ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আমরা সবাই নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করলে ভূমিসেবা প্রদানে আর সমস্যা থাকবে না। গতকাল ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর সম্মেলনকক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিতে দেওয়ানি মামলার রায়ের ভিত্তিতে রেকর্ড সংশোধনসহ সরকারি সম্পত্তি সুষ্ঠুভাবে রক্ষণাবেক্ষণ’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ভূমিসচিব মো. মাক?ছুদুর রহমান পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইন) আনিস মাহমুদ। আলোচনায় অংশ নেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুল হান্নান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান উম্মুল হাছনা, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. তসলীমুল ইসলাম।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, সরকারি সম্পত্তি ভুলভাবে রেকর্ড হলে তা রক্ষা করতে হবে, অন্যদিকে ব্যক্তি-জমি খাস হিসেবে রেকর্ড হয়ে গেলে মানুষ যেন ভোগান্তিতে না পরে তাতেও লক্ষ্য রাখতে হবে। কারও পৈত্রিক সম্পত্তি সিএস ও আরএস রেকর্ডে থাকার পরেও যদি হাল জরিপে ভুলভাবে সরকারি তালিকাভুক্ত হয় তাহলে তা স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে যেন শুরুতেই আদালতে যেতে না হয়। মন্ত্রী বলেন, স্থানীয়ভাবে যেন রেকর্ড মামলা নিষ্পত্তি করা যায় সে জন্য জেলা প্রশাসক, জিপি (সরকারি কৌঁসুলি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। উক্ত কমিটি প্রতিকারপ্রার্থীর বক্তব্য শুনে অভিযোগ নিষ্পত্তি করবে। বর্ণিত কমিটির আপিল কর্তৃপক্ষ হবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার।

ভূমিসচিব মো. মাক?ছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, ভুলের কারণে অন্যের নামে তালিকাভুক্ত হওয়া সম্পত্তি বিদ্যমান আইনের আওতায় মূল মালিক কিংবা উত্তরাধিকারীকে ফিরিয়ে দিতে হবে। ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুল হান্নান বলেন, আধুনিক সার্ভে সিস্টেমে স্থানীয় পর্যায়ে ভুল হবার সুযোগ অনেক কম। মূল প্রবন্ধে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইন) আনিস মাহমুদ মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যৌক্তিকতাসহ নামজারির কেস রেকর্ড প্রেরণ, সরকারি জমির ক্ষেত্রে তামাদি শব্দটি প্রযোজ্য না করাসহ নয়টি সুপারিশ করেন।