ছুটি শেষে আজ মাঠে ফিরছেন মাশরাফিরা

আফগানিস্তানকে হারিয়ে যে যার মতো করে চারটি দিন কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে হাতে আর তিন দিন সময় আছে তাদের। মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের জন্য মাশরাফি মুর্তজারা প্রস্তুতি শুরু করবেন আজ থেকে। তাই ছুটি কাটিয়ে শনিবার টিম হোটেলে ফিরেছেন খেলোয়াড়রা।

গত মঙ্গলবার সাউদাম্পন থেকে বাংলাদেশ দল বার্মিংহামে পৌঁছায়। অনেকে লন্ডন চলে যান। সাকিব সময় কাটান ইংল্যান্ডের বাইরে। মাশরাফি যান বার্মিংহাম থেকে বেশ দূরের একটা গ্রামে। ওখানে দুদিন সময় কাটিয়ে শুক্রবার দুপুরে ফেরেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। তামিম ইকবাল লন্ডনে তার আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে ঘুরে বেড়ান। মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ অবশ্য ভেন্যুর শহরেই সময় কাটিয়েছেন।

সবার ছুটি শেষে এখন প্রস্তুতির পালা। আগামী মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে জিততে গেলে বাংলাদেশকে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। ম্যাচের আগে বাকি দিনগুলো তাই নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নেয়া জরুরি মাশরাফিদের।

টিম হোটেলে সাকিব আল হাসানকে দেখা না গেলেও পাওয়া গেল তার বাবা-মাকে। সাকিবের বাবা খন্দকার মসরুর রেজা ও মা শিরিন আক্তার গাড়িতে করে ঘুরতে বের হলেন। ছেলের খেলা দেখতে কিছুদিন আগেই ইংল্যান্ডে এসেছেন তারা। পুরো বিশ্বকাপ শেষ করেই দেশে ফেরার ইচ্ছে তাদের। টিম হোটেলে সৌম্য-তামিম।

রোববার এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচ খেলবে ভারত। বাংলাদেশের টিম হোটেল হায়াত রিজেন্সিতেই থাকছে ভারতীয় দল। সংবাদ সম্মেলন করতে টিম হোটেল থেকে বেরিয়ে এজবাস্টনে আসেন বিরাট কোহলি। এরই মাঝে হোটেল থেকে বের হন মাশরাফি। লাল রঙয়ের জ্যাকেট পরে বাইরে দাঁড়াতেই বাংলাদেশি ও ভারতীয় সমর্থকদের খপ্পরে পড়েন তিনি। ভক্তরা মাশরাফিকে পেয়ে আনন্দে মেতে উঠলেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক তাদের সেলফির আবদারও মিটিয়েছেন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে পুরো পরিবার নিয়ে বেরিয়ে গেলেন হোটেল থেকে। আজইতো (শনিবার) সব ব্যাক্তিগত কাজ শেষ করতে হবে মাশরাফিকে। কাল থেকে সমস্ত ভাবনা ম্যাচ নিয়েই।

টানা বিশ্রামের পর মাঠের অনুশীলনে ফিরতে মরিয়া বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক হোসেনের কথায় স্পষ্ট আগামী কয়েকটা দিন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া ভিন্ন কিছু ভাবতে চান না তারা, ‘এত বড় একটা টুর্নামেন্টে বিরতি দরকার ছিল। সবাই ছুটি কাটিয়ে ফুরফুরে মেজাজে হোটেলে ফিরেছে। রোববার অনুশীলন শুরু হবে, এখন আমাদের অন্য কিছু চিন্তা করার সুযোগ নেই। আমাদের সবার মনোযোগ থাকবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে।’

সৌম্য অবশ্য কিছুটা হতাশ ছিলেন। পুরো ছুটিটাই বার্মিংহামে শপিং করে কাটিয়েছেন তিনি। তার কাছে বিরতির চেয়ে মাঠের অনুশীলনটাই জরুরি ছিল, ‘বিশ্রাম দরকার ছিল। আসলে এটা একেক খেলোয়াড়ের কাছে একেক রকম। আমার হয়ত এই মুহূর্তে অনুশীলনটাই জরুরি ছিল। কিন্তু যেহেতু বিশ্রামের পর কয়েকটা দিন সময় পাব, সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’

এজবাস্টনে ভারতের কাছে হারের দুঃসহ স্মৃতি আছে বাংলাদেশের। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এখানে ভারতের কাছে সেমিফাইনাল হেরেছিল তারা। দুই বছরের ব্যবধানে সেখানেই আবার দেখা হচ্ছে দুই দলের। ভারতকে হারিয়ে দিতে পারলেই কষ্টদায়ক স্মৃতি বদলের পাশাপাশি সেমিফাইনালের খেলার স্বপ্নটা আরও বড় হবে মাশরাফিদের। ওয়েবসাইট।

রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৫, ২৬ শাওয়াল ১৪৪০

ছুটি শেষে আজ মাঠে ফিরছেন মাশরাফিরা

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

বাংলাদেশ দলের অনুশীলন -ফাইল ছবি

আফগানিস্তানকে হারিয়ে যে যার মতো করে চারটি দিন কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে হাতে আর তিন দিন সময় আছে তাদের। মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের জন্য মাশরাফি মুর্তজারা প্রস্তুতি শুরু করবেন আজ থেকে। তাই ছুটি কাটিয়ে শনিবার টিম হোটেলে ফিরেছেন খেলোয়াড়রা।

গত মঙ্গলবার সাউদাম্পন থেকে বাংলাদেশ দল বার্মিংহামে পৌঁছায়। অনেকে লন্ডন চলে যান। সাকিব সময় কাটান ইংল্যান্ডের বাইরে। মাশরাফি যান বার্মিংহাম থেকে বেশ দূরের একটা গ্রামে। ওখানে দুদিন সময় কাটিয়ে শুক্রবার দুপুরে ফেরেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। তামিম ইকবাল লন্ডনে তার আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে ঘুরে বেড়ান। মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ অবশ্য ভেন্যুর শহরেই সময় কাটিয়েছেন।

সবার ছুটি শেষে এখন প্রস্তুতির পালা। আগামী মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে জিততে গেলে বাংলাদেশকে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। ম্যাচের আগে বাকি দিনগুলো তাই নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নেয়া জরুরি মাশরাফিদের।

টিম হোটেলে সাকিব আল হাসানকে দেখা না গেলেও পাওয়া গেল তার বাবা-মাকে। সাকিবের বাবা খন্দকার মসরুর রেজা ও মা শিরিন আক্তার গাড়িতে করে ঘুরতে বের হলেন। ছেলের খেলা দেখতে কিছুদিন আগেই ইংল্যান্ডে এসেছেন তারা। পুরো বিশ্বকাপ শেষ করেই দেশে ফেরার ইচ্ছে তাদের। টিম হোটেলে সৌম্য-তামিম।

রোববার এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচ খেলবে ভারত। বাংলাদেশের টিম হোটেল হায়াত রিজেন্সিতেই থাকছে ভারতীয় দল। সংবাদ সম্মেলন করতে টিম হোটেল থেকে বেরিয়ে এজবাস্টনে আসেন বিরাট কোহলি। এরই মাঝে হোটেল থেকে বের হন মাশরাফি। লাল রঙয়ের জ্যাকেট পরে বাইরে দাঁড়াতেই বাংলাদেশি ও ভারতীয় সমর্থকদের খপ্পরে পড়েন তিনি। ভক্তরা মাশরাফিকে পেয়ে আনন্দে মেতে উঠলেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক তাদের সেলফির আবদারও মিটিয়েছেন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে পুরো পরিবার নিয়ে বেরিয়ে গেলেন হোটেল থেকে। আজইতো (শনিবার) সব ব্যাক্তিগত কাজ শেষ করতে হবে মাশরাফিকে। কাল থেকে সমস্ত ভাবনা ম্যাচ নিয়েই।

টানা বিশ্রামের পর মাঠের অনুশীলনে ফিরতে মরিয়া বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক হোসেনের কথায় স্পষ্ট আগামী কয়েকটা দিন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া ভিন্ন কিছু ভাবতে চান না তারা, ‘এত বড় একটা টুর্নামেন্টে বিরতি দরকার ছিল। সবাই ছুটি কাটিয়ে ফুরফুরে মেজাজে হোটেলে ফিরেছে। রোববার অনুশীলন শুরু হবে, এখন আমাদের অন্য কিছু চিন্তা করার সুযোগ নেই। আমাদের সবার মনোযোগ থাকবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে।’

সৌম্য অবশ্য কিছুটা হতাশ ছিলেন। পুরো ছুটিটাই বার্মিংহামে শপিং করে কাটিয়েছেন তিনি। তার কাছে বিরতির চেয়ে মাঠের অনুশীলনটাই জরুরি ছিল, ‘বিশ্রাম দরকার ছিল। আসলে এটা একেক খেলোয়াড়ের কাছে একেক রকম। আমার হয়ত এই মুহূর্তে অনুশীলনটাই জরুরি ছিল। কিন্তু যেহেতু বিশ্রামের পর কয়েকটা দিন সময় পাব, সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’

এজবাস্টনে ভারতের কাছে হারের দুঃসহ স্মৃতি আছে বাংলাদেশের। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এখানে ভারতের কাছে সেমিফাইনাল হেরেছিল তারা। দুই বছরের ব্যবধানে সেখানেই আবার দেখা হচ্ছে দুই দলের। ভারতকে হারিয়ে দিতে পারলেই কষ্টদায়ক স্মৃতি বদলের পাশাপাশি সেমিফাইনালের খেলার স্বপ্নটা আরও বড় হবে মাশরাফিদের। ওয়েবসাইট।