প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে গণমানুষের কোন আগ্রহ নেই

বিএনপি

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে গণমানুষের কোন আগ্রহ নেই বলে মনে করছে বিএনপি। দলটি বলছে, প্রস্তাবিত বাজেট জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। গতকাল বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে উচ্চাভিলাষী বাজেট ঘোষণা করেছে। মনে হচ্ছে অর্থমন্ত্রী বাজেটের আকার বড় করার চমক সৃষ্টির প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। বাজেটের আকার কত বড় এ নিয়ে আর জনমনে উচ্ছ্বাস নেই। কেননা প্রত্যেক বছরের শেষ দিকে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ যেভাবে কাটছাঁট করা হয় তাতে বিরাট আকার বাজেটের অন্তঃসারশূন্যতাই প্রকাশ পায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বিশাল আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যার সিংহভাগ ধরা হয়েছে এনবিআর থেকে। অথচ চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রায় বেশ ঘাটতি রয়েছে। তার ওপর এবার আরও বড় আকারের আদায়ের পরিকল্পনা। এটা রাতারাতি সম্ভব না। বর্তমানে যে ব্যবস্থাপনা রয়েছে তাতে ঘাটতি বরং আরও বাড়বে। তিনি বলেন, ঘোষিত বাজেটের শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের।’ আসলে সময় এখন তাদের এবং একমাত্র তাদেরই। সেটা বাংলাদেশের মানুষের বুঝতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাজেটের শিরোনাম থেকেই উন্নয়নের ‘গীত’ প্রকৃষ্ট হয়ে উঠেছে। কিন্তু তথাকথিত উন্নয়নের ‘গীত’ আর মানুষ শুনতে চায় না। তিনি বলেন, কর আর দ্রব্যমূল্যের চাপে ভোক্তাসাধারণের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠেছে। আয়বৈষম্য, বেকারত্ব, অর্থনৈতিক নৈরাজ্যের কারণে সামাজিক অস্থিরতার মুখোমুখি জনগণ এখন আর উন্নয়নের মিষ্টি কথায় সন্তুষ্ট হতে পারছে না। সরকারকে অনির্বাচিত আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, এই সরকারের বাজেট দেয়ার নৈতিক অধিকার নেই। এই বাজেটে জনগণের ওপর করের বোঝা বাড়বে। ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯ , ১ আষাঢ় ১৪২৫, ১১ শাওয়াল ১৪৪০

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে গণমানুষের কোন আগ্রহ নেই

বিএনপি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে গণমানুষের কোন আগ্রহ নেই বলে মনে করছে বিএনপি। দলটি বলছে, প্রস্তাবিত বাজেট জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। গতকাল বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে উচ্চাভিলাষী বাজেট ঘোষণা করেছে। মনে হচ্ছে অর্থমন্ত্রী বাজেটের আকার বড় করার চমক সৃষ্টির প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। বাজেটের আকার কত বড় এ নিয়ে আর জনমনে উচ্ছ্বাস নেই। কেননা প্রত্যেক বছরের শেষ দিকে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ যেভাবে কাটছাঁট করা হয় তাতে বিরাট আকার বাজেটের অন্তঃসারশূন্যতাই প্রকাশ পায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বিশাল আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যার সিংহভাগ ধরা হয়েছে এনবিআর থেকে। অথচ চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রায় বেশ ঘাটতি রয়েছে। তার ওপর এবার আরও বড় আকারের আদায়ের পরিকল্পনা। এটা রাতারাতি সম্ভব না। বর্তমানে যে ব্যবস্থাপনা রয়েছে তাতে ঘাটতি বরং আরও বাড়বে। তিনি বলেন, ঘোষিত বাজেটের শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের।’ আসলে সময় এখন তাদের এবং একমাত্র তাদেরই। সেটা বাংলাদেশের মানুষের বুঝতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাজেটের শিরোনাম থেকেই উন্নয়নের ‘গীত’ প্রকৃষ্ট হয়ে উঠেছে। কিন্তু তথাকথিত উন্নয়নের ‘গীত’ আর মানুষ শুনতে চায় না। তিনি বলেন, কর আর দ্রব্যমূল্যের চাপে ভোক্তাসাধারণের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠেছে। আয়বৈষম্য, বেকারত্ব, অর্থনৈতিক নৈরাজ্যের কারণে সামাজিক অস্থিরতার মুখোমুখি জনগণ এখন আর উন্নয়নের মিষ্টি কথায় সন্তুষ্ট হতে পারছে না। সরকারকে অনির্বাচিত আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, এই সরকারের বাজেট দেয়ার নৈতিক অধিকার নেই। এই বাজেটে জনগণের ওপর করের বোঝা বাড়বে। ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।