নামের মিল থাকায় জেলে আনোয়ারা বেগম

  • ২৪ ঘণ্টা পর মুক্তি
  • পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নামের মিল থাকায় ২৪ ঘণ্টা কারাভোগের পর আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেলেন আনোয়ারা বেগম (৪০) নামে এক নারী। এদিকে নামের মিলে নিরীহ নারী আটকের ঘটনায় চাঁদপুর পুলিশ সুপার ফরিদগঞ্জ থানার এএসআই মাজেদকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করেছেন। জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার জিআর ১৪০/২০০০ সালের ৪২০ ধারার একটি মামলায় এক বছরের কারাদন্ড ও ৫ হাজার জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদ-প্রাপ্ত হন ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫৫)। এই মামলার ওয়ারেন্ট ফরিদগঞ্জ থানায় আসলে থানা পুলিশের এএসআই মাজেদ রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমুঘুয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে (৪০) সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে গ্রেফতার করে ১৩ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে। কিন্তু পুলিশের হাতে আটক আনোয়ারা বেগম এই মামলার আসামি নয়। নাম ও স্বামীর নাম এক হওয়ার কারণে তাকে আটক করা হয়েছে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিবকে এমন তথ্য জানায় আটক আনোয়ারা বেগমের মামাতো ভাই বেলাল হোসেন। এদিকে থানা পুলিশ বিষয়টিকে আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করলেও শুক্রবার আটক আনোয়ারা বেগমকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ওই দিনই জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরে শনিবার থানা পুলিশ আটককৃত আনোয়ারা বেগম সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ারা বেগম নয় এই মর্মে চাঁদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসেনের আদালতে রিপোর্ট উপস্থাপন করলে, আদালত নিরাপরাধ আনোয়ারা বেগমকে দ্রুত মুক্তি দানের আদেশ প্রদান করেন। আনোয়ারা বেগমের মামাতো ভাই বেলাল হোসেন জানান, পুলিশ নাম ও ঠিকানা নিশ্চিত না হয়ে তার বোনকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে আটক করে। ফলে কোন অপরাধ না করেও তাকে ২৪ ঘণ্টা কারাভোগ করতে হয়েছে। এ ব্যাপারে আনোরারা বেগমের আইনজীবী অ্যাড. মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত ইকরাম জানান, শনিবার আদালত আনোয়ারা বেগম মুন্সীগঞ্জ জেলার জি আর ১৪০/২০০০ মামলার আসামি নয় বলে পুলিশের রিপোর্ট পেয়ে তাকে দ্রুত মুক্তিদানের আদেশ প্রদান করেন। এদিকে নিজের ও স্বামীর নামের সঙ্গে মিল থাকার কারণে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে নিরীহ নারীকে আটকের ঘটনায় শনিবার চাঁদপুর পুলিশ সুপার ফরিদগঞ্জ থানার এএসআই মাজেদকে চাঁদপুর পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিব জানান, এএসআই মাজেদকে ইতোমধ্যেই সিসি দেয়া হয়েছে। এই আনোয়ারা বেগম জি আর ১৪০/২০০০ আসামি আনোয়ারা বেগম নয় এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

রবিবার, ১৬ জুন ২০১৯ , ২ আষাঢ় ১৪২৫, ১২ শাওয়াল ১৪৪০

চাঁদপুরে

নামের মিল থাকায় জেলে আনোয়ারা বেগম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর

  • ২৪ ঘণ্টা পর মুক্তি
  • পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নামের মিল থাকায় ২৪ ঘণ্টা কারাভোগের পর আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেলেন আনোয়ারা বেগম (৪০) নামে এক নারী। এদিকে নামের মিলে নিরীহ নারী আটকের ঘটনায় চাঁদপুর পুলিশ সুপার ফরিদগঞ্জ থানার এএসআই মাজেদকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করেছেন। জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার জিআর ১৪০/২০০০ সালের ৪২০ ধারার একটি মামলায় এক বছরের কারাদন্ড ও ৫ হাজার জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদ-প্রাপ্ত হন ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫৫)। এই মামলার ওয়ারেন্ট ফরিদগঞ্জ থানায় আসলে থানা পুলিশের এএসআই মাজেদ রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমুঘুয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে (৪০) সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে গ্রেফতার করে ১৩ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে। কিন্তু পুলিশের হাতে আটক আনোয়ারা বেগম এই মামলার আসামি নয়। নাম ও স্বামীর নাম এক হওয়ার কারণে তাকে আটক করা হয়েছে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিবকে এমন তথ্য জানায় আটক আনোয়ারা বেগমের মামাতো ভাই বেলাল হোসেন। এদিকে থানা পুলিশ বিষয়টিকে আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করলেও শুক্রবার আটক আনোয়ারা বেগমকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ওই দিনই জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরে শনিবার থানা পুলিশ আটককৃত আনোয়ারা বেগম সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ারা বেগম নয় এই মর্মে চাঁদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসেনের আদালতে রিপোর্ট উপস্থাপন করলে, আদালত নিরাপরাধ আনোয়ারা বেগমকে দ্রুত মুক্তি দানের আদেশ প্রদান করেন। আনোয়ারা বেগমের মামাতো ভাই বেলাল হোসেন জানান, পুলিশ নাম ও ঠিকানা নিশ্চিত না হয়ে তার বোনকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে আটক করে। ফলে কোন অপরাধ না করেও তাকে ২৪ ঘণ্টা কারাভোগ করতে হয়েছে। এ ব্যাপারে আনোরারা বেগমের আইনজীবী অ্যাড. মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত ইকরাম জানান, শনিবার আদালত আনোয়ারা বেগম মুন্সীগঞ্জ জেলার জি আর ১৪০/২০০০ মামলার আসামি নয় বলে পুলিশের রিপোর্ট পেয়ে তাকে দ্রুত মুক্তিদানের আদেশ প্রদান করেন। এদিকে নিজের ও স্বামীর নামের সঙ্গে মিল থাকার কারণে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে নিরীহ নারীকে আটকের ঘটনায় শনিবার চাঁদপুর পুলিশ সুপার ফরিদগঞ্জ থানার এএসআই মাজেদকে চাঁদপুর পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিব জানান, এএসআই মাজেদকে ইতোমধ্যেই সিসি দেয়া হয়েছে। এই আনোয়ারা বেগম জি আর ১৪০/২০০০ আসামি আনোয়ারা বেগম নয় এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট আদালতে পাঠানো হয়েছে।