তিন স্থানে দুদকের অভিযান

চার ডিসিকে চিঠি

পুরনো ঢাকার বংশালের শহীদ বুদ্ধিজীবী খালেক সর্দার পার্কের অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। রক্ষণাবেক্ষণের লোক নিয়োগ না দেয়ায় সংস্কারের এক মাসের মাথায় পার্কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এরূপ অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম গতকাল অভিযান পরিচালনা করে। এদিকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষকের ঘুষ দাবির অভিযোগ, পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও ঘুষ দাবির অভিযোগ, বিআরটিএ অফিসের বিরুদ্ধে সেবা প্রদানে অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ এবং ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কুমিল্লা, মাগুড়া, মানিকগঞ্জ ও পিরোজপুরের জেলা প্রশাসককে পত্র প্রদান করেছে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।

দুদক সূত্র জানায় অভিযানকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উক্ত অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করে দুদক টিম। পরবর্তীতে ডিএসসিসি ও দুদকের সমন্বিত টিম সরেজমিনে পার্কটি পরিদর্শন করেন। দুদক টিম জানতে পারে, পর্যাপ্ত সংখ্যক রক্ষণাবেক্ষণের জনবল না থাকায় স্থানীয় লোকজন কর্তৃক পার্কে যত্রতত্রভাবে প্রবেশ এবং ব্যবহারের ফলে পার্কটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থার উত্তরণে অবিলম্বে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লোক নিয়োগের সুপারিশ প্রদান করে দুদক টিম।

এদিকে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার কামদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কর্তৃক অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, দিনাজপুর-এর সহকারী পরিচালক আহসানুল কবির পলাশের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। দুদক টিম বিদ্যালয়ের আর্থিক নথিসমূহ যাচাই করে প্রাথমিকভাবে জানতে পারে, উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ আলী এবং প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম রিজার্ভ ফান্ডের ১ লাখ ২৭ হাজার ২৫০ টাকা অবৈধভাবে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেছেন। এ সংক্রান্ত তথ্যাবলি সংগ্রহপূর্বক এ অনিয়মের বিষয়ে টিম কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এদিকে যশোর জেলা কারাগারে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাতের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে টিম জানতে পারে, উক্ত কারাগারে কোন স্থায়ী ডাক্তার নেই। কারাগারে কর্মরত সরকারি ফার্মাসিস্ট হাজতিদের মেডিকেল বোর্ডের ট্রান্সফার নিয়ন্ত্রণ করেন। সিভিল সার্জন অফিসের একজন ডাক্তার মাঝেমধ্যে কারাগারে আসলেও মেডিকেল ওয়ার্ডে বদলির প্রত্যয়নপত্রে কোন ডাক্তারের স্বাক্ষর পায়নি দুদক টিম। ফলে এক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের সুযোগ রয়েছে মর্মে দুদক টিম অভিমত ব্যক্ত করে। টিম এ অব্যবস্থাপনার বিষয়ে কারাগারের জেলারকে অবহিত করলে তিনি অবিলম্বে উক্ত হাসপাতালে নিয়মিত ডাক্তার পদায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন মর্মে দুদক টিমকে আশ^স্ত করেন।

শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯ , ৭ আষাঢ় ১৪২৫, ১৭ শাওয়াল ১৪৪০

অনিয়ম দুর্নীতি

তিন স্থানে দুদকের অভিযান

চার ডিসিকে চিঠি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

পুরনো ঢাকার বংশালের শহীদ বুদ্ধিজীবী খালেক সর্দার পার্কের অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। রক্ষণাবেক্ষণের লোক নিয়োগ না দেয়ায় সংস্কারের এক মাসের মাথায় পার্কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এরূপ অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম গতকাল অভিযান পরিচালনা করে। এদিকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষকের ঘুষ দাবির অভিযোগ, পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও ঘুষ দাবির অভিযোগ, বিআরটিএ অফিসের বিরুদ্ধে সেবা প্রদানে অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ এবং ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কুমিল্লা, মাগুড়া, মানিকগঞ্জ ও পিরোজপুরের জেলা প্রশাসককে পত্র প্রদান করেছে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।

দুদক সূত্র জানায় অভিযানকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উক্ত অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করে দুদক টিম। পরবর্তীতে ডিএসসিসি ও দুদকের সমন্বিত টিম সরেজমিনে পার্কটি পরিদর্শন করেন। দুদক টিম জানতে পারে, পর্যাপ্ত সংখ্যক রক্ষণাবেক্ষণের জনবল না থাকায় স্থানীয় লোকজন কর্তৃক পার্কে যত্রতত্রভাবে প্রবেশ এবং ব্যবহারের ফলে পার্কটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থার উত্তরণে অবিলম্বে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লোক নিয়োগের সুপারিশ প্রদান করে দুদক টিম।

এদিকে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার কামদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কর্তৃক অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, দিনাজপুর-এর সহকারী পরিচালক আহসানুল কবির পলাশের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। দুদক টিম বিদ্যালয়ের আর্থিক নথিসমূহ যাচাই করে প্রাথমিকভাবে জানতে পারে, উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ আলী এবং প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সেলিম রিজার্ভ ফান্ডের ১ লাখ ২৭ হাজার ২৫০ টাকা অবৈধভাবে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেছেন। এ সংক্রান্ত তথ্যাবলি সংগ্রহপূর্বক এ অনিয়মের বিষয়ে টিম কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এদিকে যশোর জেলা কারাগারে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাতের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে টিম জানতে পারে, উক্ত কারাগারে কোন স্থায়ী ডাক্তার নেই। কারাগারে কর্মরত সরকারি ফার্মাসিস্ট হাজতিদের মেডিকেল বোর্ডের ট্রান্সফার নিয়ন্ত্রণ করেন। সিভিল সার্জন অফিসের একজন ডাক্তার মাঝেমধ্যে কারাগারে আসলেও মেডিকেল ওয়ার্ডে বদলির প্রত্যয়নপত্রে কোন ডাক্তারের স্বাক্ষর পায়নি দুদক টিম। ফলে এক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের সুযোগ রয়েছে মর্মে দুদক টিম অভিমত ব্যক্ত করে। টিম এ অব্যবস্থাপনার বিষয়ে কারাগারের জেলারকে অবহিত করলে তিনি অবিলম্বে উক্ত হাসপাতালে নিয়মিত ডাক্তার পদায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন মর্মে দুদক টিমকে আশ^স্ত করেন।