বাংলাদেশ আর ঋণ নেবে না ঋণ দেবে

অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন করে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সংসদ সদস্যসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট এমনভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে যে, ২০২৪ সালে আমরা ‘ডাবল ডিজিট গ্রোথে (প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কে) পা রাখব। ২০২৪ সাল থেকে শুরু করে ২০৩০ সাল পর্যন্ত এ বাজেটের সুফল পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বজায় থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে আর ঋণ নেব না; ঋণ দেব ইনশাআল্লাহ। সারা বিশ্বের মানুষকে ঋণ দেব আমরা। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় (বাজেট) অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজোট বিশেষ দিক থেকে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও পরামর্শ অনুযায়ী এ বাজেট প্রণনয়ন করা হয়েছে। বাজেটে এবার নতুন নতুন উপাদান সংযোজন করা হয়েছে। বিশেষ করে এবারই প্রথম বাজেটে কোন কর না বাড়িয়ে করের আওতা সম্প্রারণের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, কেবলমাত্র দুটি খাতে স্বচ্ছতা আনা গেলে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। এর মধ্যে বন্ডেড ওয়্যার হাউজ থেকে ১ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করা যাবে। অন্য সব রাজস্ব খাত থেকেও আরও অধিক রাজস্ব আয় সম্ভব হবে।

তিনি বাজেট সম্পর্কে আরও বলেন, এবারের বাজেট কাগজপত্রে আগামী অর্থ বছরের জন্য হলেও এটা এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে, এর ধারবাহিকতা ’৪১ সাল পর্যন্ত বজায় থাকবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের (বাংলাদেশের) ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশ। মালয়েশিয়ার এর চেয়ে বেশি। ঋণের পরিমাণ হিসাব করা হয় জিডিপি দিয়ে। আমরা ঋণ নিই চায়নার কাছ থেকে। চায়নার ঋণের পরিমাণ জিডিপির ২৮৪ শতাংশ। ওরা আমাদের ঋণ দেয়। আমাদের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৩৪ শতাংশ। ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা আর ঋণ নেব না। আমরা ঋণ দেব ইনশাআল্লাহ। সারা বিশ্বের মানুষকে ঋণ দেব আমরা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কী দেখতে পাই? আমরা যদি মালয়েশিয়ার দিকে তাকাই? ৩০ বছরের মধ্যে মালয়েশিয়া চলে গেছে তাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে, কাক্সিক্ষত জায়গায়। চায়নার অবস্থা কী ছিল? চায়না সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ছিল। চায়নায় কোন খাবার ছিল না। চায়না আজ পৃথিবীর এক নম্বর দেশ। তিনি বলেন, যদি চায়না পারে, মালয়েশিয়া পারে, সাউথ কোরিয়া পারে তাহলে বাংলাদেশ অবশ্যই পারবে। আমরা গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরলস পরিশ্রম করে সবাই মিলে বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়ে এসেছি। আমরা এগোবই। এ বাজেটের টাইটেল (শিরোনাম) রাখা হয়েছে- ‘সময় এবার আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, লক্ষ্যভুক্ত সময়ের আগেই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।

রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৫, ২৬ শাওয়াল ১৪৪০

বাজেটের সুফল ২০৩০ পর্যন্ত

বাংলাদেশ আর ঋণ নেবে না ঋণ দেবে

অর্থমন্ত্রী

সংসদ বার্তা পরিবেশক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন করে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সংসদ সদস্যসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট এমনভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে যে, ২০২৪ সালে আমরা ‘ডাবল ডিজিট গ্রোথে (প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কে) পা রাখব। ২০২৪ সাল থেকে শুরু করে ২০৩০ সাল পর্যন্ত এ বাজেটের সুফল পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বজায় থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে আর ঋণ নেব না; ঋণ দেব ইনশাআল্লাহ। সারা বিশ্বের মানুষকে ঋণ দেব আমরা। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় (বাজেট) অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজোট বিশেষ দিক থেকে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও পরামর্শ অনুযায়ী এ বাজেট প্রণনয়ন করা হয়েছে। বাজেটে এবার নতুন নতুন উপাদান সংযোজন করা হয়েছে। বিশেষ করে এবারই প্রথম বাজেটে কোন কর না বাড়িয়ে করের আওতা সম্প্রারণের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, কেবলমাত্র দুটি খাতে স্বচ্ছতা আনা গেলে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। এর মধ্যে বন্ডেড ওয়্যার হাউজ থেকে ১ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করা যাবে। অন্য সব রাজস্ব খাত থেকেও আরও অধিক রাজস্ব আয় সম্ভব হবে।

তিনি বাজেট সম্পর্কে আরও বলেন, এবারের বাজেট কাগজপত্রে আগামী অর্থ বছরের জন্য হলেও এটা এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে, এর ধারবাহিকতা ’৪১ সাল পর্যন্ত বজায় থাকবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের (বাংলাদেশের) ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশ। মালয়েশিয়ার এর চেয়ে বেশি। ঋণের পরিমাণ হিসাব করা হয় জিডিপি দিয়ে। আমরা ঋণ নিই চায়নার কাছ থেকে। চায়নার ঋণের পরিমাণ জিডিপির ২৮৪ শতাংশ। ওরা আমাদের ঋণ দেয়। আমাদের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৩৪ শতাংশ। ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা আর ঋণ নেব না। আমরা ঋণ দেব ইনশাআল্লাহ। সারা বিশ্বের মানুষকে ঋণ দেব আমরা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কী দেখতে পাই? আমরা যদি মালয়েশিয়ার দিকে তাকাই? ৩০ বছরের মধ্যে মালয়েশিয়া চলে গেছে তাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে, কাক্সিক্ষত জায়গায়। চায়নার অবস্থা কী ছিল? চায়না সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ছিল। চায়নায় কোন খাবার ছিল না। চায়না আজ পৃথিবীর এক নম্বর দেশ। তিনি বলেন, যদি চায়না পারে, মালয়েশিয়া পারে, সাউথ কোরিয়া পারে তাহলে বাংলাদেশ অবশ্যই পারবে। আমরা গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরলস পরিশ্রম করে সবাই মিলে বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়ে এসেছি। আমরা এগোবই। এ বাজেটের টাইটেল (শিরোনাম) রাখা হয়েছে- ‘সময় এবার আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, লক্ষ্যভুক্ত সময়ের আগেই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।