যুগ্ম সচিব হলেন আরও ১৩৬ কর্মকর্তা

পদ ৪১১টি, কর্মকর্তা ৯৬৯ জন

জনপ্রশাসনে ১৩৬ কর্মকর্তাকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। উপসচিব থেকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সরকারের প্রশাসনে এটাই প্রথম বড় ধরনের পদোন্নতি। এর আগে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর ১৫৪ জন কর্মকর্তাকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছিল সরকার। নিয়ম অনুযায়ী, পদোন্নতি দিয়ে কর্মকর্তাদের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। পদোন্নতিপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিবদের পদায়ন করা হয়নি। পদোন্নতি প্রাপ্তদের মধ্যে ১২ জন জেলা প্রশাসক (ডিসি) রয়েছেন; যাদের গত ১১ জুন বদলি করা হয়েছিল। পৃথক আদেশে এই ১২ জন ডিসিকে পূর্বের পদেই বহাল রাখা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পদোন্নতির পর সরকারের যুগ্ম-সচিবের মোট সংখ্যা ৯৬৯ জন। তবে যুগ্ম-সচিবের নিয়মিত পদের সংখ্যা ৪১১টি।

স্থায়ী পদ না থাকায় এমনিতেই অনেক যুগ্ম-সচিবকে নিচের পদে কাজ করতে হচ্ছে, এর মধ্যে গতকাল নতুন করে ১৩৬ জনকে পদোন্নতি দেয়া হলো। পদোন্নতিপ্রাপ্ত বেশিরভাগ যুগ্ম-সচিবকে বর্তমান কর্মস্থলে ইনসিটু (পদোন্নতির পরও নিচের পদে ন্যাস্ত) থাকতে হবে।

আর বদলি হওয়া ডিসিরা নতুন কর্মস্থলে যোগ না দেয়ায় যুগ্ম-সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তাদের ১২ জনকে ইনসিটু (ডিসি হিসেবেই আগের পদে বহাল) করা হয়। এরপর বদলি করা আগের স্থানে যুগ্ম-সচিব হিসেবে তাদের পদায়ন করা হয়।

‘সরকারের উপসচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা-২০০২’ এ বলা হয়েছে, যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও ৩০ শতাংশ অন্য ক্যাডারের উপসচিব পদে কর্মরতদের বিবেচনায় নিতে হবে।

বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে কমপক্ষে পাঁচ বছর চাকরিসহ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের সদস্য হিসেবে ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা বা উপসচিব পদে কমপক্ষে তিন বছর চাকরিসহ ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে কোন কর্মকর্তাকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতির জন্য বিবেচনায় নেয়া হয়।

সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯ , ৩ আষাঢ় ১৪২৫, ১৩ শাওয়াল ১৪৪০

যুগ্ম সচিব হলেন আরও ১৩৬ কর্মকর্তা

পদ ৪১১টি, কর্মকর্তা ৯৬৯ জন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

জনপ্রশাসনে ১৩৬ কর্মকর্তাকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। উপসচিব থেকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সরকারের প্রশাসনে এটাই প্রথম বড় ধরনের পদোন্নতি। এর আগে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর ১৫৪ জন কর্মকর্তাকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছিল সরকার। নিয়ম অনুযায়ী, পদোন্নতি দিয়ে কর্মকর্তাদের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। পদোন্নতিপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিবদের পদায়ন করা হয়নি। পদোন্নতি প্রাপ্তদের মধ্যে ১২ জন জেলা প্রশাসক (ডিসি) রয়েছেন; যাদের গত ১১ জুন বদলি করা হয়েছিল। পৃথক আদেশে এই ১২ জন ডিসিকে পূর্বের পদেই বহাল রাখা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পদোন্নতির পর সরকারের যুগ্ম-সচিবের মোট সংখ্যা ৯৬৯ জন। তবে যুগ্ম-সচিবের নিয়মিত পদের সংখ্যা ৪১১টি।

স্থায়ী পদ না থাকায় এমনিতেই অনেক যুগ্ম-সচিবকে নিচের পদে কাজ করতে হচ্ছে, এর মধ্যে গতকাল নতুন করে ১৩৬ জনকে পদোন্নতি দেয়া হলো। পদোন্নতিপ্রাপ্ত বেশিরভাগ যুগ্ম-সচিবকে বর্তমান কর্মস্থলে ইনসিটু (পদোন্নতির পরও নিচের পদে ন্যাস্ত) থাকতে হবে।

আর বদলি হওয়া ডিসিরা নতুন কর্মস্থলে যোগ না দেয়ায় যুগ্ম-সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তাদের ১২ জনকে ইনসিটু (ডিসি হিসেবেই আগের পদে বহাল) করা হয়। এরপর বদলি করা আগের স্থানে যুগ্ম-সচিব হিসেবে তাদের পদায়ন করা হয়।

‘সরকারের উপসচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা-২০০২’ এ বলা হয়েছে, যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও ৩০ শতাংশ অন্য ক্যাডারের উপসচিব পদে কর্মরতদের বিবেচনায় নিতে হবে।

বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে কমপক্ষে পাঁচ বছর চাকরিসহ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের সদস্য হিসেবে ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা বা উপসচিব পদে কমপক্ষে তিন বছর চাকরিসহ ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে কোন কর্মকর্তাকে যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতির জন্য বিবেচনায় নেয়া হয়।