বাংলাদেশে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন হয়েছে

মার্কিন রাষ্ট্রদূত

মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন হয়েছে। যা দৃশ্যমান। প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে এবং এ উন্নয়ন টেকসই উন্নয়নের দিকে এগুচ্ছে। মার্কিন সরকার বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত তার দু’দিনব্যাপী উত্তরাঞ্চলের বগুড়া, রংপুর, লালমনিরহাট সফর শেষে গতকাল বিকেলে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক কান্তজীর মন্দির পরিদর্শনে আসেন। মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশপথে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম ও পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম অতিথিদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাসিম ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার। এরপর অতিথিরা মন্দির চত্বরে উপস্থিত হলে দিনাজপুর রাজ দেবোত্তর এস্টেট এজেন্ট শ্রী অমলেন্দু ভৌমিকের পক্ষ থেকে অতিথিদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান এস্টেট এর সদস্য প্রেম নাথ রায়, গোপেশ চন্দ্র রায়, বিজয় কুমার মহন্ত, পরিমল চক্রবর্তী তপন, সুব্রত মজুমদার ডলার, চিত্ত ঘোষ, রঞ্জন ব্যনার্জী, ধীমান চক্রবর্তী বাসুসহ অন্য নেতারা। বিকেল ৫ টায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের নেতৃত্বাধীন চার সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদল কান্তজীর মন্দির অঙ্গনে উপস্থিত হন। রাষ্ট্রদূত টেরাকোটায় ঐতিহ্যমন্ডিত ও দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক মন্দিরের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন। এ সময় তার স্ত্রী মিসেস মিলার তার সঙ্গে ছিলেন। তারা মন্দিরের টেরাকোটার কাজ দেখে মুগ্ধ হন এবং মন্দির নির্মাণ ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হন।

রাষ্ট্রদূত এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বলেন, গত সাত মাস হলো আমার নতুন কর্মস্থল বাংলাদেশে এসেছি। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তা ঈর্ষণীয়। অর্থনীতির দিক থেকে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে এবং উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রে প্রতিবেশি অনেক দেশের তুলনায় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রেই সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি রোহিঙ্গা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ সমস্যা সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার। তাই তাদেরকেই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমরাও বলতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সার্বিক নিরাপত্তাসহ মিয়ানমার সরকার নিজ দেশে ফিরিয়ে নেবেন। তার দুই দিনের সফর শেষে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হন।

বুধবার, ২৬ জুন ২০১৯ , ১২ আষাঢ় ১৪২৫, ২২ শাওয়াল ১৪৪০

বাংলাদেশে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন হয়েছে

মার্কিন রাষ্ট্রদূত

চিত্ত ঘোষ, দিনাজপুর

মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন হয়েছে। যা দৃশ্যমান। প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে এবং এ উন্নয়ন টেকসই উন্নয়নের দিকে এগুচ্ছে। মার্কিন সরকার বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত তার দু’দিনব্যাপী উত্তরাঞ্চলের বগুড়া, রংপুর, লালমনিরহাট সফর শেষে গতকাল বিকেলে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক কান্তজীর মন্দির পরিদর্শনে আসেন। মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশপথে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম ও পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম অতিথিদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাসিম ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার। এরপর অতিথিরা মন্দির চত্বরে উপস্থিত হলে দিনাজপুর রাজ দেবোত্তর এস্টেট এজেন্ট শ্রী অমলেন্দু ভৌমিকের পক্ষ থেকে অতিথিদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান এস্টেট এর সদস্য প্রেম নাথ রায়, গোপেশ চন্দ্র রায়, বিজয় কুমার মহন্ত, পরিমল চক্রবর্তী তপন, সুব্রত মজুমদার ডলার, চিত্ত ঘোষ, রঞ্জন ব্যনার্জী, ধীমান চক্রবর্তী বাসুসহ অন্য নেতারা। বিকেল ৫ টায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের নেতৃত্বাধীন চার সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদল কান্তজীর মন্দির অঙ্গনে উপস্থিত হন। রাষ্ট্রদূত টেরাকোটায় ঐতিহ্যমন্ডিত ও দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক মন্দিরের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন। এ সময় তার স্ত্রী মিসেস মিলার তার সঙ্গে ছিলেন। তারা মন্দিরের টেরাকোটার কাজ দেখে মুগ্ধ হন এবং মন্দির নির্মাণ ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হন।

রাষ্ট্রদূত এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বলেন, গত সাত মাস হলো আমার নতুন কর্মস্থল বাংলাদেশে এসেছি। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তা ঈর্ষণীয়। অর্থনীতির দিক থেকে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে এবং উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রে প্রতিবেশি অনেক দেশের তুলনায় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রেই সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি রোহিঙ্গা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ সমস্যা সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার। তাই তাদেরকেই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমরাও বলতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সার্বিক নিরাপত্তাসহ মিয়ানমার সরকার নিজ দেশে ফিরিয়ে নেবেন। তার দুই দিনের সফর শেষে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হন।