সপ্তাহে তিন ধরনের নাস্তা পাবেন বন্দীরা

কারাগারগুলোকে সংশোধনাগারে পরিণত করা হয়েছে
-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কারাগারে বন্দীদের খাবার মেন্যুতে পরিবর্তন এনেছে কারা অধিদফতর। ব্রিটিশ আমলে কারাগারগুলোতে রুটি ও শুকনো গুড়ের পরিবর্তে বন্দীদের এখন থেকে দেয়া হবে খিচুড়ি, সবজি এবং হালুয়া রুটি। একই সঙ্গে এ খাবারের পরিমাণও দিগুণ করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ২শ’ ৩১ বছরের ইতিহাস ভেঙে প্রথমবারের মতো কারাবন্দীর জন্য সকালের খাবারের মেন্যু রুটি-গুড়ের পরিবর্তে ভুনা খিচুড়ি, সবজি ও হালুয়া রুটি ব্যবস্থা করায় বন্দীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। গতকাল ঢাকাসহ সারাদেশের ৬৮ কারাগারে আটক ৮১ হাজার ১শ’ ৭৮ জন বন্দীর জন্য একযোগে নাস্তায় এই মেন্যু চালু করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। এদিকে সকালের নাস্তায় ব্রিটিশ আমল থেকে চালু হওয়া শুকনা রুটি ও সামান্য গুড়ের পরিবর্তে অকল্পনীয়ভাবে সুস্বাদু ও অধিক পরিমাণ খাবার পেয়ে সারাদেশের আটক সব কারাবন্দী মহাখুশি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন।

কারা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সকালের নাস্তার নতুন মেন্যুতে কারাবন্দীরা এখন সপ্তাহে দুদিন ভুনা খিচুড়ি, ৩ দিন সবজি-রুটি, বাকি ১ দিন হালুয়া-রুটি পাবেন। এর আগে কারাগার চালু হওয়ার পর অর্থাৎ ব্রিটিশ আমল থেকে কারাগারে বন্দীরা কারাবিধি অনুযায়ী সকালের নাস্তায় পেতেন ১৪ দশমিক ৫৮ গ্রাম গুড় এবং ১১৬ দশমিক ৬ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)। একই পরিমাণ গুড়ের সঙ্গে একজন হাজতি পেতেন ৮৭ দশমিক ৬৮ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)। বর্তমানে এর বিপরীতে খিচুড়ি যেদিন পাবেন সেদিন ১শ’ ২০ গ্রাম চাল, ৫০ গ্রাম ডাল ও প্রয়োজনীয় মসলার মিশ্রণে তৈরি খিচুড়ি পাবেন। এছাড়া রুটি যেদিন পাবেন সেদিন পূর্বের নির্ধারিত আটার পরিমাণ বাড়িয়ে কয়েদি বন্দীর জন্য ১শ’ ২০ গ্রাম আটার রুটি ও ১৫০ গ্রাম সবজি। অন্যদিকে হাজতি বন্দীর জন্য ৯০ গ্রাম আটার রুটি ও সবার জন্য নির্ধারিত ১শ’ ২০ গ্রাম সবজি দেয়া হবে। এছাড়া হালুয়া যেদিন পাবেন সেদিন নির্ধারিত পরিমাণ আটার রুটি ও পরিমাণমতো হালুয়া দেয়া হবে নাস্তায়। মোটকথা একজন সাধারণ বন্দী সকালের নাস্তায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়মানুযায়ী পরিমাণমতো খাবার পাবেন।

মেন্যু পরিবর্তন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা কারাবন্দীদের সকালের নাস্তার মেন্যু আমরা আজ পরিবর্তন করেছি। বন্দীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির কথা বিবেচনা করে বর্তমান সরকার তাদের সকালের নাস্তায় এ পরিবর্তন এনেছে। এই খাবার আজ থেকে একযোগে সারাদেশের কারাগারগুলোতে বন্দীদের দেয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে তারা সপ্তাহে দুদিন ভুনা খিচুড়ি, চারদিন সবজি-রুটি, বাকি একদিন হালুয়া-রুটি খেতে পারবেন। এছাড়া বন্দীরা যেন প্রিয়জনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে পারেন সেজন্য এর আগে প্রিজন্স লিংক ‘স্বজন’ সার্ভিস চালু করা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে কারাবন্দীরা তাদের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্প হিসেবে টাঙ্গাইলে এ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এ সার্ভিস চালু করা হবে। মন্ত্রী বলেন, বন্দীরা কারাগারে থেকে মানসিক প্রশান্তি পেলে তাদের অপরাধ প্রবণতা কমবে। কারাবন্দীরা মুক্তির পর যাতে পুনরায় অপরাধে না জড়ান এবং সংশোধনের সুযোগ পান সেজন্য কারাগারের ভেতর প্রায় ৩৮টি কাজের ওপর বন্দীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তারা যাতে কিছু করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে, এ কারণে এসব প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের কারাগারগুলোকে এখন সংশোধনাগারে পরিণত করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ব্রিটিশ শাসনামলে আমাদের এ অঞ্চলে কারাগার ব্যবস্থা চালু হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ কারা বন্দীদের সকালের খাবারে মেন্যু হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের জন্য বরাদ্দ ছিল ১১৬.৬৪ গ্রাম আটার রুটি ও ১৪.৫৮ গ্রাম আখের গুড় এবং বিচারাধীন বন্দীর জন্য ৮৭.৪৮ গ্রাম আটার রুটি ও ১৪.৫৮গ্রাম আখের গুড়। যা বন্দীদের জন্য অপ্রতুল ছিল। বন্দীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির কথা বিবেচনা করে বর্তমান সরকার বন্দীদের জন্য সকালের নাস্তার খাবারে মেন্যু পরিবর্তন করেন। বর্তমানে বন্দীদের স্বাস্থ্যসম্মত সুষম খাবার হিসেবে সকালের নাস্তায় সপ্তাহে ৪ দিন রুটি-সবজি, ১দিন হালুয়া-রুটি ও ২ দিন সবজি-খিচুড়ি। এই খাবার আজ থেকেই একযোগে সারাদেশের কারাগারগুলোতেই বন্দীদের দেয়া হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশের কারাগারগুলোতে বর্তমানে বন্দীদের সংখ্যা এখন মোট ৮১১৮৩ জন। আগে যা ছিল ৯০,০০০। আমরা সারাদেশে কারাগারগুলোতে বন্দীদের সংখ্যা এখন আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি।

গতকাল অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশা, যুগ্ম-সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেন, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন, ঢাকা বিভাগের উপ কারা মহাপরিদর্শক টিপু সুলতান, সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরি, জেলার মাহবুবুল ইসলামসহ কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯ , ৩ আষাঢ় ১৪২৫, ১৩ শাওয়াল ১৪৪০

২৩১ বছর পর পরিবর্তন কারাগারে

সপ্তাহে তিন ধরনের নাস্তা পাবেন বন্দীরা

কারাগারগুলোকে সংশোধনাগারে পরিণত করা হয়েছে
-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

কারাগারে বন্দীদের খাবার মেন্যুতে পরিবর্তন এনেছে কারা অধিদফতর। ব্রিটিশ আমলে কারাগারগুলোতে রুটি ও শুকনো গুড়ের পরিবর্তে বন্দীদের এখন থেকে দেয়া হবে খিচুড়ি, সবজি এবং হালুয়া রুটি। একই সঙ্গে এ খাবারের পরিমাণও দিগুণ করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ২শ’ ৩১ বছরের ইতিহাস ভেঙে প্রথমবারের মতো কারাবন্দীর জন্য সকালের খাবারের মেন্যু রুটি-গুড়ের পরিবর্তে ভুনা খিচুড়ি, সবজি ও হালুয়া রুটি ব্যবস্থা করায় বন্দীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। গতকাল ঢাকাসহ সারাদেশের ৬৮ কারাগারে আটক ৮১ হাজার ১শ’ ৭৮ জন বন্দীর জন্য একযোগে নাস্তায় এই মেন্যু চালু করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। এদিকে সকালের নাস্তায় ব্রিটিশ আমল থেকে চালু হওয়া শুকনা রুটি ও সামান্য গুড়ের পরিবর্তে অকল্পনীয়ভাবে সুস্বাদু ও অধিক পরিমাণ খাবার পেয়ে সারাদেশের আটক সব কারাবন্দী মহাখুশি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন।

কারা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সকালের নাস্তার নতুন মেন্যুতে কারাবন্দীরা এখন সপ্তাহে দুদিন ভুনা খিচুড়ি, ৩ দিন সবজি-রুটি, বাকি ১ দিন হালুয়া-রুটি পাবেন। এর আগে কারাগার চালু হওয়ার পর অর্থাৎ ব্রিটিশ আমল থেকে কারাগারে বন্দীরা কারাবিধি অনুযায়ী সকালের নাস্তায় পেতেন ১৪ দশমিক ৫৮ গ্রাম গুড় এবং ১১৬ দশমিক ৬ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)। একই পরিমাণ গুড়ের সঙ্গে একজন হাজতি পেতেন ৮৭ দশমিক ৬৮ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)। বর্তমানে এর বিপরীতে খিচুড়ি যেদিন পাবেন সেদিন ১শ’ ২০ গ্রাম চাল, ৫০ গ্রাম ডাল ও প্রয়োজনীয় মসলার মিশ্রণে তৈরি খিচুড়ি পাবেন। এছাড়া রুটি যেদিন পাবেন সেদিন পূর্বের নির্ধারিত আটার পরিমাণ বাড়িয়ে কয়েদি বন্দীর জন্য ১শ’ ২০ গ্রাম আটার রুটি ও ১৫০ গ্রাম সবজি। অন্যদিকে হাজতি বন্দীর জন্য ৯০ গ্রাম আটার রুটি ও সবার জন্য নির্ধারিত ১শ’ ২০ গ্রাম সবজি দেয়া হবে। এছাড়া হালুয়া যেদিন পাবেন সেদিন নির্ধারিত পরিমাণ আটার রুটি ও পরিমাণমতো হালুয়া দেয়া হবে নাস্তায়। মোটকথা একজন সাধারণ বন্দী সকালের নাস্তায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়মানুযায়ী পরিমাণমতো খাবার পাবেন।

মেন্যু পরিবর্তন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা কারাবন্দীদের সকালের নাস্তার মেন্যু আমরা আজ পরিবর্তন করেছি। বন্দীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির কথা বিবেচনা করে বর্তমান সরকার তাদের সকালের নাস্তায় এ পরিবর্তন এনেছে। এই খাবার আজ থেকে একযোগে সারাদেশের কারাগারগুলোতে বন্দীদের দেয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে তারা সপ্তাহে দুদিন ভুনা খিচুড়ি, চারদিন সবজি-রুটি, বাকি একদিন হালুয়া-রুটি খেতে পারবেন। এছাড়া বন্দীরা যেন প্রিয়জনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে পারেন সেজন্য এর আগে প্রিজন্স লিংক ‘স্বজন’ সার্ভিস চালু করা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে কারাবন্দীরা তাদের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্প হিসেবে টাঙ্গাইলে এ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এ সার্ভিস চালু করা হবে। মন্ত্রী বলেন, বন্দীরা কারাগারে থেকে মানসিক প্রশান্তি পেলে তাদের অপরাধ প্রবণতা কমবে। কারাবন্দীরা মুক্তির পর যাতে পুনরায় অপরাধে না জড়ান এবং সংশোধনের সুযোগ পান সেজন্য কারাগারের ভেতর প্রায় ৩৮টি কাজের ওপর বন্দীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তারা যাতে কিছু করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে, এ কারণে এসব প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের কারাগারগুলোকে এখন সংশোধনাগারে পরিণত করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ব্রিটিশ শাসনামলে আমাদের এ অঞ্চলে কারাগার ব্যবস্থা চালু হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ কারা বন্দীদের সকালের খাবারে মেন্যু হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের জন্য বরাদ্দ ছিল ১১৬.৬৪ গ্রাম আটার রুটি ও ১৪.৫৮ গ্রাম আখের গুড় এবং বিচারাধীন বন্দীর জন্য ৮৭.৪৮ গ্রাম আটার রুটি ও ১৪.৫৮গ্রাম আখের গুড়। যা বন্দীদের জন্য অপ্রতুল ছিল। বন্দীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির কথা বিবেচনা করে বর্তমান সরকার বন্দীদের জন্য সকালের নাস্তার খাবারে মেন্যু পরিবর্তন করেন। বর্তমানে বন্দীদের স্বাস্থ্যসম্মত সুষম খাবার হিসেবে সকালের নাস্তায় সপ্তাহে ৪ দিন রুটি-সবজি, ১দিন হালুয়া-রুটি ও ২ দিন সবজি-খিচুড়ি। এই খাবার আজ থেকেই একযোগে সারাদেশের কারাগারগুলোতেই বন্দীদের দেয়া হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশের কারাগারগুলোতে বর্তমানে বন্দীদের সংখ্যা এখন মোট ৮১১৮৩ জন। আগে যা ছিল ৯০,০০০। আমরা সারাদেশে কারাগারগুলোতে বন্দীদের সংখ্যা এখন আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি।

গতকাল অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশা, যুগ্ম-সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেন, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন, ঢাকা বিভাগের উপ কারা মহাপরিদর্শক টিপু সুলতান, সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরি, জেলার মাহবুবুল ইসলামসহ কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।