট বরাদ্দের চেয়ে ১ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা বেশি হলেও ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চেয়ে ৫১০ কোটি টাকা কম।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতে সংশোধিত বাজেট বরাদ্দ ছিল ২৬ হাজার ৫০২ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২৮ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা যা মোট বাজেট বরাদ্দের ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং এ খাতে এখন পর্যন্ত দেয়া সর্বোচ্চ বরাদ্দ।

বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে মোট বরাদ্দের মধ্যে এবার বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য রাখা হয়েছে ২৬ হাজার ৬৫ কোটি টাকা এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য বরাদ্দ ছিল ২৪ হাজার ২১২ কোটি টাকা এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জন্য বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ২৯০ কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে এবার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ বরাদ্দ বেড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে প্রস্তাবিত বাজেটে ১৯ হাজার ৬৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ১৭টি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বক্তব্যে এসব তথ্য উঠে আসে।

অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় বিদ্যুৎকে সমৃদ্ধির সোপান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী বছরের মধ্যে দেশের সব উপজেলার ১০০ শতাংশ বিদ্যুতের আওতায় চলে আসবে। তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে গতি আনতে নতুন মডেল উৎপাদন-অংশীদারত্ব চুক্তি (পিএসসি) অনুমোদনের পর স্থল ও সমুদ্রের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। বক্তব্যে বলা হয়, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমানে ২১ হাজার ১৬৯ মেগাওয়াটে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সরকার প্রায় ৯৩ শতাংশ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। পুরাতন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো মেরামতের মাধ্যমে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৪ হাজার ২০২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতায় বিদ্যুৎ আমদানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ সাশ্রয়, দক্ষ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্ক, তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম ও বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ বিষয়েও অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়।