জননিরাপত্তায় ব্যয় ২১ হাজার ৯২৩ কোটি ১৭ লাখ 

এবারের বাজেটে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ডকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ব্যয় খাত ও কর্মসূচির মধ্যে রাখা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন জননিরাপত্তা বিভাগের জন্য নতুন (২০১৯-২০) অর্থবছরে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৯২৩ কোটি ১৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা। গতকাল জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশের সময় এই প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় তিনি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রধান কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে, জননিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত নীতিনির্ধারণী প্রশাসনিক কার্যক্রম ও এতদসংক্রান্ত আইন, বিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা। কৌশলগত গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দেশের উন্নয়ন সুসংহত করা। সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ কার্যক্রম, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমনে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্মিলিত কার্যক্রম গ্রহণ।

জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় অস্ত্র, সরঞ্জাম, রসদ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরণ, যুদ্ধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার যথাযথ প্রসিকিউশন দাখিল, ভিকটিম ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধান করা। জননিরাপত্তা রক্ষায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ও চুক্তি করা। বাংলাদেশ পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও ভিডিপি এবং কোস্টগার্ডের কর্মদক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাতের মধ্যে রাখা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের উদ্দেশে এসব বাহিনীকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান দমন এবং মানব ও মাদকপাচার রোধের জন্য বিজিবির পুনর্গঠনকে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের অধীন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, কারা অধিদফতর ও বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের জন্য এবারের বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৬৯৪ কোটি ৯২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, দুর্যোগ মোকাবিলা, মাদক নিয়ন্ত্রণ, সুষ্ঠু কারা ব্যবস্থাপনা ও বিদেশ গমনাগমন আরও সহজ, টেকসই ও সময়োপযোগী করার মাধ্যমে নাগরিক সেবা ও নাগরিক মর্যাদা বাড়ানোর জন্য বাজেটে এ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সুরক্ষা সেবা বিভাগের প্রধান কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে, সুরক্ষা সেবা সংক্রান্ত বিধি-বিধান, নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, কারা ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন, মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের অপব্যবহার রোধ, পাসপোর্ট, ভিসা ও নাগরিকত্ব দেয়া সহজীকরণ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যক্রম পরিচালনা, প্রাকৃতিক ও সামাজিক দুর্যোগের সময় উদ্ধার কাজে সহায়তা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশের সঙ্গে লিয়াজোঁ রক্ষা ও চুক্তি সম্পাদন করা।

এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অনুমোদন দেয়া হয়। দুপুর ১টা ২১ মিনিটে বৈঠকে যোগ দেন অর্থমন্ত্রী। এবার অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটিই প্রথমবারের মতো বাজেট পেশ। এটি দেশের ৪৮তম ও আওয়ামী লীগ সরকারের ২০তম বাজেট।

এ বছর জন শৃৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা খাতে মোট বাজেট দেয়া হয়েছে ২৭ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা। যা গত বছর (২০১৮-১৯) সংশোধনী বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৮ হাজার ৬৭ কোটি টাকা। গত বছর (২০১৮-১৯) বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ২৬ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। আগের বছর (২০১৭-১৮) বছরে বরাদ্দ ছিল ২২ হাজার ৫২ কোটি টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার প্রাক বাজেট প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা কমেছে।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট খাতে (২০১৯-২০) বাজেট দেয়া হয়েছে ১৯৫ কোটি টাকা। গত বছর (২০১৮-১৯) সংশোধনী বাজেটে যা বরাদ্দ করা হয়েছে ২১৪ কোটি টাকা। ১০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট পরিচালনায় বাজেট বরাদ্দ ছিল ১৮০ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে যা বরাদ্দ ছিল ১৬৫ কোটি টাকা। আইন ও বিচার পরিচালন উন্নয়নে (২০১৯-২০) অর্থ বছরে বাজেট দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। যা গত বছর (২০১৮-১৯) সংশোধনী বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা। গত বছর (২০১৮-১৯) বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৫২১ কোটি টাকা যা আগের বছর (২০১৭-১৮) বাজেটে বরাদ্দ হয় ১ হাজার ৪০১ কোটি টাকা।

জন নিরাপত্তা বিভাগ পরিচালন ও উন্নয়নে এ বছর (২০১৯-২০) অর্থবছরে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২১ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। যা গত বছর (২০১৮-১৯) সংশোধনী বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২২ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ২১ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ছিল ১৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে এ বছর বরাদ্দ ৩৫ কোটি টাকা। যা গত বছর (২০১৮-১৯) সংশোধনী বাজেটে বরাদ্দ ৩৭ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ৩৫ কোটি টাকা এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ছিল ২৫ কোটি টাকা। দুর্নীতি দমন কমিশন বাংলাদেশ পরিচালন ও উন্নয়নে এ বছর (২০১৯-২০) বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৪০ কোটি টাকা। যা গত বছর (২০১৮-১৯) সংশোধনী বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১২৩ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ১১৮ কোটি টাকা এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ৮৭ কোটি টাকা। সুরক্ষা সেবা বিভাগে এ বছর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা। যা গত বছর (২০১৮-১৯) সংশোধনী বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪ হাজার ২৪ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা।

আরও খবর
বাস্তবায়নই বড় চ্যালেঞ্জ
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে
৪৮ বছরে বাজেট বেড়েছে ৬৬৬ গুণ
সঠিক সময়ে রাজস্ব আদায়ই বড় চ্যালেঞ্জ
আ’লীগের ইশতেহার অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই
বাজেট বাস্তবায়ন করাই বড় চ্যালেঞ্জ
প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন কিছু নেই
দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বেড়েছে
করমুক্ত আয়সীমা আগের মতোই
আবারও এমপিওভুক্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ৬১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা
স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বেড়েছে
বড় দলের বিপক্ষে লড়াই করার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের : কোচ রোডস
পরিবহন ও যোগাযোগে বরাদ্দ ৬৪ হাজার ৮২০ কোটি টাকা
ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচও পরিত্যক্ত
তিন মোড়ল ছাড়া বাকি দেশগুলোর প্রতি কোন দায়দায়িত্ব বোধ আছে মনে করে না আইসিসি

শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯ , ২৯ জৈষ্ঠ্য ১৪২৫, ১০ শাওয়াল ১৪৪০

জননিরাপত্তায় ব্যয় ২১ হাজার ৯২৩ কোটি ১৭ লাখ 

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

এবারের বাজেটে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও কোস্টগার্ডকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ব্যয় খাত ও কর্মসূচির মধ্যে রাখা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন জননিরাপত্তা বিভাগের জন্য নতুন (২০১৯-২০) অর্থবছরে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৯২৩ কোটি ১৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা। গতকাল জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশের সময় এই প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় তিনি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রধান কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে, জননিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত নীতিনির্ধারণী প্রশাসনিক কার্যক্রম ও এতদসংক্রান্ত আইন, বিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা। কৌশলগত গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দেশের উন্নয়ন সুসংহত করা। সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ কার্যক্রম, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমনে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্মিলিত কার্যক্রম গ্রহণ।

জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় অস্ত্র, সরঞ্জাম, রসদ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরণ, যুদ্ধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার যথাযথ প্রসিকিউশন দাখিল, ভিকটিম ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধান করা। জননিরাপত্তা রক্ষায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ও চুক্তি করা। বাংলাদেশ পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও ভিডিপি এবং কোস্টগার্ডের কর্মদক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাতের মধ্যে রাখা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের উদ্দেশে এসব বাহিনীকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান দমন এবং মানব ও মাদকপাচার রোধের জন্য বিজিবির পুনর্গঠনকে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের অধীন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, কারা অধিদফতর ও বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের জন্য এবারের বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৬৯৪ কোটি ৯২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, দুর্যোগ মোকাবিলা, মাদক নিয়ন্ত্রণ, সুষ্ঠু কারা ব্যবস্থাপনা ও বিদেশ গমনাগমন আরও সহজ, টেকসই ও সময়োপযোগী করার মাধ্যমে নাগরিক সেবা ও নাগরিক মর্যাদা বাড়ানোর জন্য বাজেটে এ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সুরক্ষা সেবা বিভাগের প্রধান কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে, সুরক্ষা সেবা সংক্রান্ত বিধি-বিধান, নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, কারা ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন, মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের অপব্যবহার রোধ, পাসপোর্ট, ভিসা ও নাগরিকত্ব দেয়া সহজীকরণ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যক্রম পরিচালনা, প্রাকৃতিক ও সামাজিক দুর্যোগের সময় উদ্ধার কাজে সহায়তা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশের সঙ্গে লিয়াজোঁ রক্ষা ও চুক্তি সম্পাদন করা।

এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অনুমোদন দেয়া হয়। দুপুর ১টা ২১ মিনিটে বৈঠকে যোগ দেন অর্থমন্ত্রী। এবার অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটিই প্রথমবারের মতো বাজেট পেশ। এটি দেশের ৪৮তম ও আওয়ামী লীগ সরকারের ২০তম বাজেট।

এ বছর জন শৃৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা খাতে মোট বাজেট দেয়া হয়েছে ২৭ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা। যা গত বছর (২০১৮-১৯) সংশোধনী বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৮ হাজার ৬৭ কোটি টাকা। গত বছর (২০১৮-১৯) বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ২৬ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। আগের বছর (২০১৭-১৮) বছরে বরাদ্দ ছিল ২২ হাজার ৫২ কোটি টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার প্রাক বাজেট প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা কমেছে।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট খাতে (২০১৯-২০) বাজেট দেয়া হয়েছে ১৯৫ কোটি টাকা। গত বছর (২০১৮-১৯) সংশোধনী বাজেটে যা বরাদ্দ করা হয়েছে ২১৪ কোটি টাকা। ১০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট পরিচালনায় বাজেট বরাদ্দ ছিল ১৮০ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে যা বরাদ্দ ছিল ১৬৫ কোটি টাকা। আইন ও বিচার পরিচালন উন্নয়নে (২০১৯-২০) অর্থ বছরে বাজেট দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। যা গত বছর (২০১৮-১৯) সংশোধনী বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা। গত বছর (২০১৮-১৯) বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৫২১ কোটি টাকা যা আগের বছর (২০১৭-১৮) বাজেটে বরাদ্দ হয় ১ হাজার ৪০১ কোটি টাকা।

জন নিরাপত্তা বিভাগ পরিচালন ও উন্নয়নে এ বছর (২০১৯-২০) অর্থবছরে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২১ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। যা গত বছর (২০১৮-১৯) সংশোধনী বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২২ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ২১ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ছিল ১৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে এ বছর বরাদ্দ ৩৫ কোটি টাকা। যা গত বছর (২০১৮-১৯) সংশোধনী বাজেটে বরাদ্দ ৩৭ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ৩৫ কোটি টাকা এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ছিল ২৫ কোটি টাকা। দুর্নীতি দমন কমিশন বাংলাদেশ পরিচালন ও উন্নয়নে এ বছর (২০১৯-২০) বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৪০ কোটি টাকা। যা গত বছর (২০১৮-১৯) সংশোধনী বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১২৩ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ১১৮ কোটি টাকা এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ৮৭ কোটি টাকা। সুরক্ষা সেবা বিভাগে এ বছর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা। যা গত বছর (২০১৮-১৯) সংশোধনী বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪ হাজার ২৪ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা।