প্রশাসনিক কাজ দ্রুত করার তাগিদ পরিকল্পনামন্ত্রীর

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, কিছু নথিপত্র খুব দ্রুত পান। তবে তাতে তিনি কিছু মনে না করেই সই করেন। এয়ারপোর্ট কিংবা স্টেশনে থাকলেও। অথচ গ্রামের রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রিজ, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা নির্মাণের নথিগুলো তার কাছে অনেক ঘুরে দেরিতে পৌঁছায় বলে জানান। গতকাল শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ‘কার্যক্রম বিভাগে একটি নতুন ডিজিটাল ডাটাবেজ সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে উন্নয়ন বাজেট ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের ওপর আয়োজিত এক কর্মশালায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমি স্টেশনে গেলেও ফাইল পাই, এয়রপোর্টে গেলেও ফাইল পাই। আমি এতে কিছু মনে করি না। আমার কাছে ওই ফাইলগুলো যায়, অন্য ফাইলগুলো যায় না। সেই ফাইলগুলো কেমন যেন শনিবার, শুক্রবার, এয়ারপোর্ট, স্টেশন, বিল হয়ে ঘুরে আসে। কিন্তু আমি চাইব, অন্যান্য যেমন- কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, মাদরাসার ফাইলগুলোও যেন দ্রুত আসে। এতে আপনি পূণ্য পাবেন, আমি আনন্দ পাব। আপনারা আমার কাছে যেকোনো সময় ফাইল নিয়ে আসতে পারেন। এমনকি আমি ওয়াশরুমে থাকলেও। আমি স্বাক্ষর করব। কিন্তু জনগণের উপকার যেন হয়। এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দিন দিন একটা সম্পূর্ণ নতুন জগৎ আসছে। এটা বাংলাদেশে পরে আসবে। কারণ, আমরা বিজ্ঞানমনস্ক জাতি নই। অভিজ্ঞও নই। আমরা বিজ্ঞানকে সমীহ করি, কিন্তু বন্ধু ভাবি না। এটা আমাদের চরিত্রের মধ্যে বৈপরীত্য।

তিনি আরো বলেন, আমরা সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে আগ্রহী হলেও সেগুলো কীভাবে তৈরি হয়, সেটা সম্পর্কে আগ্রহী নই। আমরা টাকা দেব, আনব। ওইসব যন্ত্রের ব্যাপারে নিজেরা খোলসা করছি না। ভালোবাসাও নেই। কিন্তু ব্যবহার করি। অথচ প্রযুক্তি খাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে সরকার, কিন্তু ছুঁই ছুঁই করে ধরছি না। এসব কারণে সারাবিশ্ব থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকবে বলেও মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তবে নতুনরা এই খোলস থেকে বেরিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রকল্প পরিচালক মো. ছায়েদুজ্জামান, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিন, কার্যক্রম বিভাগের প্রধান মো. খলিলুর রহমান খান প্রমুখ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৫, ২৬ শাওয়াল ১৪৪০

প্রশাসনিক কাজ দ্রুত করার তাগিদ পরিকল্পনামন্ত্রীর

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, কিছু নথিপত্র খুব দ্রুত পান। তবে তাতে তিনি কিছু মনে না করেই সই করেন। এয়ারপোর্ট কিংবা স্টেশনে থাকলেও। অথচ গ্রামের রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রিজ, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা নির্মাণের নথিগুলো তার কাছে অনেক ঘুরে দেরিতে পৌঁছায় বলে জানান। গতকাল শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ‘কার্যক্রম বিভাগে একটি নতুন ডিজিটাল ডাটাবেজ সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে উন্নয়ন বাজেট ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের ওপর আয়োজিত এক কর্মশালায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমি স্টেশনে গেলেও ফাইল পাই, এয়রপোর্টে গেলেও ফাইল পাই। আমি এতে কিছু মনে করি না। আমার কাছে ওই ফাইলগুলো যায়, অন্য ফাইলগুলো যায় না। সেই ফাইলগুলো কেমন যেন শনিবার, শুক্রবার, এয়ারপোর্ট, স্টেশন, বিল হয়ে ঘুরে আসে। কিন্তু আমি চাইব, অন্যান্য যেমন- কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, মাদরাসার ফাইলগুলোও যেন দ্রুত আসে। এতে আপনি পূণ্য পাবেন, আমি আনন্দ পাব। আপনারা আমার কাছে যেকোনো সময় ফাইল নিয়ে আসতে পারেন। এমনকি আমি ওয়াশরুমে থাকলেও। আমি স্বাক্ষর করব। কিন্তু জনগণের উপকার যেন হয়। এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দিন দিন একটা সম্পূর্ণ নতুন জগৎ আসছে। এটা বাংলাদেশে পরে আসবে। কারণ, আমরা বিজ্ঞানমনস্ক জাতি নই। অভিজ্ঞও নই। আমরা বিজ্ঞানকে সমীহ করি, কিন্তু বন্ধু ভাবি না। এটা আমাদের চরিত্রের মধ্যে বৈপরীত্য।

তিনি আরো বলেন, আমরা সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে আগ্রহী হলেও সেগুলো কীভাবে তৈরি হয়, সেটা সম্পর্কে আগ্রহী নই। আমরা টাকা দেব, আনব। ওইসব যন্ত্রের ব্যাপারে নিজেরা খোলসা করছি না। ভালোবাসাও নেই। কিন্তু ব্যবহার করি। অথচ প্রযুক্তি খাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে সরকার, কিন্তু ছুঁই ছুঁই করে ধরছি না। এসব কারণে সারাবিশ্ব থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকবে বলেও মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তবে নতুনরা এই খোলস থেকে বেরিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রকল্প পরিচালক মো. ছায়েদুজ্জামান, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিন, কার্যক্রম বিভাগের প্রধান মো. খলিলুর রহমান খান প্রমুখ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।