জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ প্রস্তাবিত বাজেটে ‘কালো টাকা সাদা করার’ সুযোগ দেয়ার প্রস্তাবের পক্ষে মত দিয়ে বলেছেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যেক দেশেই আছে। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিলে বিত্তশালীরা বিনিয়োগ করবেন। না হলে টাকা পাচার হয়ে যাবে। এসব টাকা বিনিয়োগ হলে এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হলে কর্মসংস্থান বাড়বে। প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় (বাজেট) অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অসুস্থ থাকায় তিনি বাজেট অধিবেশনে ছিলেন না। বক্তব্যে এরশাদের জন্য সবার কাছে দোয়া চান স্ত্রী রওশন এরশাদ।
জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি করতে হলে রাজস্ব আয় ও ব্যয় খাতে ব্যাপকহারে সংস্কার করতে হবে উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৫০ লাখ টাকার টার্নওভার পর্যন্ত কর অবকাশ, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসা শুরুর মূলধন বরাদ্দ রাখার উদ্যোগ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তাদের প্রাধান্য দিতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের রেজাল্টের ওপর গুরুত্ব না দিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করার আহ্বান জানান। রওশন এরশাদ বলেন, স্বাস্থ্য খাতে জনগণের কাক্সিক্ষত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এই খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে আরও বেশি নজর দিতে হবে। ভূমি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতিরোধ করতে হবে। তিনি ই-কমার্স উৎসাহিত করতে অনলাইন কেনাকাটায় ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান।
গ্রামের বৈশিষ্ট ঠিক রেখে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সমবায়ের ভিত্তিতে জমিতে চাষাবাদ করতে পারলে কৃষক লাভবান হবে। তিনি কৃষিতে প্রণোদনা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান। কৃষককে কেন ধানক্ষেতে আগুন দিতে হলো, এ বিষয়ে তিনি খাদ্যমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর কাছে জবাব চান রওশন। বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থ নেই। বেসরকারি খাত ব্যাংক থেকে ঋণ পাচ্ছে না। অথচ বাজেটের ঘাটতি পূরণে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অর্থবছর জুলাই থেকে না করে জানুয়ারি থেকে করার পরামর্শ দেন রওশন। তিনি বলেন, যখন অর্থবছর শুরু হয় তখন ভরা বর্ষা থাকে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া উচিত। বাজেটের ইতিবাচক দিকের প্রশংসা করে রওশন এরশাদ বলেন, এর আগে কখনো সংসদ সদস্যরা এত আগ্রহ ও উৎসাহ নিয়ে বক্তব্য দেননি।
রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৫, ২৬ শাওয়াল ১৪৪০
সংসদ বার্তা পরিবেশক
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ প্রস্তাবিত বাজেটে ‘কালো টাকা সাদা করার’ সুযোগ দেয়ার প্রস্তাবের পক্ষে মত দিয়ে বলেছেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যেক দেশেই আছে। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিলে বিত্তশালীরা বিনিয়োগ করবেন। না হলে টাকা পাচার হয়ে যাবে। এসব টাকা বিনিয়োগ হলে এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হলে কর্মসংস্থান বাড়বে। প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় (বাজেট) অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অসুস্থ থাকায় তিনি বাজেট অধিবেশনে ছিলেন না। বক্তব্যে এরশাদের জন্য সবার কাছে দোয়া চান স্ত্রী রওশন এরশাদ।
জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি করতে হলে রাজস্ব আয় ও ব্যয় খাতে ব্যাপকহারে সংস্কার করতে হবে উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৫০ লাখ টাকার টার্নওভার পর্যন্ত কর অবকাশ, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসা শুরুর মূলধন বরাদ্দ রাখার উদ্যোগ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তাদের প্রাধান্য দিতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের রেজাল্টের ওপর গুরুত্ব না দিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করার আহ্বান জানান। রওশন এরশাদ বলেন, স্বাস্থ্য খাতে জনগণের কাক্সিক্ষত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এই খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে আরও বেশি নজর দিতে হবে। ভূমি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতিরোধ করতে হবে। তিনি ই-কমার্স উৎসাহিত করতে অনলাইন কেনাকাটায় ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান।
গ্রামের বৈশিষ্ট ঠিক রেখে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সমবায়ের ভিত্তিতে জমিতে চাষাবাদ করতে পারলে কৃষক লাভবান হবে। তিনি কৃষিতে প্রণোদনা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান। কৃষককে কেন ধানক্ষেতে আগুন দিতে হলো, এ বিষয়ে তিনি খাদ্যমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর কাছে জবাব চান রওশন। বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থ নেই। বেসরকারি খাত ব্যাংক থেকে ঋণ পাচ্ছে না। অথচ বাজেটের ঘাটতি পূরণে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অর্থবছর জুলাই থেকে না করে জানুয়ারি থেকে করার পরামর্শ দেন রওশন। তিনি বলেন, যখন অর্থবছর শুরু হয় তখন ভরা বর্ষা থাকে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া উচিত। বাজেটের ইতিবাচক দিকের প্রশংসা করে রওশন এরশাদ বলেন, এর আগে কখনো সংসদ সদস্যরা এত আগ্রহ ও উৎসাহ নিয়ে বক্তব্য দেননি।