নবীন প্রবীণ সবাই পদ প্রত্যাশী

মেয়াদোত্তীর্ণ শাখা কমিটিগুলোকে দ্রুত সম্মেলন করার নির্দেশ

আগামী অক্টোবরে ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করছে আওয়ামী লীগ। নবীন-প্রবীণ দুই সারির নেতাই এবার কেন্দ্রীয় কমিটির সক্রিয় পদ পাওয়ার প্রতিযোগিতায় রয়েছেন। তবে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন, এরপর নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠনে নতুনের জয়ধ্বনিÑ আসন্ন সম্মেলন নিয়ে নবীনদের যেমন আশা জাগিয়েছে, তেমনি প্রবীণদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

দেশের সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হয় তিন বছর পর পর। প্রায় ৭০ বছর আগে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত এ দলটির জাতীয় সম্মেলন হয়েছে ২০টি। ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা অষ্টমবারের মতো পুনর্নির্বাচিত হন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পরিবর্তে নতুন মুখ এসেছিলেন ওবায়দুল কাদের। শেখ হাসিনার বিকল্প না থাকায় এবারও সভাপতি পদে পরিবর্তন আসছে নাÑ এটা নিশ্চিত। তবে অন্য পদগুলোয় পরিবর্তনের আশা নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান শক্তিশালী করার দৌড়ে রয়েছেন জ্যেষ্ঠ ও নবীনÑ উভয় সারির নেতারা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাত দশক আগে জন্ম নেয়া সংগঠন আওয়ামী লীগে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের পর ক্ষমতার পালাবদলে সময়ের প্রয়োজনে ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। বর্তমানে টানা তৃতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা দলটির শক্তি বেড়েছেÑ দৃশ্যত এমনটি মনে হলেও ক্ষমতা ও পদ-পদবির জন্য দলটিতে অদৃশ্য দুটি ভাগ সৃষ্টি হয়েছে। এই ভাগ নবীন-প্রবীণের প্রতিযোগিতা। নতুনরা এখন আধুনিক নেতৃত্বের মাধ্যমে দলকে এগিয়ে নিতে চাইছেন। তবে প্রবীণরাও হাল ছেড়ে বসে নেই। তারাও অভিজ্ঞতার মারপ্যাঁচে নিজেদের অবস্থান বজায় রাখতে কিংবা পুনরুদ্ধার করতে একজোট হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়া এ দলটিতে এক সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিকল্প ছিল না। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে পরিবারে হত্যার প্রায় ছয় বছর পর ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সভাপতি হিসেবে এলোমেলো এই দলের হাল ধরেন। চার দশকের টানা নেতৃত্বে শেখ হাসিনা দলকে এই দেশের রাজনীতিতে পুনরায় সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। এ দীর্ঘ সময়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শেখ হাসিনা নিজ দলকে চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এনেছেন, নিজেও চারবার সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন। এখন দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী শেখ হাসিনার নির্দেশ, ঘোষণা বা সিদ্ধান্ত বিনাবাক্যে মেনে নেন। শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগের অবিসংবাদিত নেতা। শেখ হাসিনা এক জীবন্ত ইতিহাস।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত ২৯ মার্চ গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের সভাপতিম-লীর বৈঠকে আগামী অক্টোবরে দলের জাতীয় সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হৃদরোগে আক্রান্ত অবস্থায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের উপদেষ্টাম-লী, সভাপতিম-লী ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সমন্বয়ে জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে আটটি টিম গঠন কর হয়। এই টিমগুলো দেশব্যাপী জেলা সফরের মাধ্যমে সাংগঠনিক বিভাগের কর্মকা- পর্যবেক্ষণ ও গতিশীল করার কাজ করছে। এর পাশাপাশি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে সারাদেশের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করার কাজ করছে এ কমিটি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে দলের হাল ধরেছেন। ২১তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার বক্তব্যে তিনি জাতীয় সম্মেলনের আগেই দল ও এর সহযোগী সংগঠনের জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, ওয়ার্ড, ইউনিটসহ মেয়াদোত্তীর্ণ সব শাখাকে নিজ নিজ সম্মেলন দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, কমিটি করতে গিয়ে নিজের পছন্দের লোক খুঁজবেন না, দলের লোক খুঁজবেন।সবাই আওয়ামী লীগের, সবাই শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবেন।

জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তিনটি বিষয় জানতে চেয়ে গত শুক্রবার থেকে তৃণমূলে চিঠি পাঠানো শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। বর্তমান কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ কি না; হয়ে থাকলে কবে নাগাদ সম্মেলন হবে, এর বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের ওই চিঠিতে।

মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির ক্ষেত্রে জাতীয় সম্মেলনের আগেই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করে তালিকা কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে চিঠিতে। এছাড়া সদস্য সংগ্রহের সর্বশেষ প্রতিবেদন এবং দলীয় কার্যালয়, কম্পিউটার, ইন্টারনেট আছে কি না, থাকলে এর ঠিকানা ও হালনাগাদ কার্যক্রমের প্রতিবেদন পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। ফিরতি চিঠির মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে এক সপ্তাহের সময় দেয়া হয়েছে।

২১তম জাতীয় সম্মেলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত নতুন নেতৃত্বর অধীনই জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হবে। এর পাশপাশি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পথ চলা ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিও এই কমিটি নেবে। সম্মেলনে নতুনরা প্রধান্য পাবেন কি না, এ বিষয়ে একেকজন একেক মত দিয়েছেন।

সম্পাদকম-লীর এক সদস্য বলেন, নতুন মন্ত্রিপরিষদের মতো সম্মেলনেও নতুনের জয়গান হবে। প্রবীণদের একে একে উপদেষ্টা পরিষদে স্থানান্তর করে সক্রিয় পদগুলোয় নবীনদের জায়গা দেয়া হবে। তবে কেন্দ্রীয় আরেক এক নেতার মতে, দল ও সরকারের নজর এখন উন্নয়নের দিকে। এ সময় কমিটিতে বিশেষ কোন পরিবর্তন আসবে না বলেই তিনি মনে করেন।

সোমবার, ২৪ জুন ২০১৯ , ১০ আষাঢ় ১৪২৫, ২০ শাওয়াল ১৪৪০

সম্মেলনের প্রস্তুতি আ’লীগের

নবীন প্রবীণ সবাই পদ প্রত্যাশী

মেয়াদোত্তীর্ণ শাখা কমিটিগুলোকে দ্রুত সম্মেলন করার নির্দেশ

ফয়েজ আহমেদ তুষার

আগামী অক্টোবরে ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করছে আওয়ামী লীগ। নবীন-প্রবীণ দুই সারির নেতাই এবার কেন্দ্রীয় কমিটির সক্রিয় পদ পাওয়ার প্রতিযোগিতায় রয়েছেন। তবে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন, এরপর নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠনে নতুনের জয়ধ্বনিÑ আসন্ন সম্মেলন নিয়ে নবীনদের যেমন আশা জাগিয়েছে, তেমনি প্রবীণদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

দেশের সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হয় তিন বছর পর পর। প্রায় ৭০ বছর আগে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত এ দলটির জাতীয় সম্মেলন হয়েছে ২০টি। ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা অষ্টমবারের মতো পুনর্নির্বাচিত হন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পরিবর্তে নতুন মুখ এসেছিলেন ওবায়দুল কাদের। শেখ হাসিনার বিকল্প না থাকায় এবারও সভাপতি পদে পরিবর্তন আসছে নাÑ এটা নিশ্চিত। তবে অন্য পদগুলোয় পরিবর্তনের আশা নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান শক্তিশালী করার দৌড়ে রয়েছেন জ্যেষ্ঠ ও নবীনÑ উভয় সারির নেতারা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাত দশক আগে জন্ম নেয়া সংগঠন আওয়ামী লীগে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের পর ক্ষমতার পালাবদলে সময়ের প্রয়োজনে ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। বর্তমানে টানা তৃতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা দলটির শক্তি বেড়েছেÑ দৃশ্যত এমনটি মনে হলেও ক্ষমতা ও পদ-পদবির জন্য দলটিতে অদৃশ্য দুটি ভাগ সৃষ্টি হয়েছে। এই ভাগ নবীন-প্রবীণের প্রতিযোগিতা। নতুনরা এখন আধুনিক নেতৃত্বের মাধ্যমে দলকে এগিয়ে নিতে চাইছেন। তবে প্রবীণরাও হাল ছেড়ে বসে নেই। তারাও অভিজ্ঞতার মারপ্যাঁচে নিজেদের অবস্থান বজায় রাখতে কিংবা পুনরুদ্ধার করতে একজোট হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়া এ দলটিতে এক সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিকল্প ছিল না। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে পরিবারে হত্যার প্রায় ছয় বছর পর ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সভাপতি হিসেবে এলোমেলো এই দলের হাল ধরেন। চার দশকের টানা নেতৃত্বে শেখ হাসিনা দলকে এই দেশের রাজনীতিতে পুনরায় সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। এ দীর্ঘ সময়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শেখ হাসিনা নিজ দলকে চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এনেছেন, নিজেও চারবার সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন। এখন দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী শেখ হাসিনার নির্দেশ, ঘোষণা বা সিদ্ধান্ত বিনাবাক্যে মেনে নেন। শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগের অবিসংবাদিত নেতা। শেখ হাসিনা এক জীবন্ত ইতিহাস।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত ২৯ মার্চ গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের সভাপতিম-লীর বৈঠকে আগামী অক্টোবরে দলের জাতীয় সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হৃদরোগে আক্রান্ত অবস্থায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের উপদেষ্টাম-লী, সভাপতিম-লী ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সমন্বয়ে জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে আটটি টিম গঠন কর হয়। এই টিমগুলো দেশব্যাপী জেলা সফরের মাধ্যমে সাংগঠনিক বিভাগের কর্মকা- পর্যবেক্ষণ ও গতিশীল করার কাজ করছে। এর পাশাপাশি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে সারাদেশের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করার কাজ করছে এ কমিটি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে দলের হাল ধরেছেন। ২১তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার বক্তব্যে তিনি জাতীয় সম্মেলনের আগেই দল ও এর সহযোগী সংগঠনের জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, ওয়ার্ড, ইউনিটসহ মেয়াদোত্তীর্ণ সব শাখাকে নিজ নিজ সম্মেলন দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, কমিটি করতে গিয়ে নিজের পছন্দের লোক খুঁজবেন না, দলের লোক খুঁজবেন।সবাই আওয়ামী লীগের, সবাই শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবেন।

জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তিনটি বিষয় জানতে চেয়ে গত শুক্রবার থেকে তৃণমূলে চিঠি পাঠানো শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। বর্তমান কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ কি না; হয়ে থাকলে কবে নাগাদ সম্মেলন হবে, এর বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের ওই চিঠিতে।

মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির ক্ষেত্রে জাতীয় সম্মেলনের আগেই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করে তালিকা কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে চিঠিতে। এছাড়া সদস্য সংগ্রহের সর্বশেষ প্রতিবেদন এবং দলীয় কার্যালয়, কম্পিউটার, ইন্টারনেট আছে কি না, থাকলে এর ঠিকানা ও হালনাগাদ কার্যক্রমের প্রতিবেদন পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। ফিরতি চিঠির মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে এক সপ্তাহের সময় দেয়া হয়েছে।

২১তম জাতীয় সম্মেলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত নতুন নেতৃত্বর অধীনই জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হবে। এর পাশপাশি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পথ চলা ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিও এই কমিটি নেবে। সম্মেলনে নতুনরা প্রধান্য পাবেন কি না, এ বিষয়ে একেকজন একেক মত দিয়েছেন।

সম্পাদকম-লীর এক সদস্য বলেন, নতুন মন্ত্রিপরিষদের মতো সম্মেলনেও নতুনের জয়গান হবে। প্রবীণদের একে একে উপদেষ্টা পরিষদে স্থানান্তর করে সক্রিয় পদগুলোয় নবীনদের জায়গা দেয়া হবে। তবে কেন্দ্রীয় আরেক এক নেতার মতে, দল ও সরকারের নজর এখন উন্নয়নের দিকে। এ সময় কমিটিতে বিশেষ কোন পরিবর্তন আসবে না বলেই তিনি মনে করেন।