তথ্য সংগ্রহে ফের ঘরে ঘরে যাওয়া শুরু করবে পুলিশ

ডিএমপি

দুই বছর আগে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ায় ফের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি। গতকাল ডিএমপি কমিশনার এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। গতকাল ১৫ জুন থেকে শুরু হওয়া এ তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলবে ২১ জুন পর্যন্ত। ডিএমপির ৫০টি থানার ৩০২টি বিটে সংশ্লিষ্ট বিটের অফিসারের (এসআই) মাধ্যমে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেজ করবে পুলিশ। সম্প্রতি জঙ্গিবাদসহ নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় পুলিশ দ্বিতীয় দফায় ঢাকা মেট্টোপলিটন এলাকায় ভাড়াটিয়া তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

ডিএমপি কমিশনার এ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০১৫ সালে অনানুষ্ঠানিকভাবে ডিএমপিতে ভাড়াটিয়া তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছিল ডিএমপি। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএমপির সব থানা এলাকায় ভাড়াটিয়া তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ। তখন ২২ লাখ পরিবারের ৬৩ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। সংগ্রহ করা তথ্য সিটিজেট ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্টে (সিআইএমএস) সংরক্ষিত রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, ভাড়াটিয়াদের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। অনেক মালিক তাদের বাসা-বাড়িতে বিভিন্ন ব্যক্তিদের ভাড়া দিলেও ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম পূরণ করে থানায় জমা দিচ্ছে না। এসব কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে ঢাকা মেট্টোপলিটন এলাকা। সম্প্রতি মিরপুরে একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। পরে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জেনেছে ওই আস্তানায় যারা ছিল তাদের কোন তথ্য সংগ্রহ করেনি মালিক। তাই থানায়ও জমা দেয়নি।

সিআইএমএস’র তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এ বছরের ১৩ জুন পর্যন্ত ঢাকায় বাড়ির মালিকের সংখ্যা দুই লাখ ৪১ হাজার ৫০৭ জন, ভাড়াটিয়া ১৮ লাখ ২০ হাজার ৯৪ জন, মেস সদস্য এক লাখ ২১ হাজার ৪০ জন, অন্যান্য ১১০০ জন, পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ৮২১ জন, ড্রাইভার ও গৃহকর্মী ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৪ জন। সর্বমোট ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪৭ জনের তথ্য সংরক্ষিত আছে। এই সিস্টেমে প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি ইউনিক ইনডেস্ক নম্বর দেয়া আছে। কোন ভাড়াটিয়া এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় গেলেও সেই নম্বর দিয়ে সিস্টেমে সার্চ দিলে কাক্সিক্ষত নাগরিকের বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। তার পেশা, পরিবারের সদস্যদের সংখ্যাসহ সবকিছুই জানা যাবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। সিআইএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করার ফলে এই সাফল্য এসেছে। গুলশান হামলার পর থেকে ঢাকায় সঠিক তথ্য না দিয়ে কেউ বাসা ভাড়া নিতে পারে না। প্রকল্পের মাধ্যমে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ করতে রাষ্ট্রের অনেক টাকা খরচ হতো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বল্প সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রের কোন রকম অর্থ ব্যয় ছাড়া পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করে নগরবাসীর তথ্য সংগ্রহ করে যাচ্ছে। এ কাজ অন্য কোন সংস্থাকে দিয়ে করালে তারা ১শ’ কোটি টাকা খরচ দেখাতো। সিআইএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে অপরাধ শনাক্তকরণের হার অনেক বেড়েছে। তবে অনেকেই তথ্য দিতে গড়িমসি করছেন। তাই নাগরিকদের আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা তথ্য দিন। নিজে নিরাপদ থাকুন অন্যকে নিরাপদ রাখতে সহযোগিতা করুন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা নাগরিকদের কাছ থেকে গৃহীত তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ করছি। ৩ বছরে কোন নাগরিকের তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে আমরা সচেষ্ট আছি। সিআইএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে আমাদের অপরাধ ডিটেকশনের হার অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ও সিআইএমএস ব্যবহারের ফলে ট্রেডিশনাল ক্রাইম হ্রাস পেয়েছে। শুধু নাগরিক তথ্য সংগ্রহ নয়, সিআইএমএস ভূমিকা রাখছে নাগরিক নিরাপত্তা বিধানে। ঢাকা শহরের ৫০ থানায় ৩০২টি বিটের মাধ্যমে পুলিশের সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টি করে আমরা কাজ করছি। বর্তমানে আমরা লক্ষ্য করছি অনেকে নাগরিক তথ্য দিতে গরিমসি করছে। নাগরিক তথ্য সংগ্রহ শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা আবারও নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ শুরু করছি। ১৫ থেকে ২১ জুন প্রতিটি থানার বিটে বিট অফিসার ওই এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী নেতাদের ও জনপ্রতিনিধি কমিউনিটি পুলিশের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে এলাকার প্রতিটি বাড়ি যাচাই করে দেখবে নাগরিক তথ্য প্রদানে কেউ বাদ পড়েছে কি-না। কেউ বাদ পড়লে তাকে তথ্য ফরম দিয়ে সেই ফরমে তথ্য পূরণ করে ফেরত নিবে। এরপর ২১ জুন থেকে পরবর্তী ৭ দিন ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স থেকে গঠিত সার্ভিলেন্স টিম র‌্যান্ডম সিলেকশনের মাধ্যমে বিভিন্ন বাসায় যাচাই করে দেখবে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে কি-না। এ সময় কেউ বাদ গেলে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে সিআইএমএস সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যাতে কেউ বাদ না যায়। আমরা চাই ঢাকা শহরের বসবাসরত প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য সিআইএমএস সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত করতে।

নগরবাসীকে অনুরোধ করে কমিশনার বলেন, আপনারা নিজে নিরাপদ থাকুন অন্যকে নিরাপদে রাখুন। সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং অপরাধের হুমকি থেকে এই মহানগরীর মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করুন। একটি নিরাপদ ঢাকা বিনির্মাণের যে প্রচেষ্টা আছে, সে প্রচেষ্টায় আপনাদের নাগরিক দায়িত্ব পালন করুন। আপনার গৃহকর্মী, ড্রাইভার ও ফ্যামিলি মেম্বারদের তথ্য দিয়ে সুনাগরিকের দায়িত্ব পালন করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।

রবিবার, ১৬ জুন ২০১৯ , ২ আষাঢ় ১৪২৫, ১২ শাওয়াল ১৪৪০

তথ্য সংগ্রহে ফের ঘরে ঘরে যাওয়া শুরু করবে পুলিশ

ডিএমপি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দুই বছর আগে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ায় ফের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি। গতকাল ডিএমপি কমিশনার এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। গতকাল ১৫ জুন থেকে শুরু হওয়া এ তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলবে ২১ জুন পর্যন্ত। ডিএমপির ৫০টি থানার ৩০২টি বিটে সংশ্লিষ্ট বিটের অফিসারের (এসআই) মাধ্যমে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেজ করবে পুলিশ। সম্প্রতি জঙ্গিবাদসহ নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় পুলিশ দ্বিতীয় দফায় ঢাকা মেট্টোপলিটন এলাকায় ভাড়াটিয়া তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

ডিএমপি কমিশনার এ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০১৫ সালে অনানুষ্ঠানিকভাবে ডিএমপিতে ভাড়াটিয়া তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছিল ডিএমপি। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএমপির সব থানা এলাকায় ভাড়াটিয়া তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ। তখন ২২ লাখ পরিবারের ৬৩ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। সংগ্রহ করা তথ্য সিটিজেট ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্টে (সিআইএমএস) সংরক্ষিত রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, ভাড়াটিয়াদের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। অনেক মালিক তাদের বাসা-বাড়িতে বিভিন্ন ব্যক্তিদের ভাড়া দিলেও ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম পূরণ করে থানায় জমা দিচ্ছে না। এসব কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে ঢাকা মেট্টোপলিটন এলাকা। সম্প্রতি মিরপুরে একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। পরে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জেনেছে ওই আস্তানায় যারা ছিল তাদের কোন তথ্য সংগ্রহ করেনি মালিক। তাই থানায়ও জমা দেয়নি।

সিআইএমএস’র তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এ বছরের ১৩ জুন পর্যন্ত ঢাকায় বাড়ির মালিকের সংখ্যা দুই লাখ ৪১ হাজার ৫০৭ জন, ভাড়াটিয়া ১৮ লাখ ২০ হাজার ৯৪ জন, মেস সদস্য এক লাখ ২১ হাজার ৪০ জন, অন্যান্য ১১০০ জন, পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ৮২১ জন, ড্রাইভার ও গৃহকর্মী ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৪ জন। সর্বমোট ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪৭ জনের তথ্য সংরক্ষিত আছে। এই সিস্টেমে প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি ইউনিক ইনডেস্ক নম্বর দেয়া আছে। কোন ভাড়াটিয়া এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় গেলেও সেই নম্বর দিয়ে সিস্টেমে সার্চ দিলে কাক্সিক্ষত নাগরিকের বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। তার পেশা, পরিবারের সদস্যদের সংখ্যাসহ সবকিছুই জানা যাবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। সিআইএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করার ফলে এই সাফল্য এসেছে। গুলশান হামলার পর থেকে ঢাকায় সঠিক তথ্য না দিয়ে কেউ বাসা ভাড়া নিতে পারে না। প্রকল্পের মাধ্যমে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ করতে রাষ্ট্রের অনেক টাকা খরচ হতো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বল্প সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রের কোন রকম অর্থ ব্যয় ছাড়া পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করে নগরবাসীর তথ্য সংগ্রহ করে যাচ্ছে। এ কাজ অন্য কোন সংস্থাকে দিয়ে করালে তারা ১শ’ কোটি টাকা খরচ দেখাতো। সিআইএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে অপরাধ শনাক্তকরণের হার অনেক বেড়েছে। তবে অনেকেই তথ্য দিতে গড়িমসি করছেন। তাই নাগরিকদের আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা তথ্য দিন। নিজে নিরাপদ থাকুন অন্যকে নিরাপদ রাখতে সহযোগিতা করুন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা নাগরিকদের কাছ থেকে গৃহীত তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ করছি। ৩ বছরে কোন নাগরিকের তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে আমরা সচেষ্ট আছি। সিআইএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে আমাদের অপরাধ ডিটেকশনের হার অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ও সিআইএমএস ব্যবহারের ফলে ট্রেডিশনাল ক্রাইম হ্রাস পেয়েছে। শুধু নাগরিক তথ্য সংগ্রহ নয়, সিআইএমএস ভূমিকা রাখছে নাগরিক নিরাপত্তা বিধানে। ঢাকা শহরের ৫০ থানায় ৩০২টি বিটের মাধ্যমে পুলিশের সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টি করে আমরা কাজ করছি। বর্তমানে আমরা লক্ষ্য করছি অনেকে নাগরিক তথ্য দিতে গরিমসি করছে। নাগরিক তথ্য সংগ্রহ শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা আবারও নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ শুরু করছি। ১৫ থেকে ২১ জুন প্রতিটি থানার বিটে বিট অফিসার ওই এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী নেতাদের ও জনপ্রতিনিধি কমিউনিটি পুলিশের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে এলাকার প্রতিটি বাড়ি যাচাই করে দেখবে নাগরিক তথ্য প্রদানে কেউ বাদ পড়েছে কি-না। কেউ বাদ পড়লে তাকে তথ্য ফরম দিয়ে সেই ফরমে তথ্য পূরণ করে ফেরত নিবে। এরপর ২১ জুন থেকে পরবর্তী ৭ দিন ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স থেকে গঠিত সার্ভিলেন্স টিম র‌্যান্ডম সিলেকশনের মাধ্যমে বিভিন্ন বাসায় যাচাই করে দেখবে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে কি-না। এ সময় কেউ বাদ গেলে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে সিআইএমএস সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যাতে কেউ বাদ না যায়। আমরা চাই ঢাকা শহরের বসবাসরত প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য সিআইএমএস সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত করতে।

নগরবাসীকে অনুরোধ করে কমিশনার বলেন, আপনারা নিজে নিরাপদ থাকুন অন্যকে নিরাপদে রাখুন। সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং অপরাধের হুমকি থেকে এই মহানগরীর মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করুন। একটি নিরাপদ ঢাকা বিনির্মাণের যে প্রচেষ্টা আছে, সে প্রচেষ্টায় আপনাদের নাগরিক দায়িত্ব পালন করুন। আপনার গৃহকর্মী, ড্রাইভার ও ফ্যামিলি মেম্বারদের তথ্য দিয়ে সুনাগরিকের দায়িত্ব পালন করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।