সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৪ বছর উদযাপিত

জনউদ্যোগ, এইচআরডি ফোরাম, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি), ও (বিসিএইচআরডি)’র যৌথ উদ্যোগে ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৪ বছর উদযাপন উপলক্ষে ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ : আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও আদিবাসী’ বিষয়ক মুক্ত আলোচনা গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. আকমল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং আইইডি’র সহকারী সমন্বয়কারী হরেন্দ্রনাথ সিং-এর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট পরিবেশ ব্যক্তিত্ব ও শিশু কিশোর সংগঠক ডা. লেলিন চৌধুরী, আইইডি’র সমন্বয়কারী জ্যোতি চট্টোপাধ্যায়, সহযোগী সমন্বয়কারী তারিক হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মানবেন্দ্র দেব, সহকারী সমন্বয়কারী সুবোধ এম বাস্কে, বিসিএইচআরডি’র নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল হক, আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাজং, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি বিভূতি ভূষণ মাহাতো, স্কুল শিক্ষার্থী নওফেল রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে আদিবাসীদের লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস জানা, বোঝা ও অনুধাবন করা জরুরি। এটি করতে পারলে সুন্দর ও বৈচিত্র্যময় দেশ গঠন করা সম্ভব। কেমন বাংলাদেশ আগামীতে দেখতে চাই- শিক্ষার্থীদের কাছে এই প্রশ্ন উত্থাপন করে বক্তারা বলেন, সুখী, সুন্দর ও শান্তিময় দেশ গঠন করতে হলে সব জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় ও গোত্রের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করা প্রয়োজন। যেখানে অন্যায়, অত্যাচার, অনিয়ম ও নিপীড়ন চলছে সেখানেই সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ করতে হবে। এই সময় ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ’ বিষয়ক উপস্থিত বক্তৃতায় বিজয়ী দু’জন শিক্ষার্থী নওফেল রহমান ও আল নাহিয়ান আবির- ৩০ জুন উপলক্ষে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি তুলে ধরেন।

হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও অনুষ্ঠানের সভাপতি মো. আকমল হোসেন বলেন, সান্তাল হুল সম্পর্কে জানা আমাদের সবার অবশ্য পালনীয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য রাষ্ট্রীয়ভাবে বাঙালি হিসেবে এই দিবস সম্পর্কে আমাদের জানা ও বোঝার সুযোগ কম। সাঁওতাল বিদ্রোহের সূত্র ধরেই আমাদের মুক্তিসংগ্রাম। অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গড়তে হলে সাঁওতাল হুল সম্পর্কে বোঝা ও জানার পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।

এদিকে আদিবাসী সাঁওতাল ফেলোশিপ বহুমুখী সমবায় সমিতি ও উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম এর যৌথ আয়োজনে গত শুক্রবার মহান সাঁওতাল হুল শহীদদের ১৬৪তম স্মরণ সভা মিরপুরে সিএলবি কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সকালে ছিল শহীদদের উদ্দেশে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠান। দ্বিতীয় পর্বে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা এবং বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম- এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রভাত টুডুর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির সহকারী ড. তপন বাগচি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ খ্রিষ্টান বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মি. তার্সিসিউস পালমা এবং প্রভাষক ও গবেষক তানিয়া রহমান। সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মি. ফিলিপ মুরমু।

আরও খবর
বিবেকহীন ব্যবসায়ীদের রুখে দাঁড়ান
প্রস্তাবিত বাজেট শেখ হাসিনার উন্নয়নের দর্শন
১৯৫ পাক যুদ্ধাপরাধীর বিচারে আন্তর্জাতিক তৎপরতা চালাতে হবে
দেশের স্বার্থ রক্ষায় ভারতকে একচুলও ছাড় দেয়া হয়নি
৩১০৭ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল হয়েছে
কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন হচ্ছে
ছাত্রলীগ পদবঞ্চিতদের আমরণ অনশন চলছে
ইইডিতে আড়াই হাজার জনবল নিয়োগ হচ্ছে
ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট এ বছরই
কালো টাকা সাদা করার পক্ষে রওশন এরশাদ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীসহ ২ তরুণী ধর্ষণের শিকার
বেরোবিতে একাডেমিক প্রশাসনিক কর্মকান্ডে ব্যাপক অনিয়ম
৪৮৮ কোটি ১৫ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ঘোষণা

রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৫, ২৬ শাওয়াল ১৪৪০

সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৪ বছর উদযাপিত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

জনউদ্যোগ, এইচআরডি ফোরাম, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি), ও (বিসিএইচআরডি)’র যৌথ উদ্যোগে ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৪ বছর উদযাপন উপলক্ষে ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ : আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও আদিবাসী’ বিষয়ক মুক্ত আলোচনা গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. আকমল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং আইইডি’র সহকারী সমন্বয়কারী হরেন্দ্রনাথ সিং-এর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট পরিবেশ ব্যক্তিত্ব ও শিশু কিশোর সংগঠক ডা. লেলিন চৌধুরী, আইইডি’র সমন্বয়কারী জ্যোতি চট্টোপাধ্যায়, সহযোগী সমন্বয়কারী তারিক হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মানবেন্দ্র দেব, সহকারী সমন্বয়কারী সুবোধ এম বাস্কে, বিসিএইচআরডি’র নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল হক, আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাজং, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি বিভূতি ভূষণ মাহাতো, স্কুল শিক্ষার্থী নওফেল রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে আদিবাসীদের লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস জানা, বোঝা ও অনুধাবন করা জরুরি। এটি করতে পারলে সুন্দর ও বৈচিত্র্যময় দেশ গঠন করা সম্ভব। কেমন বাংলাদেশ আগামীতে দেখতে চাই- শিক্ষার্থীদের কাছে এই প্রশ্ন উত্থাপন করে বক্তারা বলেন, সুখী, সুন্দর ও শান্তিময় দেশ গঠন করতে হলে সব জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় ও গোত্রের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করা প্রয়োজন। যেখানে অন্যায়, অত্যাচার, অনিয়ম ও নিপীড়ন চলছে সেখানেই সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ করতে হবে। এই সময় ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ’ বিষয়ক উপস্থিত বক্তৃতায় বিজয়ী দু’জন শিক্ষার্থী নওফেল রহমান ও আল নাহিয়ান আবির- ৩০ জুন উপলক্ষে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি তুলে ধরেন।

হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও অনুষ্ঠানের সভাপতি মো. আকমল হোসেন বলেন, সান্তাল হুল সম্পর্কে জানা আমাদের সবার অবশ্য পালনীয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য রাষ্ট্রীয়ভাবে বাঙালি হিসেবে এই দিবস সম্পর্কে আমাদের জানা ও বোঝার সুযোগ কম। সাঁওতাল বিদ্রোহের সূত্র ধরেই আমাদের মুক্তিসংগ্রাম। অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গড়তে হলে সাঁওতাল হুল সম্পর্কে বোঝা ও জানার পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।

এদিকে আদিবাসী সাঁওতাল ফেলোশিপ বহুমুখী সমবায় সমিতি ও উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম এর যৌথ আয়োজনে গত শুক্রবার মহান সাঁওতাল হুল শহীদদের ১৬৪তম স্মরণ সভা মিরপুরে সিএলবি কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সকালে ছিল শহীদদের উদ্দেশে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠান। দ্বিতীয় পর্বে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা এবং বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম- এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রভাত টুডুর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির সহকারী ড. তপন বাগচি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ খ্রিষ্টান বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মি. তার্সিসিউস পালমা এবং প্রভাষক ও গবেষক তানিয়া রহমান। সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মি. ফিলিপ মুরমু।