আগামী অর্থবছরের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাজেট ঘোষণা করেছেন। গতকাল দুপুরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রস্তাবিত পরিচালনা ও উন্নয়ন বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এ বাজেট ঘোষণা করেন। এ সময় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেটে ৫২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৩৫৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১৭৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা, বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আয় থেকে ৪০ কোটি টাকা এবং ঘাটতি ১৫৫ কোটি ২ লাখ টাকা। বাজেটে বেতন ১৪০ কোটি ৫৪ লাখ ৫৪ (২৬ দশমিক ৬০ শতাংশ) লাখ টাকা, ভাতা ১২১ কোটি ৩০ লাখ (২২ দশমিক ৯৬ শতাংশ), পণ্য ও সেবা (অন্যান্য) ৪৯ কোটি ১৭ লাখ (৯ দশমিক ৩১ শতাংশ), পেনশন মঞ্জুরি ২৭ কোটি ৪৮ লাখ (৫ দশমিক ২০ শতাংশ), গবেষণা মঞ্জুরি ১০ কোটি ৫০ লাখ (১ দশমিক ৯৯ শতাংশ), প্রশিক্ষণ ব্যয় ১ কোটি ৩০ লাখ (০ দশমিক ২৪ শতাংশ), দৈনিকভিত্তিক কর্মচারী মজুরি ১৯ কোটি ২৫ লাখ (৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ), নিরাপত্তা প্রহরী (আনসার) ৫ কোটি ৬৮ লাখ (১ দশমিক ০৭ শতাংশ), রেসিডেন্সিদের সম্মানিত ৩৬ কোটি ৭০ লাখ (৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ), পূর্ত ও সরক্ষণ ১০ কোটি ৯১ লাখ (২ দশমিক ০৬ শতাংশ), আসবাবপত্র ৪ কোটি ৪০ লাখ (০ দশমিক ৮৩ শতাংশ), এমএসআর ৯৫ কোটি (১৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ) ও বিশেষ অনুদান (মূলধন) অন্যান্য ৬ কোটি ৭ লাখ (১ দশমিক ১৫ শতাংশ)।
৫২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২১০ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে ১২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা অনুদান পাওয়া গেছে এবং নিজস্ব আয় থেকে ব্যয়নির্বাহের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। এর ফলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১৫৫ কোটি ২ লাখ (২৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ) টাকা। এই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোত্তম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
গবেষণা বাজেট : ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গবেষণা খাতে ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। চলতি অর্থবছরে গবেষণা বাবদ ১০ কোটি ৫০ লাখ বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ৬ কোটি।
উন্নয়ন বাজেট : উন্নয়ন বাজেট হিসেবে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণকল্পে এক্সিম ব্যাংক অব কোরিয়ার সহায়তায় ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয়ে ১ হাজার বেডের হাসপাতাল নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। ইলেকট্রনিক ডাটা ট্রাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি প্রকল্পের জন্য ২০ কোটি ৩২ লাখ। মামনি হেলথ সিস্টেম স্ট্রেনদিং প্রকল্পের জন্য ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, রিজিওনাল রোমিং টিএম অ্যান্ড নিউবর্ন নলেজ সেলের জন্য ১ কোটি ১২ লাখ টাকা, স্ট্রেনদিং অ্যান্ড এক্সপানশন অব নিউবর্ন বার্থ ডিফেক্ট (এনবিবিডি) সার্ভিল্যান্স ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের জন্য ২০ লাখ টাকা, বিল্ডিং এ কমপেশনেট কমিউনিটি অব বাংলাদেশ ওয়ার্কিং ওয়ার্ডস ইউনিভারসেল হেলথ কভারেজের জন্য ১ কোটি ২১ লাখ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আওতায় ‘ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) প্রকল্পে ৭১ লাখ টাকা এবং সাপোর্টিং কমপেশনেট কমিউনিটি প্যালিয়েটিভ কেয়ার কমিউনিটিস ফর চিলড্রেন ইন এন আরবান স্লাম ইন ঢাকা, বাংলাদেশের জন্য ১২ লাখ টাকা প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে।
রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৫, ২৬ শাওয়াল ১৪৪০
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
আগামী অর্থবছরের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাজেট ঘোষণা করেছেন। গতকাল দুপুরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রস্তাবিত পরিচালনা ও উন্নয়ন বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এ বাজেট ঘোষণা করেন। এ সময় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেটে ৫২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৩৫৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১৭৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা, বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আয় থেকে ৪০ কোটি টাকা এবং ঘাটতি ১৫৫ কোটি ২ লাখ টাকা। বাজেটে বেতন ১৪০ কোটি ৫৪ লাখ ৫৪ (২৬ দশমিক ৬০ শতাংশ) লাখ টাকা, ভাতা ১২১ কোটি ৩০ লাখ (২২ দশমিক ৯৬ শতাংশ), পণ্য ও সেবা (অন্যান্য) ৪৯ কোটি ১৭ লাখ (৯ দশমিক ৩১ শতাংশ), পেনশন মঞ্জুরি ২৭ কোটি ৪৮ লাখ (৫ দশমিক ২০ শতাংশ), গবেষণা মঞ্জুরি ১০ কোটি ৫০ লাখ (১ দশমিক ৯৯ শতাংশ), প্রশিক্ষণ ব্যয় ১ কোটি ৩০ লাখ (০ দশমিক ২৪ শতাংশ), দৈনিকভিত্তিক কর্মচারী মজুরি ১৯ কোটি ২৫ লাখ (৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ), নিরাপত্তা প্রহরী (আনসার) ৫ কোটি ৬৮ লাখ (১ দশমিক ০৭ শতাংশ), রেসিডেন্সিদের সম্মানিত ৩৬ কোটি ৭০ লাখ (৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ), পূর্ত ও সরক্ষণ ১০ কোটি ৯১ লাখ (২ দশমিক ০৬ শতাংশ), আসবাবপত্র ৪ কোটি ৪০ লাখ (০ দশমিক ৮৩ শতাংশ), এমএসআর ৯৫ কোটি (১৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ) ও বিশেষ অনুদান (মূলধন) অন্যান্য ৬ কোটি ৭ লাখ (১ দশমিক ১৫ শতাংশ)।
৫২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২১০ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে ১২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা অনুদান পাওয়া গেছে এবং নিজস্ব আয় থেকে ব্যয়নির্বাহের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। এর ফলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১৫৫ কোটি ২ লাখ (২৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ) টাকা। এই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোত্তম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
গবেষণা বাজেট : ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গবেষণা খাতে ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। চলতি অর্থবছরে গবেষণা বাবদ ১০ কোটি ৫০ লাখ বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ৬ কোটি।
উন্নয়ন বাজেট : উন্নয়ন বাজেট হিসেবে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণকল্পে এক্সিম ব্যাংক অব কোরিয়ার সহায়তায় ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয়ে ১ হাজার বেডের হাসপাতাল নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। ইলেকট্রনিক ডাটা ট্রাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি প্রকল্পের জন্য ২০ কোটি ৩২ লাখ। মামনি হেলথ সিস্টেম স্ট্রেনদিং প্রকল্পের জন্য ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, রিজিওনাল রোমিং টিএম অ্যান্ড নিউবর্ন নলেজ সেলের জন্য ১ কোটি ১২ লাখ টাকা, স্ট্রেনদিং অ্যান্ড এক্সপানশন অব নিউবর্ন বার্থ ডিফেক্ট (এনবিবিডি) সার্ভিল্যান্স ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের জন্য ২০ লাখ টাকা, বিল্ডিং এ কমপেশনেট কমিউনিটি অব বাংলাদেশ ওয়ার্কিং ওয়ার্ডস ইউনিভারসেল হেলথ কভারেজের জন্য ১ কোটি ২১ লাখ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আওতায় ‘ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) প্রকল্পে ৭১ লাখ টাকা এবং সাপোর্টিং কমপেশনেট কমিউনিটি প্যালিয়েটিভ কেয়ার কমিউনিটিস ফর চিলড্রেন ইন এন আরবান স্লাম ইন ঢাকা, বাংলাদেশের জন্য ১২ লাখ টাকা প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে।