আজও সাকিবে ভর করে অজিদের হারাতে চায় টাইগাররা

চলতি আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে বেশ সমীহ জাগানিয়া নৈপুণ্য দেখিয়ে চলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বিশ্ব ক্রিকেটের কুলীন দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করা গেছে দাপটের সঙ্গে। ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের মুখোমুখি হলেও ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শাই হোপের মত তারকা ক্রিকেটার সমৃদ্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান দলকে বিধ্বস্ত করে আত্মবিশ্বাসের পারদ এখন অনেক চড়া টাইগার বাহিনীর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সম্ভাব্য জয়টা বৃষ্টিতে ভেসে না গেলে পয়েন্ট টেবিলে বেশ ভালো অবস্থানেই হয়ত থাকত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। পাঁচ খেলায় বাংলাদেশ দলের পয়েন্ট এখন পাঁচ। আজ বাংলাদেশ দল নটিংহামে খেলবে এবারের আসরে ধারাবাহিকতার প্রতিমূর্তি অ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। লড়াইটা মোটেও সহজ হবে না।

কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বের কুলীন দলগুলোকে পরাজিত করতে পারাটা অভ্যাসে পরিণত করা টাইগাররা নিজেদের দিনে যেকোন প্রতিপক্ষকেই জন্য এখন হেসে খেলে উড়িয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। বিশেষ করে ফর্মের বিবেচনায় বিশ্বসেরা টাইগার অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান একাই দলকে জয় এনে দেয়ার মত নৈপুণ্য প্রদর্শনে সক্ষম। অবশ্য দলগত খেলা ক্রিকেটে সাফল্য পেতে সাকিবের চাই টিমমেটদের কাছ থেকে যোগ্য সহায়তা।

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের আগে দলের ফটোসেশনে অনুপস্থিত থাকায় সাকিবকে নিয়ে পানি কম ঘোলা হয়নি। সব সমালোচনার জবাব তিনি দিয়েছেন মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করা ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের জন্য তিনি উপহার দেন ৭৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস। বল হাতে ওপেনার অ্যান্ডি মার্করামকে হাত খোলার আগেই সাজঘরের পথ দেখান। অল রাউন্ড নৈপুণ্যের মধ্য দিয়ে হন ম্যাচসেরা খেলোয়াড়। নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজিত হওয়া ম্যাচেও স্বমহিমায় উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। দলের সব ব্যাটসম্যান যেখানে বিশের কোটায় রানে আউট হয়েছেন, সেখানে সাকিবের রান ৬৪। বোলিংয়ে প্রাপিত দুটো উইকেট। ইংল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ দল হারলেও যথারীতি সাকিবের নৈপুণ্যে ঘাটতি ছিলো না। একপ্রান্তে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলের বিপরীতে দাঁড়িয়ে খেলা তার ১২১ রানের ইনিংসটা যেকোন বিচারে সেরা। বলে রাখা ভালো, অতীতে যখনই কোন ধরনের সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাকিব, ততই তার মাঠের খেলা হয়েছে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর। এবারও তার ব্যতিক্রম কিছু হচ্ছে না।

সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাওয়া জয়ে সাকিবের অপরাজিত ১২৪ রানের ইনিংস এবং ক্যারিবিয়ান ইনিংসে প্রয়োজনের মুহূর্তে দুই হার্ড হিটার এভিন লুইস ও নিকোলাস পুরাণকে ফেরানোর কৃতিত্ব তারই। সব মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পাওয়া সাফল্যের সিংহভাগ জুড়েই আছে সাকিবের নাম। আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় নিয়ে সেমি-ফাইনালে পথ পরিস্কার করে রাখতে বাংলাদেশ দল সাকিবের কাছ থেকে এরকম নৈপুণ্যই প্রত্যাশা করবে। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ দলের মূল সমস্যা হচ্ছে তামিমকে নিয়ে। দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এই সৈনিক কোনমতেই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না। তার পার্টনার সৌম্য হাত খুলেও মূলত চাপের কারণে স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারছেন বলে মনে হয় না। মুশফিক এবং মাহমুদুল্লার ব্যাটও সেভাবে কথা বলছে না। ব্যর্থতার প্রতিমূর্তি হয়ে থাকা মোহাম্মদ মিথুনকে সরিয়ে লিটন কুমার দাসকে দলে রাখার সুফল হাতেনাতেই বাংলাদেশ দল পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ঝড়ো গতিতে ৬৯ বলে তোলা লিটনের ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংসটা না হলে সাকিবের পক্ষে একা ম্যাচ জেতানো কঠিন ছিল।

বোলিংয়ের বিষয়ে বলে কোন লাভ নেই। এবারের আসরে ব্যাটিং সহায়ক পিচ বোলারদের বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। অধিনায়ক মাশরাফির নেতৃত্বে সাইফুদ্দিন- মুস্তাফিজ খারাপ করছেন না। স্পিন ডিপার্টমেন্টে সাকিবের সঙ্গে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন মেহেদি মিরাজ।

অন্যদিকে বরাবরের মতোই অপ্রতিরোধ্য অস্ট্রেলিয়ান দল। ভারতের কাছে পরাজয়টা বাদ দিলে চার ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে অজিরা জানান দিয়েছে যে, কাপটা তাদের চাই। টানা জয়ের পরও ক্যাঙারুদের সহকারী কোচ ব্র্যাড হ্যাডিন বলছেন এখনো নাকি যুতসই একাদশই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অস্ট্রেলিয়ানরা যে কাউকে ছেড়ে কথা বলে না, তা আর নতুন কি? তারাও মাঠে নামবে ‘বিনা যুদ্ধে সূচ্যাগ্র মেদিনি’ না দেয়ার পণ করে। কাজেই লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। কেননা নিউজিল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ দলের তরী ডুবেছে একেবারে তীরে গিয়ে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যোগ্য সঙ্গী পেলে সাকিব হয়ত আরও একটা জয় এনে দিতে পারতেন। উপমহাদেশীয় স্পিনে অস্ট্রেলিয়ানদের দুর্বলতা কারও অজানা নয়। বাংলাদেশের থিংক ট্যাংক সেভাবেই মন্ত্র দিচ্ছেন খেলোয়াড়দের।

তবে দুই দলের রণ হুঙ্কারে বৃষ্টির শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। আবার আইসিসির কোন টুর্নামেন্টে অতীতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হলেই সেদিন বৃষ্টি হয়েছে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ব্রিজবেনের ম্যাচটিতে টসই হয়নি বৃষ্টির কারণে। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় অবশ্য বেঁচে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। হারের মুখে থাকা টাইগাররা পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে পাওয়া একটা পয়েন্ট নিয়ে খেলেছিল সেমিতে। আবহাওয়া দফতর নটিংহ্যামের আজকের আকাশে মেঘের ঘনঘটা থাকলেও সেরকম টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে না। তবে ম্যাচ চলাকালে শতকরা ত্রিশ ভাগ বৃষ্টির শঙ্কার বিষয়ে জানান দিয়েছে। যদি ম্যাচ চলাকালে মুষলধারে বৃষ্টি হয়, তাহলে একটা পয়েন্ট যোগ হবে বাংলাদেশের। বিষয়টা হয়ত ‘মন্দ’ হবে না। তবে টাইগারদের আত্মবিশ্বাসের পারদ এতটাই চড়া যে, তারা সব নেতিবাচক চিন্তা পেছনে ফেলে জিতে দেখাতে চায় বিশ্বকে।

image
আরও খবর
বাস্তবায়ন হয়নি কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা
মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদকে চিহ্নিত করবে সরকার
বাংলাদেশের কাঁধে ১১ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা
অজি পেস আক্রমণ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই : সাকিব
দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২৪১
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির তালিকা হচ্ছে
ঢাকার সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে কমিটি
মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল
অবশেষে পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ল ডন আল-আমিন
আ’লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ সাব কমিটির সম্মেলন
বিশ্বে শরণার্থী ৭০ মিলিয়ন
পিডব্লিউসির বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা টিআইবির
সংরক্ষণাগার না থাকায় বিপাকে চাষিরা
জাতিসংঘ মহাসচিবের পদত্যাগ দাবি

বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০১৯ , ৫ আষাঢ় ১৪২৫, ১৫ শাওয়াল ১৪৪০

আজও সাকিবে ভর করে অজিদের হারাতে চায় টাইগাররা

বিশেষ প্রতিনিধি

image

চলতি আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে বেশ সমীহ জাগানিয়া নৈপুণ্য দেখিয়ে চলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বিশ্ব ক্রিকেটের কুলীন দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করা গেছে দাপটের সঙ্গে। ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের মুখোমুখি হলেও ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শাই হোপের মত তারকা ক্রিকেটার সমৃদ্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান দলকে বিধ্বস্ত করে আত্মবিশ্বাসের পারদ এখন অনেক চড়া টাইগার বাহিনীর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সম্ভাব্য জয়টা বৃষ্টিতে ভেসে না গেলে পয়েন্ট টেবিলে বেশ ভালো অবস্থানেই হয়ত থাকত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। পাঁচ খেলায় বাংলাদেশ দলের পয়েন্ট এখন পাঁচ। আজ বাংলাদেশ দল নটিংহামে খেলবে এবারের আসরে ধারাবাহিকতার প্রতিমূর্তি অ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। লড়াইটা মোটেও সহজ হবে না।

কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বের কুলীন দলগুলোকে পরাজিত করতে পারাটা অভ্যাসে পরিণত করা টাইগাররা নিজেদের দিনে যেকোন প্রতিপক্ষকেই জন্য এখন হেসে খেলে উড়িয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। বিশেষ করে ফর্মের বিবেচনায় বিশ্বসেরা টাইগার অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান একাই দলকে জয় এনে দেয়ার মত নৈপুণ্য প্রদর্শনে সক্ষম। অবশ্য দলগত খেলা ক্রিকেটে সাফল্য পেতে সাকিবের চাই টিমমেটদের কাছ থেকে যোগ্য সহায়তা।

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের আগে দলের ফটোসেশনে অনুপস্থিত থাকায় সাকিবকে নিয়ে পানি কম ঘোলা হয়নি। সব সমালোচনার জবাব তিনি দিয়েছেন মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করা ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের জন্য তিনি উপহার দেন ৭৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস। বল হাতে ওপেনার অ্যান্ডি মার্করামকে হাত খোলার আগেই সাজঘরের পথ দেখান। অল রাউন্ড নৈপুণ্যের মধ্য দিয়ে হন ম্যাচসেরা খেলোয়াড়। নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজিত হওয়া ম্যাচেও স্বমহিমায় উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। দলের সব ব্যাটসম্যান যেখানে বিশের কোটায় রানে আউট হয়েছেন, সেখানে সাকিবের রান ৬৪। বোলিংয়ে প্রাপিত দুটো উইকেট। ইংল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ দল হারলেও যথারীতি সাকিবের নৈপুণ্যে ঘাটতি ছিলো না। একপ্রান্তে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলের বিপরীতে দাঁড়িয়ে খেলা তার ১২১ রানের ইনিংসটা যেকোন বিচারে সেরা। বলে রাখা ভালো, অতীতে যখনই কোন ধরনের সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাকিব, ততই তার মাঠের খেলা হয়েছে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর। এবারও তার ব্যতিক্রম কিছু হচ্ছে না।

সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাওয়া জয়ে সাকিবের অপরাজিত ১২৪ রানের ইনিংস এবং ক্যারিবিয়ান ইনিংসে প্রয়োজনের মুহূর্তে দুই হার্ড হিটার এভিন লুইস ও নিকোলাস পুরাণকে ফেরানোর কৃতিত্ব তারই। সব মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পাওয়া সাফল্যের সিংহভাগ জুড়েই আছে সাকিবের নাম। আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় নিয়ে সেমি-ফাইনালে পথ পরিস্কার করে রাখতে বাংলাদেশ দল সাকিবের কাছ থেকে এরকম নৈপুণ্যই প্রত্যাশা করবে। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ দলের মূল সমস্যা হচ্ছে তামিমকে নিয়ে। দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এই সৈনিক কোনমতেই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না। তার পার্টনার সৌম্য হাত খুলেও মূলত চাপের কারণে স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারছেন বলে মনে হয় না। মুশফিক এবং মাহমুদুল্লার ব্যাটও সেভাবে কথা বলছে না। ব্যর্থতার প্রতিমূর্তি হয়ে থাকা মোহাম্মদ মিথুনকে সরিয়ে লিটন কুমার দাসকে দলে রাখার সুফল হাতেনাতেই বাংলাদেশ দল পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ঝড়ো গতিতে ৬৯ বলে তোলা লিটনের ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংসটা না হলে সাকিবের পক্ষে একা ম্যাচ জেতানো কঠিন ছিল।

বোলিংয়ের বিষয়ে বলে কোন লাভ নেই। এবারের আসরে ব্যাটিং সহায়ক পিচ বোলারদের বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। অধিনায়ক মাশরাফির নেতৃত্বে সাইফুদ্দিন- মুস্তাফিজ খারাপ করছেন না। স্পিন ডিপার্টমেন্টে সাকিবের সঙ্গে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন মেহেদি মিরাজ।

অন্যদিকে বরাবরের মতোই অপ্রতিরোধ্য অস্ট্রেলিয়ান দল। ভারতের কাছে পরাজয়টা বাদ দিলে চার ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে অজিরা জানান দিয়েছে যে, কাপটা তাদের চাই। টানা জয়ের পরও ক্যাঙারুদের সহকারী কোচ ব্র্যাড হ্যাডিন বলছেন এখনো নাকি যুতসই একাদশই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অস্ট্রেলিয়ানরা যে কাউকে ছেড়ে কথা বলে না, তা আর নতুন কি? তারাও মাঠে নামবে ‘বিনা যুদ্ধে সূচ্যাগ্র মেদিনি’ না দেয়ার পণ করে। কাজেই লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। কেননা নিউজিল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ দলের তরী ডুবেছে একেবারে তীরে গিয়ে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যোগ্য সঙ্গী পেলে সাকিব হয়ত আরও একটা জয় এনে দিতে পারতেন। উপমহাদেশীয় স্পিনে অস্ট্রেলিয়ানদের দুর্বলতা কারও অজানা নয়। বাংলাদেশের থিংক ট্যাংক সেভাবেই মন্ত্র দিচ্ছেন খেলোয়াড়দের।

তবে দুই দলের রণ হুঙ্কারে বৃষ্টির শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। আবার আইসিসির কোন টুর্নামেন্টে অতীতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হলেই সেদিন বৃষ্টি হয়েছে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ব্রিজবেনের ম্যাচটিতে টসই হয়নি বৃষ্টির কারণে। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় অবশ্য বেঁচে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। হারের মুখে থাকা টাইগাররা পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে পাওয়া একটা পয়েন্ট নিয়ে খেলেছিল সেমিতে। আবহাওয়া দফতর নটিংহ্যামের আজকের আকাশে মেঘের ঘনঘটা থাকলেও সেরকম টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে না। তবে ম্যাচ চলাকালে শতকরা ত্রিশ ভাগ বৃষ্টির শঙ্কার বিষয়ে জানান দিয়েছে। যদি ম্যাচ চলাকালে মুষলধারে বৃষ্টি হয়, তাহলে একটা পয়েন্ট যোগ হবে বাংলাদেশের। বিষয়টা হয়ত ‘মন্দ’ হবে না। তবে টাইগারদের আত্মবিশ্বাসের পারদ এতটাই চড়া যে, তারা সব নেতিবাচক চিন্তা পেছনে ফেলে জিতে দেখাতে চায় বিশ্বকে।