ড্রেসিং রুমে কেউই মনে করেননি কাজটা কঠিন হবে : সাকিব

সামনে রেকর্ড রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ। হারলেই কার্যত বিশ্বকাপ স্বপ্ন অনেকটাই শেষ হয়ে যাওয়া। কিন্তু ইনিংস বিরতিতে চাপের হাওয়া প্রবেশ করার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে। সোমবার ম্যাচ শেষে সাকিব আল হাসান জানান, সবাই বরং তখন মজা করছিল! ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিততে হলে রান তাড়ার নতুন রেকর্ড করতে হতো বাংলাদেশকে। সেই চ্যালেঞ্জে দল জিতেছে ৫১ বল বাকি রেখে! দুই উইকেট নেয়ার পর অসাধারণ সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জেতানো পুরস্কার পান বর্তমান সময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ম্যাচ শেষে তিনিই শোনালেন মাঝ বিরতির গল্প। জেতার বিকল্প নেই, এরকম ম্যাচে নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার কাজটি হওয়ার কথা ভীষণ কঠিন। কিন্তু সে অভিযানের আগে সবারই ছিল জেতার বিশ্বাস।

‘প্রথম ইনিংস শেষে, ড্রেসিং রুমে কেউই ভাবেনি যে কাজটা কঠিন হবে। সবাই স্বস্তিতেই ছিল, মজা করছিল। রান তাড়ার বিশ্বাস প্রবলভাবেই ছিল ড্রেসিং রুমে। ওপেনাররা যেভাবে শুরু করেছিল, ড্রেসিং রুমের সবাই তাতে আরও ভালোভাবে বিশ্বাস করতে শুরু করে।’

‘ওপেনারদের অমন শুরুর পর আসলে কোন সময়ই আমরা শঙ্কা করিনি। আজ আমাদের রান তাড়ার সবচেয়ে ভালো দিক ছিল এটিই।’

উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার দলকে এনে দেন ৫২ রান। ২৩ বলে ২৯ রান করে সৌম্য আউট হওয়ার পর উইকেটে যান সাকিব। তামিমের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৫৫ বলে ৬৯ রান। সাকিব জানান, এই জুটির সময়ই জয় দেখতে পাচ্ছিলেন তিনি। পরে জুটি ভাঙলেও বদলায়নি তার জয়ের ভাবনা।

‘আমি ও তামিম যখন ব্যাট করছিলাম, আমি মনে হয় দুবার ওকে বলেছিলাম যে, আমরা দুজনই শেষ করতে পারব। ৫-৬ ওভার আগেই পারব শেষ করতে, যদি ব্যাটিং করতে থাকি।’

‘তার পর লিটনের সঙ্গে যখন ব্যাট করেছি, অনেকবারই ও আমাকে বলেছে, আমি ওকে বলেছি যে শেষ পর্যন্ত খেলতে হবে, অপরাজিত থাকতে হবে। আমরা জানতাম যে যথেষ্ট বাজে বল পাচ্ছি, চার মারতে পারছি। তাই কখনো চাপই নিতে হয়নি। অনেকবারই আমরা বলেছি যে চাইলে দুজনেই শেষ করা সম্ভব।’

শেষ পর্যন্ত সাকিব আর লিটনই শেষ করেছেন খেলা। তামিম রান আউট হওয়ার পর মুশফিকুর রহিম ফিরেছিলেন দ্রুতই। চতুর্থ উইকেটে ১৮৯ রানের রেকর্ড গড়া অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলের জয় নিয়ে ফিরেছেন সাকিব ও লিটন। ওয়েবসাইট।

image

অবিস্মরণীয় জয়ের নায়ক সাকিবকে ব্রাভোর অভিনন্দন

আরও খবর
পাঁচ প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতি
ব্যর্থতার দায় স্বীকার জাতিসংঘের
সাকিব-লিটনের অবিস্মরণীয় জুটিতে বাংলাদেশের স্বপ্ন সফল হতে পারে
আবার ইংল্যান্ডের রানের পাহাড়
মানহানির দুই মামলায় খালেদার জামিন
সর্বজনীন পেনশন চালু করতে চায় সরকার
ফলের রাসায়নিক পরীক্ষার যন্ত্র নেই
ডিআইজি মিজানের শাস্তির ব্যবস্থা হচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংসে এক মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট
এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ সমাপ্ত ২০২২ সালে
আসামি রুহুলের মুক্তি চেয়ে আ’লীগের নামে পোস্টার
বিলুপ্তির পথে শিল্পী পাখি বাবুইয়ের গড়া নীড়
মোবাইলের মাধ্যমে চলছে মাদক ব্যবসা

বুধবার, ১৯ জুন ২০১৯ , ৫ আষাঢ় ১৪২৫, ১৫ শাওয়াল ১৪৪০

ড্রেসিং রুমে কেউই মনে করেননি কাজটা কঠিন হবে : সাকিব

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

অবিস্মরণীয় জয়ের নায়ক সাকিবকে ব্রাভোর অভিনন্দন

সামনে রেকর্ড রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ। হারলেই কার্যত বিশ্বকাপ স্বপ্ন অনেকটাই শেষ হয়ে যাওয়া। কিন্তু ইনিংস বিরতিতে চাপের হাওয়া প্রবেশ করার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে। সোমবার ম্যাচ শেষে সাকিব আল হাসান জানান, সবাই বরং তখন মজা করছিল! ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিততে হলে রান তাড়ার নতুন রেকর্ড করতে হতো বাংলাদেশকে। সেই চ্যালেঞ্জে দল জিতেছে ৫১ বল বাকি রেখে! দুই উইকেট নেয়ার পর অসাধারণ সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জেতানো পুরস্কার পান বর্তমান সময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ম্যাচ শেষে তিনিই শোনালেন মাঝ বিরতির গল্প। জেতার বিকল্প নেই, এরকম ম্যাচে নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার কাজটি হওয়ার কথা ভীষণ কঠিন। কিন্তু সে অভিযানের আগে সবারই ছিল জেতার বিশ্বাস।

‘প্রথম ইনিংস শেষে, ড্রেসিং রুমে কেউই ভাবেনি যে কাজটা কঠিন হবে। সবাই স্বস্তিতেই ছিল, মজা করছিল। রান তাড়ার বিশ্বাস প্রবলভাবেই ছিল ড্রেসিং রুমে। ওপেনাররা যেভাবে শুরু করেছিল, ড্রেসিং রুমের সবাই তাতে আরও ভালোভাবে বিশ্বাস করতে শুরু করে।’

‘ওপেনারদের অমন শুরুর পর আসলে কোন সময়ই আমরা শঙ্কা করিনি। আজ আমাদের রান তাড়ার সবচেয়ে ভালো দিক ছিল এটিই।’

উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার দলকে এনে দেন ৫২ রান। ২৩ বলে ২৯ রান করে সৌম্য আউট হওয়ার পর উইকেটে যান সাকিব। তামিমের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৫৫ বলে ৬৯ রান। সাকিব জানান, এই জুটির সময়ই জয় দেখতে পাচ্ছিলেন তিনি। পরে জুটি ভাঙলেও বদলায়নি তার জয়ের ভাবনা।

‘আমি ও তামিম যখন ব্যাট করছিলাম, আমি মনে হয় দুবার ওকে বলেছিলাম যে, আমরা দুজনই শেষ করতে পারব। ৫-৬ ওভার আগেই পারব শেষ করতে, যদি ব্যাটিং করতে থাকি।’

‘তার পর লিটনের সঙ্গে যখন ব্যাট করেছি, অনেকবারই ও আমাকে বলেছে, আমি ওকে বলেছি যে শেষ পর্যন্ত খেলতে হবে, অপরাজিত থাকতে হবে। আমরা জানতাম যে যথেষ্ট বাজে বল পাচ্ছি, চার মারতে পারছি। তাই কখনো চাপই নিতে হয়নি। অনেকবারই আমরা বলেছি যে চাইলে দুজনেই শেষ করা সম্ভব।’

শেষ পর্যন্ত সাকিব আর লিটনই শেষ করেছেন খেলা। তামিম রান আউট হওয়ার পর মুশফিকুর রহিম ফিরেছিলেন দ্রুতই। চতুর্থ উইকেটে ১৮৯ রানের রেকর্ড গড়া অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলের জয় নিয়ে ফিরেছেন সাকিব ও লিটন। ওয়েবসাইট।