জন্ম : ৩ মে, ১৯২৯, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ
মৃত্যু : ২৬ জুন, ১৯৯৪, মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র
শহীদ জননী জাহানারা ইমাম একজন কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী। তার ডাক নাম জুড়ু। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে জাহানারা ইমামের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা রুমী শহীদ হন।
তার নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তীতে তাকে আহ্বায়ক করে ১৯৯২ সালে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ গঠিত হয়। এই কমিটি ১৯৯২ সালে ২৬ মার্চ ‘গণআদালত’-এর মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাত্তরের নরঘাতক গোলাম আযমের ঐতিহাসিক বিচার অনুষ্ঠান করে। বিচারে গোলাম আযমের ১০টি অপরাধ মৃত্যুদ-যোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়।
গণআদালত অনুষ্ঠিত হবার পর তৎকালীন বিএনপি সরকার ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ জাহানারা ইমামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে অ-জামিনযোগ্য মামলা দায়ের করে।
আশির দশকের শুরুতে, ১৯৮২ সালে তিনি মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এই ক্যানসারেই মুক্তিযুদ্ধের আটজন সেক্টর কমান্ডার শহীদ জননীকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। বিভিন্ন মহল থেকে শহীদ জননীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করার দাবি উত্থাপিত হলেও তা কার্যকর হয়নি।
একাত্তরের দিনগুলি তার বিখ্যাত গ্রন্থ। সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি ১৯৯১ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
ইন্টারনেট
বুধবার, ২৬ জুন ২০১৯ , ১২ আষাঢ় ১৪২৫, ২২ শাওয়াল ১৪৪০
জন্ম : ৩ মে, ১৯২৯, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ
মৃত্যু : ২৬ জুন, ১৯৯৪, মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র
শহীদ জননী জাহানারা ইমাম একজন কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী। তার ডাক নাম জুড়ু। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে জাহানারা ইমামের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা রুমী শহীদ হন।
তার নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তীতে তাকে আহ্বায়ক করে ১৯৯২ সালে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ গঠিত হয়। এই কমিটি ১৯৯২ সালে ২৬ মার্চ ‘গণআদালত’-এর মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাত্তরের নরঘাতক গোলাম আযমের ঐতিহাসিক বিচার অনুষ্ঠান করে। বিচারে গোলাম আযমের ১০টি অপরাধ মৃত্যুদ-যোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়।
গণআদালত অনুষ্ঠিত হবার পর তৎকালীন বিএনপি সরকার ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ জাহানারা ইমামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে অ-জামিনযোগ্য মামলা দায়ের করে।
আশির দশকের শুরুতে, ১৯৮২ সালে তিনি মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এই ক্যানসারেই মুক্তিযুদ্ধের আটজন সেক্টর কমান্ডার শহীদ জননীকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। বিভিন্ন মহল থেকে শহীদ জননীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করার দাবি উত্থাপিত হলেও তা কার্যকর হয়নি।
একাত্তরের দিনগুলি তার বিখ্যাত গ্রন্থ। সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি ১৯৯১ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
ইন্টারনেট