সংসদে পরিবেশমন্ত্রী

সুন্দরবনের কাছে পরিবেশ দূষণকারী ৫ সিমেন্ট কারখানার ছাড়পত্র

সুন্দরবনসংলগ্ন এলকায় পরিবেশ (বায়ু) দূষণকারী ৫টি সিমেন্ট কারখানাকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দিয়েছে সরকার। সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের বাইরের চতুর্দিকে ১০ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকাকে সরকার প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করছে। ছাড়পত্র পাওয়া এই সিমেন্ট কারখানাগুলো সংকটাপন্ন এলাকার ৬ কিলোমিটারের মধ্যে। ছাড়পত্র পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, বসুন্ধরা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, মোংলা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, দুবাই-বাংলা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড এবং হোলসিম (বাংলাদেশ) লিমিটেড। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় (বাজেট) অধিবেশনে ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য লুৎফুন নেসা খান এবং সরকারি দলের সদস্য মমতাজ বেগমের পৃথক দুটি প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের লিখিত উত্তরে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। এর আগে সকালে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

ওয়ার্কার্স পার্টির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাট জেলার মোংলা বন্দর শিল্প এলাকায় পরিবেশ দূষণকারী ৫টি সিমেন্ট কারখানাকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ অধিদফতর এসব কারখানাগুলো নিয়মিত তদারকি করছে এবং কারখানাগুলো উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে যাতে করে তারা পরিবেশ দূষণ করতে না পারে। পাশাপাশি, সেখানে আরও শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেমন এলপিজি প্ল্যান্ট, কিন্তু সেগুলো পরিবেশ দূষণীয় নয়, যোগ করেন শাহাব উদ্দিন।

সরকারি দল আওয়ামী লীগের সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র সংরক্ষণের জন্য সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের বাইরের চারদিকে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। তিনি বলেন, সুন্দরবনে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় পরিবেশ দূষণকারী শিল্প কারখানা স্থাপনে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া হয় না। সুন্দরবন ইসিএ এলাকায় অবস্থিত বিদ্যমান শিল্প কারখানাগুলোর মালিক কর্তৃক পরিবেশ ও প্রতিবেশ দূষণের প্রয়োজনীয় প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, সুন্দরবনে সুন্দরী গাছের সংখ্যা কিছুটা কমতে থাকলেও গেওয়া গাছ তুলনামূলক বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৮৫ সালে সুন্দরবনের ২০ শতাংশ গাছ ছিল সুন্দরী, কিন্তু ২০১৩ সালে তা হয়েছে ১৮ শতাংশ। অপরদিকে এ সময়ে গেওয়া গাছ ৪ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৫, ২৬ শাওয়াল ১৪৪০

সংসদে পরিবেশমন্ত্রী

সুন্দরবনের কাছে পরিবেশ দূষণকারী ৫ সিমেন্ট কারখানার ছাড়পত্র

সংসদ বার্তা পরিবেশক

image

সুন্দরবনসংলগ্ন এলকায় পরিবেশ (বায়ু) দূষণকারী ৫টি সিমেন্ট কারখানাকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দিয়েছে সরকার। সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের বাইরের চতুর্দিকে ১০ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকাকে সরকার প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করছে। ছাড়পত্র পাওয়া এই সিমেন্ট কারখানাগুলো সংকটাপন্ন এলাকার ৬ কিলোমিটারের মধ্যে। ছাড়পত্র পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, বসুন্ধরা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, মোংলা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, দুবাই-বাংলা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড এবং হোলসিম (বাংলাদেশ) লিমিটেড। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় (বাজেট) অধিবেশনে ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য লুৎফুন নেসা খান এবং সরকারি দলের সদস্য মমতাজ বেগমের পৃথক দুটি প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের লিখিত উত্তরে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। এর আগে সকালে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

ওয়ার্কার্স পার্টির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাট জেলার মোংলা বন্দর শিল্প এলাকায় পরিবেশ দূষণকারী ৫টি সিমেন্ট কারখানাকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ অধিদফতর এসব কারখানাগুলো নিয়মিত তদারকি করছে এবং কারখানাগুলো উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে যাতে করে তারা পরিবেশ দূষণ করতে না পারে। পাশাপাশি, সেখানে আরও শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেমন এলপিজি প্ল্যান্ট, কিন্তু সেগুলো পরিবেশ দূষণীয় নয়, যোগ করেন শাহাব উদ্দিন।

সরকারি দল আওয়ামী লীগের সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র সংরক্ষণের জন্য সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের বাইরের চারদিকে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। তিনি বলেন, সুন্দরবনে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় পরিবেশ দূষণকারী শিল্প কারখানা স্থাপনে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া হয় না। সুন্দরবন ইসিএ এলাকায় অবস্থিত বিদ্যমান শিল্প কারখানাগুলোর মালিক কর্তৃক পরিবেশ ও প্রতিবেশ দূষণের প্রয়োজনীয় প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, সুন্দরবনে সুন্দরী গাছের সংখ্যা কিছুটা কমতে থাকলেও গেওয়া গাছ তুলনামূলক বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৮৫ সালে সুন্দরবনের ২০ শতাংশ গাছ ছিল সুন্দরী, কিন্তু ২০১৩ সালে তা হয়েছে ১৮ শতাংশ। অপরদিকে এ সময়ে গেওয়া গাছ ৪ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।