দেশের স্বার্থ রক্ষায় ভারতকে একচুলও ছাড় দেয়া হয়নি

তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারত আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্কের মধ্য দিয়ে এগোতে হবে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে স্বার্থ আদায়ে আমরা একচুলও ছাড় দেইনি। গতকাল রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘গৌরবের অভিযাত্রায় ৭০ বছর : তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও আওয়ামী লীগ নেত্রী অধ্যাপিকা মেরিনা জাহান প্রমুখ। সেমিনার সঞ্চালনা করেন ব্যারিস্টার শাহ্ আলী ফারহাদ।

গুজব রুখতে ৫৭ ধারা

তরুণদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্বব্যাপী গুজব একটি বড় সমস্যা। স্যোশাল মিডিয়ার এ যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য প্রচারের অধিকার সবারই রয়েছে। এটা যে কারও অবারিত অধিকার। এই অবারিত অধিকার পালন করতে গিয়ে অন্যের অধিকার যেন ক্ষুণ্ন না হয় সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। ব্যক্তি হিসেবে কেউ গুজব ছড়ানোর জন্য দায়ী হলে বা তার গুজবের কারণে রাষ্ট্রের ক্ষতি হলে, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ জন্য ৫৭ ধারার একটি আইন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রের ক্ষতি হলে পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অনলাইন পত্রিকা বা কোন নিউজপেপার বন্ধ করা আমাদের কাম্য নয়। কিন্তু কোন পত্রিকা যদি গুজবের ভিত্তিতে, যাচাই-বাছাই না করে সংবাদ পরিবেশন করে এবং সেই সংবাদের কারণে যদি রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তাহলে সেই পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনলাইন পত্রিকার আবেদনের সময় বৃদ্ধি

আরেক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, অনলাইন পত্রিকার আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। ৩০ তারিখ পর্যন্ত আবেদনের সময় আছে। আগের তিন হাজার ছিল, বর্তমানে সুযোগ দেয়ায় আরও পাঁচ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। সবাই যাতে আবেদন করতে পারে এ জন্য আরও সময় বাড়ানো হবে। এরপর যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধন দেয়া হবে।

আমার সোনার বাংলা দিয়ে আ’লীগের সম্মেলন শুরু

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়েছিল ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ সংগীত দিয়ে। আওয়ামী লীগের সম্মেলন-সংগীত তখন ছিল ‘আমার সোনার বাংলা’। পরে এটা আমাদের জাতীয় সংগীত হয়।

শেখ হাসিনা বাঙালির পরিচয় বদেল দিয়েছেন

আওয়ামী লীগের পথচলায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান সম্পর্কে বলতে গিয়ে দলটির প্রচার সম্পাদক বলেন, দল হিসেবে মূল্যায়ন করলে তিনি আমাদের দলকে চার বার ক্ষমতায় এনেছেন। আর সরকার হিসেবে দেশের ক্ষেত্রে মূল্যায়ন করলে বলব- বাঙালির পরিচয় বদলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশ। বিশ্ব মিডিয়ায় আমাদের দেশকে আর অন্যতম দরিদ্র দেশ বলার সুযোগ নাই।

আরও খবর
বিবেকহীন ব্যবসায়ীদের রুখে দাঁড়ান
প্রস্তাবিত বাজেট শেখ হাসিনার উন্নয়নের দর্শন
১৯৫ পাক যুদ্ধাপরাধীর বিচারে আন্তর্জাতিক তৎপরতা চালাতে হবে
৩১০৭ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল হয়েছে
কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন হচ্ছে
ছাত্রলীগ পদবঞ্চিতদের আমরণ অনশন চলছে
সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৪ বছর উদযাপিত
ইইডিতে আড়াই হাজার জনবল নিয়োগ হচ্ছে
ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট এ বছরই
কালো টাকা সাদা করার পক্ষে রওশন এরশাদ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীসহ ২ তরুণী ধর্ষণের শিকার
বেরোবিতে একাডেমিক প্রশাসনিক কর্মকান্ডে ব্যাপক অনিয়ম
৪৮৮ কোটি ১৫ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ঘোষণা

রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৫, ২৬ শাওয়াল ১৪৪০

দেশের স্বার্থ রক্ষায় ভারতকে একচুলও ছাড় দেয়া হয়নি

তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারত আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্কের মধ্য দিয়ে এগোতে হবে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে স্বার্থ আদায়ে আমরা একচুলও ছাড় দেইনি। গতকাল রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘গৌরবের অভিযাত্রায় ৭০ বছর : তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও আওয়ামী লীগ নেত্রী অধ্যাপিকা মেরিনা জাহান প্রমুখ। সেমিনার সঞ্চালনা করেন ব্যারিস্টার শাহ্ আলী ফারহাদ।

গুজব রুখতে ৫৭ ধারা

তরুণদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্বব্যাপী গুজব একটি বড় সমস্যা। স্যোশাল মিডিয়ার এ যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য প্রচারের অধিকার সবারই রয়েছে। এটা যে কারও অবারিত অধিকার। এই অবারিত অধিকার পালন করতে গিয়ে অন্যের অধিকার যেন ক্ষুণ্ন না হয় সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। ব্যক্তি হিসেবে কেউ গুজব ছড়ানোর জন্য দায়ী হলে বা তার গুজবের কারণে রাষ্ট্রের ক্ষতি হলে, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ জন্য ৫৭ ধারার একটি আইন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রের ক্ষতি হলে পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অনলাইন পত্রিকা বা কোন নিউজপেপার বন্ধ করা আমাদের কাম্য নয়। কিন্তু কোন পত্রিকা যদি গুজবের ভিত্তিতে, যাচাই-বাছাই না করে সংবাদ পরিবেশন করে এবং সেই সংবাদের কারণে যদি রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তাহলে সেই পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনলাইন পত্রিকার আবেদনের সময় বৃদ্ধি

আরেক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, অনলাইন পত্রিকার আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। ৩০ তারিখ পর্যন্ত আবেদনের সময় আছে। আগের তিন হাজার ছিল, বর্তমানে সুযোগ দেয়ায় আরও পাঁচ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। সবাই যাতে আবেদন করতে পারে এ জন্য আরও সময় বাড়ানো হবে। এরপর যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধন দেয়া হবে।

আমার সোনার বাংলা দিয়ে আ’লীগের সম্মেলন শুরু

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়েছিল ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ সংগীত দিয়ে। আওয়ামী লীগের সম্মেলন-সংগীত তখন ছিল ‘আমার সোনার বাংলা’। পরে এটা আমাদের জাতীয় সংগীত হয়।

শেখ হাসিনা বাঙালির পরিচয় বদেল দিয়েছেন

আওয়ামী লীগের পথচলায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান সম্পর্কে বলতে গিয়ে দলটির প্রচার সম্পাদক বলেন, দল হিসেবে মূল্যায়ন করলে তিনি আমাদের দলকে চার বার ক্ষমতায় এনেছেন। আর সরকার হিসেবে দেশের ক্ষেত্রে মূল্যায়ন করলে বলব- বাঙালির পরিচয় বদলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশ। বিশ্ব মিডিয়ায় আমাদের দেশকে আর অন্যতম দরিদ্র দেশ বলার সুযোগ নাই।