এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ সমাপ্ত ২০২২ সালে

পাতাল রেলেরও দৃশ্যমান কাজ এ বছর শুরু : কাদের

২০২২ সালের মার্চে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কাজ শেষ হবে উল্লেখ করে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার (উড়াল সড়ক) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসের কাজটি পিপিপি প্রজেক্ট করছে। চায়না এক্সিম ব্যাংক এই প্রজেক্টের অর্থায়ন করছে। প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল অর্থায়নের জন্য। এখন কাজ পুরোদমে চলছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসের কাজও এখন দৃশ্যমান। প্রকল্পটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপে এয়ারপোর্ট থেকে বনানী, দ্বিতীয় ধাপে বনানী থেকে মগবাজার ও শেষ ধাপে মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত কাজ হবে। প্রথম ধাপের কাজ আগামী জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে। আর পুরো কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের মার্চ মাসে। গতকাল রাজধানীর কাওলায় ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের’ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীবাসীর স্বপ্নের প্রকল্প। তিন ধাপে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের মার্চ মাসে। প্রথম ধাপের কাজ বিমানবন্দর থেকে বনানী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জানুয়ারির মধ্যে। দ্বিতীয় ধাপের কাজ বনানী রেলওয়ে স্টেশন থেকে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। তৃতীয় ধাপের কাজ মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত শেষ হবে ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে পাতালরেলসহ ঢাকা শহরের সবকটি এমআরটির কাজ শেষ হবে।

মেট্রোরেলের মতো পাতালরেলের দৃশ্যমান কাজ এ বছরই শুরু হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন ফিজিবিলিটি টেস্ট চলছে, এ বছরেই দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে। এমআরটি লাইন ১ ও ৫-এর কাজ আগে হবে। এমআরটি লাইন ১-এ আছে সাড়ে ১৬ কিলোমিটার, আর ৫-এ আছে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পাতালরেল হবে। এমআরটি লাইন-১, এমআরটি লাইন-২, এমআরটি লাইন-৩, এমআরটি লাইন-৪ ও এমআরটি লাইন-৫। ২০৩০ সালের মধ্যে সবকটি এমআরটি লাইনের কাজ শেষ হবে।

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সবগুলো মামলায় জামিন পাওয়ার নিশ্চয়তা পেলে তিনি জামিন পাবেন। আদালত যদি নির্দেশ দেন তাকে জেলে রাখা হবে না, মুক্তি দেওয়া হবে। তাহলে সরকারের কোনো বাধা থাকতে পারে না। সরকার এখানে কোন অন্তরায় নয়। এটি আদালতের ব্যাপার। সব মামলা থেকে জামিন পেলে মুক্তির বিষয়ে সরকার অন্তরায় হবে না। বিএনপি শুধু বলার জন্যই বলছে, বিরোধিতার জন্য বলছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপির নেতারা দলীয়ভাবে কিছু করতে না পেরে সবকিছু সরকারে ঘাড়ে চাপায়। যত দোষ নন্দ ঘোষ। এটিই বিএনপির রাজনীতি। আজকে আবারও প্রমাণিত হলো বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন।

উদ্দেশ্যমূলকভাবে সরকার বগুড়া উপনির্বাচনে ইভিএম দিয়েছে, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতে দেখা গেছে ইভিএম যেখানে হয়েছে, সেখানে বিরোধী রাজনৈতিক দলই সুবিধাটা বেশি পেয়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলই জিতেছে। প্রযুক্তি নিয়ে সন্দেহ করার কোন কারণ নেই। বগুড়ায় সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।

বুধবার, ১৯ জুন ২০১৯ , ৫ আষাঢ় ১৪২৫, ১৫ শাওয়াল ১৪৪০

বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী

এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ সমাপ্ত ২০২২ সালে

পাতাল রেলেরও দৃশ্যমান কাজ এ বছর শুরু : কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

২০২২ সালের মার্চে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কাজ শেষ হবে উল্লেখ করে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার (উড়াল সড়ক) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসের কাজটি পিপিপি প্রজেক্ট করছে। চায়না এক্সিম ব্যাংক এই প্রজেক্টের অর্থায়ন করছে। প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল অর্থায়নের জন্য। এখন কাজ পুরোদমে চলছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসের কাজও এখন দৃশ্যমান। প্রকল্পটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপে এয়ারপোর্ট থেকে বনানী, দ্বিতীয় ধাপে বনানী থেকে মগবাজার ও শেষ ধাপে মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত কাজ হবে। প্রথম ধাপের কাজ আগামী জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে। আর পুরো কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের মার্চ মাসে। গতকাল রাজধানীর কাওলায় ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের’ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীবাসীর স্বপ্নের প্রকল্প। তিন ধাপে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের মার্চ মাসে। প্রথম ধাপের কাজ বিমানবন্দর থেকে বনানী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জানুয়ারির মধ্যে। দ্বিতীয় ধাপের কাজ বনানী রেলওয়ে স্টেশন থেকে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। তৃতীয় ধাপের কাজ মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত শেষ হবে ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে পাতালরেলসহ ঢাকা শহরের সবকটি এমআরটির কাজ শেষ হবে।

মেট্রোরেলের মতো পাতালরেলের দৃশ্যমান কাজ এ বছরই শুরু হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন ফিজিবিলিটি টেস্ট চলছে, এ বছরেই দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে। এমআরটি লাইন ১ ও ৫-এর কাজ আগে হবে। এমআরটি লাইন ১-এ আছে সাড়ে ১৬ কিলোমিটার, আর ৫-এ আছে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পাতালরেল হবে। এমআরটি লাইন-১, এমআরটি লাইন-২, এমআরটি লাইন-৩, এমআরটি লাইন-৪ ও এমআরটি লাইন-৫। ২০৩০ সালের মধ্যে সবকটি এমআরটি লাইনের কাজ শেষ হবে।

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সবগুলো মামলায় জামিন পাওয়ার নিশ্চয়তা পেলে তিনি জামিন পাবেন। আদালত যদি নির্দেশ দেন তাকে জেলে রাখা হবে না, মুক্তি দেওয়া হবে। তাহলে সরকারের কোনো বাধা থাকতে পারে না। সরকার এখানে কোন অন্তরায় নয়। এটি আদালতের ব্যাপার। সব মামলা থেকে জামিন পেলে মুক্তির বিষয়ে সরকার অন্তরায় হবে না। বিএনপি শুধু বলার জন্যই বলছে, বিরোধিতার জন্য বলছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপির নেতারা দলীয়ভাবে কিছু করতে না পেরে সবকিছু সরকারে ঘাড়ে চাপায়। যত দোষ নন্দ ঘোষ। এটিই বিএনপির রাজনীতি। আজকে আবারও প্রমাণিত হলো বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন।

উদ্দেশ্যমূলকভাবে সরকার বগুড়া উপনির্বাচনে ইভিএম দিয়েছে, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতে দেখা গেছে ইভিএম যেখানে হয়েছে, সেখানে বিরোধী রাজনৈতিক দলই সুবিধাটা বেশি পেয়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলই জিতেছে। প্রযুক্তি নিয়ে সন্দেহ করার কোন কারণ নেই। বগুড়ায় সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।