আসামি রুহুলের মুক্তি চেয়ে আ’লীগের নামে পোস্টার

নেতাকর্মীদের দাবি দলের কোন সম্পর্ক নেই

সোনাগাজীর আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার এজহার ও চার্জশিটভুক্ত আসামি ও সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনের মুক্তির দাবিতে পোস্টারে সয়লাব সোনাগাজীসহ ফেনীর আদালত পাড়া এলাকা। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে এসব পোস্টার সাঁটানো হলেও এর সাথে দলের কোন সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এদিকে নুসরাত হত্যা ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পরও রুহুল আমিন স্বপদে বহাল রয়েছে। তার স্থলে অন্য একজনকে উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

‘সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রুহুল আমিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি চাই’ লেখা সম্বলিত পোস্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি ছাপা হয়েছে। সোমবার রাত থেকে এসব পোস্টার উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ জেলার আদালতপাড়া এলাকায় সাঁটানো হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়েও এসব পোস্টার সাঁটানো হয়েছে বলে দলীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এদিকে রুহুল আমিনের মুক্তির দাবিতে পোস্টার সাঁটানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হত্যা মামলার বাদী ও নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। তিনি বলেন, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যে ১৬ জনের নামে চার্জশিট দিয়েছেন, তাতে রুহুল আমিনের নাম আছে। এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে ন্যায়বিচার ব্যাহত হবে বলে জানান তিনি।

উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মফিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক হিরন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ভূট্টো জানান, এ ধরনের পোস্টার সাঁটানোর বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগের কোন সম্পর্ক নেই, এমনকি কাউকে এ বিষয়ে কোন দায়িত্ব প্রদান করা হয়নি।

এ ব্যাপারে জেলা আ’লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকম জানান, রুহুল আমিনের মুক্তির দাবিতে পোস্টার সাঁটানোর সাথে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কোন সম্পর্ক নেই। কে বা কারা এটি করেছে, এ সম্পর্কে অবগত নন বলেও জানান তিনি।

এর আগে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরে গত ৩০ মে রুহুল আমিনসহ ১৬ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড চেয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম।

বুধবার, ১৯ জুন ২০১৯ , ৫ আষাঢ় ১৪২৫, ১৫ শাওয়াল ১৪৪০

নুসরাত হত্যা

আসামি রুহুলের মুক্তি চেয়ে আ’লীগের নামে পোস্টার

নেতাকর্মীদের দাবি দলের কোন সম্পর্ক নেই

প্রতিনিধি, ফেনী

সোনাগাজীর আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার এজহার ও চার্জশিটভুক্ত আসামি ও সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনের মুক্তির দাবিতে পোস্টারে সয়লাব সোনাগাজীসহ ফেনীর আদালত পাড়া এলাকা। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে এসব পোস্টার সাঁটানো হলেও এর সাথে দলের কোন সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এদিকে নুসরাত হত্যা ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পরও রুহুল আমিন স্বপদে বহাল রয়েছে। তার স্থলে অন্য একজনকে উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

‘সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রুহুল আমিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি চাই’ লেখা সম্বলিত পোস্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি ছাপা হয়েছে। সোমবার রাত থেকে এসব পোস্টার উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ জেলার আদালতপাড়া এলাকায় সাঁটানো হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়েও এসব পোস্টার সাঁটানো হয়েছে বলে দলীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এদিকে রুহুল আমিনের মুক্তির দাবিতে পোস্টার সাঁটানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হত্যা মামলার বাদী ও নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। তিনি বলেন, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যে ১৬ জনের নামে চার্জশিট দিয়েছেন, তাতে রুহুল আমিনের নাম আছে। এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে ন্যায়বিচার ব্যাহত হবে বলে জানান তিনি।

উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মফিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক হিরন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ভূট্টো জানান, এ ধরনের পোস্টার সাঁটানোর বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগের কোন সম্পর্ক নেই, এমনকি কাউকে এ বিষয়ে কোন দায়িত্ব প্রদান করা হয়নি।

এ ব্যাপারে জেলা আ’লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকম জানান, রুহুল আমিনের মুক্তির দাবিতে পোস্টার সাঁটানোর সাথে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কোন সম্পর্ক নেই। কে বা কারা এটি করেছে, এ সম্পর্কে অবগত নন বলেও জানান তিনি।

এর আগে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরে গত ৩০ মে রুহুল আমিনসহ ১৬ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড চেয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম।