ডিআইজি মিজানের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদ আদালতে ডিআইজি মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, অসাধু উপায়ে অর্জিত সম্পদ বা সম্পত্তির বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এর আগে ঘুষগ্রহণ ও তথ্য পাচারের অভিযোগে আগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে গত ১২ জুন পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানে দায়িত্ব দেয়া হয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদকে। প্রসঙ্গত, ‘তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার!’ ‘এক সংবাদপাঠিকার জীবনও বিষিয়ে তুলেছেন ডিআইজি মিজান’ শিরোনামে গণমাধ্যমে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। পরে দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে। এরপর নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে এই ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। এদিকে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯ , ৭ আষাঢ় ১৪২৫, ১৭ শাওয়াল ১৪৪০

ডিআইজি মিজানের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

আদালত বার্তা পরিবেশক

পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদ আদালতে ডিআইজি মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, অসাধু উপায়ে অর্জিত সম্পদ বা সম্পত্তির বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এর আগে ঘুষগ্রহণ ও তথ্য পাচারের অভিযোগে আগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে গত ১২ জুন পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানে দায়িত্ব দেয়া হয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদকে। প্রসঙ্গত, ‘তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার!’ ‘এক সংবাদপাঠিকার জীবনও বিষিয়ে তুলেছেন ডিআইজি মিজান’ শিরোনামে গণমাধ্যমে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। পরে দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে। এরপর নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে এই ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। এদিকে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।