বেরোবিতে একাডেমিক প্রশাসনিক কর্মকান্ডে ব্যাপক অনিয়ম

ইউজিসির প্রতিবেদন

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডে ব্যাপক অনিয়ম, সরকারি অর্থের অপব্যবহার, অগ্রিম উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা অপচয়সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে ইউজিসি। তারা ১০ ধরনের অনিয়মের অভিযোগ সম্বলিত প্রতিবেদন প্রদান করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের সংশোধিত এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরের মূল বাজেটের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষাকালে এসব অনিয়ম ধরা পড়ে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক রেজাউল করিম হাওলাদার অতিসম্প্রতি এ প্রতিবেদন প্রদান করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ব্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে অগ্রিম নিয়ে করা হয় এবং অগ্রিম নেয়া অর্থ খরচ করার পূর্বেই খাতভিত্তিক ব্যায় দেখানো হয়। ফলে খাতের সঠিক তথ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা কালে পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। শুধু তাই নয় এসব অগ্রিম অর্থ উত্তোলনের কোন রেজিস্টার নেই। সে কারণে অগ্রিম অর্থ নেবার জন্য আলাদা রেজিস্টার ও যথা সময়ে অগ্রিম নেয়া অর্থ সমন্বয় করার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও হিসাব দফতরের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যেকোন অনুষ্ঠান কিংবা কাজের জন্য তথাকথিত কমিটির নামে অগ্রিম অর্থ উত্তোলন করে বাহুল্য ব্যায় দেখানো হয়। গত দু’বছরে শুধু মাত্র অগ্রিম অর্থ উত্তোলনের নামে কয়েক কোটি টাকা নয়-ছয় করার অভিযোগ রয়েছে। অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করার পর প্রয়োজনীয় ভাউচার দেয়ার নামে জোড়াতালি দিয়ে বিষয়টি সমন্বয় করা হয়। সূত্র আরও জানিয়েছে, উপাচার্যের কাছের কয়েকজন শিক্ষক কর্মকর্তা বেশিরভাগ অর্থ অগ্রিম হিসেবে উত্তোলন করেছেন। এসব অগ্রিম অর্থ উত্তোলনের বিষয়টি তদন্ত করলে দায়ীদের মুখোশ উন্মোচিত হবে বলে জানালেন তারা।

এ ছাড়াও প্রতিবেদনে আরও বলা হয় ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই ঢাকাস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের লিয়াজো অফিসে নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের ফাউন্ডেশন কোর্স করার নামে সরকারি অর্থের অপচয় করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে এ ধরনের অনুমোদনহীন ফাউন্ডেশন কোর্স পরিচালনা বন্ধ করার কথা বলা হয়।

প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবধরনের সভা ঢাকাস্থ লিয়াজোঁ অফিসে করার ব্যাপারে সমালোচনা করে বলা হয় এতে করে অতিরিক্ত ডিএ টিএ ব্যায় হচ্ছে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সর্বাধুনিক সিন্ডিকেট সভা করার জন্য অডিটরিয়াম থাকলেও বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ ঢাকাতেই সিন্ডিকেট সভা করেন এবং সবধরনের কর্মকান্ড সেখানেই করা হয়। এতে করে বিমানে করে কর্মকর্তারা ঢাকায় যাতায়াত করেন এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয় করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একক বিদ্যুৎ মিটার থাকার সমালোচনা করে বলা হয় আলাদা আলাদা মিটারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ নিলে অনেক টাকা সাশ্রয় করা যেত। সেই সঙ্গে প্রশিক্ষণ ভাতা দুই হাজার টাকা করে গ্রহণ করার ব্যাপারে আপত্তি উত্থাপন করে বলা হয় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ভাতা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়।

প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসনে বসবাসকারী শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কাছ থেকে বিধি বহির্ভূতভাবে নিদৃষ্ট হারে বাড়ি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু এতে সরকারি নিয়ম মানা হচ্ছে না। এ খাতে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের মূল বাজেটে দুই কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ না রাখার বিষয় উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে ১০ জন অধ্যাপকের মধ্যে ৭ জন দায়িত্ব ভাতা বাবদ ৪ হাজার ২শ’ ৮৬ টাকা হারে সহকারী অধ্যাপক ১০৩ জনের মধ্যে ৪৭ জন মাসিক ৩ হাজার ১শ’ ৬ টাকা হারে দায়িত্ব ভাতা নিচ্ছেন বলে উল্লেখ করে বলা হয়, দায়িত্ব ভাতা গ্রহণের এ হার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক বেশি। তাই এই অর্থ কমানোর কথা বলা হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন কোর্স থেকে আয়ের শতকরা ৪০ ভাগ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়ের সঙ্গে সমন্বয় করার কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাজেটারি কন্ট্রোল রেজিস্টার, ক্যাশ বুক ও লেজার সংরক্ষণের বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলা হয়েছে একই রেজিস্টারে দুই বছরের হিসাব লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। যেকোন বিলের প্রস্তাব অনুমোদন হওয়ার পূর্বেই বাজেটারি কন্ট্রোল রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়। তবে বাজেটারি কন্ট্রোল রেজিস্টারের সঙ্গে চূড়ান্ত বিলের কোন মিল পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব দফতরের একাধিক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানিয়েছেন, এখানে কোন নিয়ম-নীতি মানা হয় না। যিনি মূল ব্যক্তি তিনি নিজেই আইন মানেন না, তাহলে চলবে কীভাবে?

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহর সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরও খবর
বিবেকহীন ব্যবসায়ীদের রুখে দাঁড়ান
প্রস্তাবিত বাজেট শেখ হাসিনার উন্নয়নের দর্শন
১৯৫ পাক যুদ্ধাপরাধীর বিচারে আন্তর্জাতিক তৎপরতা চালাতে হবে
দেশের স্বার্থ রক্ষায় ভারতকে একচুলও ছাড় দেয়া হয়নি
৩১০৭ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল হয়েছে
কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন হচ্ছে
ছাত্রলীগ পদবঞ্চিতদের আমরণ অনশন চলছে
সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৪ বছর উদযাপিত
ইইডিতে আড়াই হাজার জনবল নিয়োগ হচ্ছে
ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট এ বছরই
কালো টাকা সাদা করার পক্ষে রওশন এরশাদ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীসহ ২ তরুণী ধর্ষণের শিকার
৪৮৮ কোটি ১৫ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ঘোষণা

রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৫, ২৬ শাওয়াল ১৪৪০

বেরোবিতে একাডেমিক প্রশাসনিক কর্মকান্ডে ব্যাপক অনিয়ম

ইউজিসির প্রতিবেদন

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডে ব্যাপক অনিয়ম, সরকারি অর্থের অপব্যবহার, অগ্রিম উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা অপচয়সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে ইউজিসি। তারা ১০ ধরনের অনিয়মের অভিযোগ সম্বলিত প্রতিবেদন প্রদান করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের সংশোধিত এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরের মূল বাজেটের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষাকালে এসব অনিয়ম ধরা পড়ে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক রেজাউল করিম হাওলাদার অতিসম্প্রতি এ প্রতিবেদন প্রদান করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ব্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে অগ্রিম নিয়ে করা হয় এবং অগ্রিম নেয়া অর্থ খরচ করার পূর্বেই খাতভিত্তিক ব্যায় দেখানো হয়। ফলে খাতের সঠিক তথ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা কালে পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। শুধু তাই নয় এসব অগ্রিম অর্থ উত্তোলনের কোন রেজিস্টার নেই। সে কারণে অগ্রিম অর্থ নেবার জন্য আলাদা রেজিস্টার ও যথা সময়ে অগ্রিম নেয়া অর্থ সমন্বয় করার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও হিসাব দফতরের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যেকোন অনুষ্ঠান কিংবা কাজের জন্য তথাকথিত কমিটির নামে অগ্রিম অর্থ উত্তোলন করে বাহুল্য ব্যায় দেখানো হয়। গত দু’বছরে শুধু মাত্র অগ্রিম অর্থ উত্তোলনের নামে কয়েক কোটি টাকা নয়-ছয় করার অভিযোগ রয়েছে। অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করার পর প্রয়োজনীয় ভাউচার দেয়ার নামে জোড়াতালি দিয়ে বিষয়টি সমন্বয় করা হয়। সূত্র আরও জানিয়েছে, উপাচার্যের কাছের কয়েকজন শিক্ষক কর্মকর্তা বেশিরভাগ অর্থ অগ্রিম হিসেবে উত্তোলন করেছেন। এসব অগ্রিম অর্থ উত্তোলনের বিষয়টি তদন্ত করলে দায়ীদের মুখোশ উন্মোচিত হবে বলে জানালেন তারা।

এ ছাড়াও প্রতিবেদনে আরও বলা হয় ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই ঢাকাস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের লিয়াজো অফিসে নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের ফাউন্ডেশন কোর্স করার নামে সরকারি অর্থের অপচয় করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে এ ধরনের অনুমোদনহীন ফাউন্ডেশন কোর্স পরিচালনা বন্ধ করার কথা বলা হয়।

প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবধরনের সভা ঢাকাস্থ লিয়াজোঁ অফিসে করার ব্যাপারে সমালোচনা করে বলা হয় এতে করে অতিরিক্ত ডিএ টিএ ব্যায় হচ্ছে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সর্বাধুনিক সিন্ডিকেট সভা করার জন্য অডিটরিয়াম থাকলেও বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ ঢাকাতেই সিন্ডিকেট সভা করেন এবং সবধরনের কর্মকান্ড সেখানেই করা হয়। এতে করে বিমানে করে কর্মকর্তারা ঢাকায় যাতায়াত করেন এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয় করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একক বিদ্যুৎ মিটার থাকার সমালোচনা করে বলা হয় আলাদা আলাদা মিটারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ নিলে অনেক টাকা সাশ্রয় করা যেত। সেই সঙ্গে প্রশিক্ষণ ভাতা দুই হাজার টাকা করে গ্রহণ করার ব্যাপারে আপত্তি উত্থাপন করে বলা হয় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ভাতা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়।

প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসনে বসবাসকারী শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কাছ থেকে বিধি বহির্ভূতভাবে নিদৃষ্ট হারে বাড়ি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু এতে সরকারি নিয়ম মানা হচ্ছে না। এ খাতে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের মূল বাজেটে দুই কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ না রাখার বিষয় উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে ১০ জন অধ্যাপকের মধ্যে ৭ জন দায়িত্ব ভাতা বাবদ ৪ হাজার ২শ’ ৮৬ টাকা হারে সহকারী অধ্যাপক ১০৩ জনের মধ্যে ৪৭ জন মাসিক ৩ হাজার ১শ’ ৬ টাকা হারে দায়িত্ব ভাতা নিচ্ছেন বলে উল্লেখ করে বলা হয়, দায়িত্ব ভাতা গ্রহণের এ হার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক বেশি। তাই এই অর্থ কমানোর কথা বলা হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন কোর্স থেকে আয়ের শতকরা ৪০ ভাগ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়ের সঙ্গে সমন্বয় করার কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাজেটারি কন্ট্রোল রেজিস্টার, ক্যাশ বুক ও লেজার সংরক্ষণের বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলা হয়েছে একই রেজিস্টারে দুই বছরের হিসাব লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। যেকোন বিলের প্রস্তাব অনুমোদন হওয়ার পূর্বেই বাজেটারি কন্ট্রোল রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়। তবে বাজেটারি কন্ট্রোল রেজিস্টারের সঙ্গে চূড়ান্ত বিলের কোন মিল পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব দফতরের একাধিক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানিয়েছেন, এখানে কোন নিয়ম-নীতি মানা হয় না। যিনি মূল ব্যক্তি তিনি নিজেই আইন মানেন না, তাহলে চলবে কীভাবে?

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহর সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।