বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপরই টানা দুটো পরাজয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় টাইগাররা। বাংলাদেশ দলের সেমিফাইনালে ওঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কাগজে কলমে এগিয়ে থেকেও মাঠের লড়াইটা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় টাইগারদের। ফলে চার ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে চলতি বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই বাংলাদেশ দল। চার ম্যাচে ১টি জয়, ২টি হার ও ১টি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় টাইগারদের সংগ্রহ মাত্র ৩ পয়েন্ট। সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রাখতে সামনের সবকটা ম্যাচেই যে চাই জয়। আজ টনটনে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের বিপক্ষে পূর্ণ পয়েন্ট অর্জনের টার্গেট নিয়েই নামবে মাশরাফি বাহিনী।
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের বিপক্ষে মনস্তাত্বিকভাবে এগিয়ে থাকারই কথা বাংলাদেশের প্রতিটা ক্রিকেটারের। বিশ্বকাপ শুরুর আগে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রতিটা ম্যাচেই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। আবার এটাও মনে রাখা প্রয়োজন লীগ পর্বে দু’বার এবং ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান দলে অনুপস্থিত ছিলেন তারকা ক্রিকেটাররা। মূলত আইপিএল-এর কারণে মূল খেলোয়াড়দের ছাড়াই আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাজেই ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপের ম্যাচে কঠিন ক্যারিবিয়ান চ্যালেঞ্জ অপেক্ষায় আছে।
তারপরও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের বিপক্ষে জয়ের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করবে বাংলাদেশ দল। এবার দলের দিকে তাকানো যাক। সাকিব এবং মুশফিকের ইনজুরি নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও সেটা এখন কাটিয়ে ওঠা গেছে। ফর্মের বাইরে থাকা মোহাম্মদ মিথুনের জায়গায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেই একাদশে রাখা হয়েছিল লিটন কুমার দাসকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও লিটনের খেলা নিশ্চিত সেক্ষেত্রে তামিমের ওপেনিং পার্টনার হিসেবে কাকে খেলানো হবে, তা ম্যাচের আগেভাগেই জানাতে চাইছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। আবার রুবেল হোসেনকে সুযোগ দিতে হলে বাদ পড়বেন মেহেদি মিরাজ।
বাংলাদেশ দলের হয়ে চলতি বিশ্বকাপে রীতিমত ফর্মের তুঙ্গে আছেন সাকিব আল হাসান। চাপের মুখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার সেঞ্চুরিটা যেকোন বিচারেই দারুণ একটা ইনিংস। এটা বাদে আরও দুটো হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলা হয়ে গেছে তার। সাকিবের সঙ্গে তামিম-মুশফিক-লিটন-সৌম্য-রিয়াদ জ্বলে উঠতে পারলে বিশ্বের যেকোন বোলিং ডিপার্টমেন্টকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষমতা রাখে টাইগাররা। আবার মাশরাফি-মুস্তাফিজের আক্রমণের সঙ্গে টাইগারদের বাকী বোলাররা যোগ্য সহায়তা দিলে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ভঙ্গুর ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের জন্য কঠিন সময় অপেক্ষায় আছে।
পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের মতো একই অবস্থা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৪ খেলায় ১ জয় ২টি পরাজয় ও ১টি পরিত্যক্ত ম্যাচে ৩ পয়েন্ট ক্যারিবীয়দের। রানরেটে এগিয়ে থাকায় টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে তারা।
চলতি টুর্নামেন্টে আগ্রাসী বোলিংয়ে সাফল্য পেলেও ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের ব্যর্থতা চোখে পড়ার মত। ইংল্যান্ডের কাছে পরাজিত হওয়া ম্যাচে তিন উইকেটে ১৪৪ থেকে ২১২ রানে অল আউট হয় উইন্ডিজ। নির্ধারিত ৫০ ওভারের পুরোটা ব্যাটিংই করতে পারেনি তারা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আন্দ্রে রাসেল ও শেলডন কটরেলের ইনজুরি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুজনে মাত্র পাঁচ ওভার বল করেই মাঠ ছেড়েছিলেন।
সবকিছুর পর দুই দলের কাছেই সোমবারের ম্যাচটি বাঁচা-মরার। স্নায়ুর চাপ সামাল দেয়াটাই এ ম্যাচে দুই দলের সাফল্যের মূলমন্ত্র হয়ে উঠতে পারে।
সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯ , ৩ আষাঢ় ১৪২৫, ১৩ শাওয়াল ১৪৪০
বিশেষ প্রতিনিধি
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপরই টানা দুটো পরাজয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় টাইগাররা। বাংলাদেশ দলের সেমিফাইনালে ওঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কাগজে কলমে এগিয়ে থেকেও মাঠের লড়াইটা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় টাইগারদের। ফলে চার ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে চলতি বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই বাংলাদেশ দল। চার ম্যাচে ১টি জয়, ২টি হার ও ১টি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় টাইগারদের সংগ্রহ মাত্র ৩ পয়েন্ট। সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রাখতে সামনের সবকটা ম্যাচেই যে চাই জয়। আজ টনটনে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের বিপক্ষে পূর্ণ পয়েন্ট অর্জনের টার্গেট নিয়েই নামবে মাশরাফি বাহিনী।
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের বিপক্ষে মনস্তাত্বিকভাবে এগিয়ে থাকারই কথা বাংলাদেশের প্রতিটা ক্রিকেটারের। বিশ্বকাপ শুরুর আগে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রতিটা ম্যাচেই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। আবার এটাও মনে রাখা প্রয়োজন লীগ পর্বে দু’বার এবং ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান দলে অনুপস্থিত ছিলেন তারকা ক্রিকেটাররা। মূলত আইপিএল-এর কারণে মূল খেলোয়াড়দের ছাড়াই আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাজেই ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপের ম্যাচে কঠিন ক্যারিবিয়ান চ্যালেঞ্জ অপেক্ষায় আছে।
তারপরও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের বিপক্ষে জয়ের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করবে বাংলাদেশ দল। এবার দলের দিকে তাকানো যাক। সাকিব এবং মুশফিকের ইনজুরি নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও সেটা এখন কাটিয়ে ওঠা গেছে। ফর্মের বাইরে থাকা মোহাম্মদ মিথুনের জায়গায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেই একাদশে রাখা হয়েছিল লিটন কুমার দাসকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও লিটনের খেলা নিশ্চিত সেক্ষেত্রে তামিমের ওপেনিং পার্টনার হিসেবে কাকে খেলানো হবে, তা ম্যাচের আগেভাগেই জানাতে চাইছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। আবার রুবেল হোসেনকে সুযোগ দিতে হলে বাদ পড়বেন মেহেদি মিরাজ।
বাংলাদেশ দলের হয়ে চলতি বিশ্বকাপে রীতিমত ফর্মের তুঙ্গে আছেন সাকিব আল হাসান। চাপের মুখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার সেঞ্চুরিটা যেকোন বিচারেই দারুণ একটা ইনিংস। এটা বাদে আরও দুটো হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলা হয়ে গেছে তার। সাকিবের সঙ্গে তামিম-মুশফিক-লিটন-সৌম্য-রিয়াদ জ্বলে উঠতে পারলে বিশ্বের যেকোন বোলিং ডিপার্টমেন্টকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষমতা রাখে টাইগাররা। আবার মাশরাফি-মুস্তাফিজের আক্রমণের সঙ্গে টাইগারদের বাকী বোলাররা যোগ্য সহায়তা দিলে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ভঙ্গুর ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের জন্য কঠিন সময় অপেক্ষায় আছে।
পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের মতো একই অবস্থা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৪ খেলায় ১ জয় ২টি পরাজয় ও ১টি পরিত্যক্ত ম্যাচে ৩ পয়েন্ট ক্যারিবীয়দের। রানরেটে এগিয়ে থাকায় টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে তারা।
চলতি টুর্নামেন্টে আগ্রাসী বোলিংয়ে সাফল্য পেলেও ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের ব্যর্থতা চোখে পড়ার মত। ইংল্যান্ডের কাছে পরাজিত হওয়া ম্যাচে তিন উইকেটে ১৪৪ থেকে ২১২ রানে অল আউট হয় উইন্ডিজ। নির্ধারিত ৫০ ওভারের পুরোটা ব্যাটিংই করতে পারেনি তারা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আন্দ্রে রাসেল ও শেলডন কটরেলের ইনজুরি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুজনে মাত্র পাঁচ ওভার বল করেই মাঠ ছেড়েছিলেন।
সবকিছুর পর দুই দলের কাছেই সোমবারের ম্যাচটি বাঁচা-মরার। স্নায়ুর চাপ সামাল দেয়াটাই এ ম্যাচে দুই দলের সাফল্যের মূলমন্ত্র হয়ে উঠতে পারে।