গ্রেফতার হয়নি ধর্ষক : মামলা তুলে নিতে হুমকি

পাবনায় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন অসহায় দরিদ্র মা-বাবা। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, দীর্ঘ ২৫ দিনেও মামলার আসামি ধর্ষক শাহাদতকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অপরদিকে মামলা তুলে নিতে আসামি পক্ষের লোকজন বাদিকে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশের দাবি, আসামিকে গ্রেফতারের জন্য তৎপরতা চলছে।

শনিবার পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, চাটমোহর উপজেলার ঝপঝবিয়া গ্রামের ময়েজ উদ্দিন মোল্লার মেয়ে শরৎগঞ্জ রইজ উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী আমেনা খাতুন ওরফে মায়মুনা দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার শাহাদত হোসেনের স্ত্রী জহুরা খাতুনের কাছে আরবি পড়তো। গেল ৬ জুন সকালে প্রতিদিনের মতো আমেনা খাতুন আরবি পড়তে যায় জহুরা খাতুনের কাছে। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে জহুরা খাতুনের স্বামী শাহাদত হোসেন আমেনা খাতুনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং এ কথা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মীমাংসার আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরদিন দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শাহাদত তাদের বাড়িতে ঢুকে আবারও আমেনা খাতুনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিকেলে বাড়ি ফিরে তার মা তারা খাতুন আমেনা খাতুনকে ঘরের ধর্ণার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায়। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের মা-বাবা দাবি করে তার মেয়েকে শাহাদত গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার পর মরদেহ ঘরের বাঁশের ধর্ণার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের মা তারা খাতুন বাদী হয়ে শাহাদত হোসেনকে একমাত্র আসামি করে চাটমোহর থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আসামি শাহাদত প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না।

আমরা গরিব বলে কি কোন বিচার পাব না? মামলা তুলে নিতে আসামি পক্ষের লোকজন হুমকি দিচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত মাদ্রাসাছাত্রী আমেনা খাতুন ওরফে মায়মুনার মা-বাবা ও স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সামছুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে চাটমোহর থানার ওসি আহসান হাবিব জানান, আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি তৎপরতা চলছে।

রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৫, ২৬ শাওয়াল ১৪৪০

পাবনায় ধর্ষণের পর ছাত্রী হত্যা

গ্রেফতার হয়নি ধর্ষক : মামলা তুলে নিতে হুমকি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পাবনা

পাবনায় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন অসহায় দরিদ্র মা-বাবা। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, দীর্ঘ ২৫ দিনেও মামলার আসামি ধর্ষক শাহাদতকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অপরদিকে মামলা তুলে নিতে আসামি পক্ষের লোকজন বাদিকে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশের দাবি, আসামিকে গ্রেফতারের জন্য তৎপরতা চলছে।

শনিবার পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, চাটমোহর উপজেলার ঝপঝবিয়া গ্রামের ময়েজ উদ্দিন মোল্লার মেয়ে শরৎগঞ্জ রইজ উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী আমেনা খাতুন ওরফে মায়মুনা দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার শাহাদত হোসেনের স্ত্রী জহুরা খাতুনের কাছে আরবি পড়তো। গেল ৬ জুন সকালে প্রতিদিনের মতো আমেনা খাতুন আরবি পড়তে যায় জহুরা খাতুনের কাছে। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে জহুরা খাতুনের স্বামী শাহাদত হোসেন আমেনা খাতুনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং এ কথা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মীমাংসার আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরদিন দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শাহাদত তাদের বাড়িতে ঢুকে আবারও আমেনা খাতুনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিকেলে বাড়ি ফিরে তার মা তারা খাতুন আমেনা খাতুনকে ঘরের ধর্ণার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায়। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের মা-বাবা দাবি করে তার মেয়েকে শাহাদত গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার পর মরদেহ ঘরের বাঁশের ধর্ণার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের মা তারা খাতুন বাদী হয়ে শাহাদত হোসেনকে একমাত্র আসামি করে চাটমোহর থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আসামি শাহাদত প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না।

আমরা গরিব বলে কি কোন বিচার পাব না? মামলা তুলে নিতে আসামি পক্ষের লোকজন হুমকি দিচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত মাদ্রাসাছাত্রী আমেনা খাতুন ওরফে মায়মুনার মা-বাবা ও স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সামছুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে চাটমোহর থানার ওসি আহসান হাবিব জানান, আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি তৎপরতা চলছে।