‘সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের তাগিদ’

রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত রেশম উৎসবে রেশম শিল্পের উন্নয়নের পথে সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত সকলকে একত্রে কাজ করে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার তাগিদ দেয়া হয়েছে। গত শনিবার বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত রাজশাহী রেশম কারখানা চত্ব¡রে অনুষ্ঠিত রেশম উৎসবে অতিথিবৃন্দ এ কথা বলেন।

রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহা পরিদর্শক, একে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম (বার) বলেন, রেশম শিল্পের উন্নয়নে এর সমস্যা সমূহ চিহ্নিত করতে হবে। রেশম শিল্পের সকলস্তরে সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সঠিক লক্ষ্য ও পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে এর উত্তরোত্তর উন্নয়ন ঘটাতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, রেশম শিল্পের উন্নয়নের জন্য সকলকে এক সুতোয় থাকতে হবে। এজন্য সকল স্টেকহোল্ডারদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শুধুমাত্র সিল্ক ব্রান্ডিং পেলেই হবে না, সকলকে এ শিল্পের উন্নতির জন্য কাজ করে যেতে হবে। রেশম চাষ করলে লাভ হবে বিষয়টি সকলকে বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ের সকলকে জানাতে হবে। বিশ^ বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পণ্য উৎপাদন করতে হবে। উৎসবে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আবদুল হাকিম। স্বাগত বক্তব্যে তিনি রেশম উৎসব আয়োজনের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তিনি চীন ও ভারতের প্রযুক্তি এবং তাদের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে এ শিল্পকে পূর্বের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তিনি রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সকল জেলায় এ শিল্পের সম্প্রসারণের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি রেশম চাষিদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আনয়ন, পাট পণ্যের ন্যায় রেশম পণ্যে ভ্যাট মুক্তকরণসহ রেশম চাষিদের ভর্তুকি দেয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে ভারতের দুইজন বিশেষজ্ঞ কে কে শেঠী এবং বাবু গিরিধরণ কে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কে কে শেঠী বাংলাদেশে রেশম শিল্পের সমস্যা ও উন্নয়নের বিষয়ে বক্তব্য দেন। তিনি তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, ভারতের মালদা জেলার ন্যায় বাংলাদেশেও রেশম শিল্পের উন্নয়ন করা সম্ভব। বিশেষ অতিথিবৃন্দ রেশম স্টল পরিদর্শন করেন। সেখানে তারা রেশম চাষিদের উৎপাদিত গুটি থেকে রাজশাহী রেশম কারখানায় উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের খাঁটি রেশম কাপড় দেখেন। অনুষ্ঠানে গম্ভীরা, কবিগান এবং আলকাপ এর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রেশম শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী, বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যবসায়ীবৃন্দ, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর
খাল দখলে সংকটাপন্ন নৌপথ
শেরপুরে প্রতিপক্ষের গুলিতে দুই ছাত্রলীগ কর্মী আহত
মির্জাপুরে গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তির পরিচয় মেলেনি আড়াই মাসেও
এদেশের মানবসম্পদে অর্থনীতির ভিত দৃঢ় করা সম্ভব
চাকরির কথা বলে ওমানে যৌনদাস হিসেবে বিক্রি : আদালতে মামলা
বাগেরহাটে পুলিশি বাঁধায় যুবদলের সমাবেশ পন্ড
ঝিনাইগাতী সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
মাছের পেটায় সচ্ছল হাজারো নারী শ্রমিক
শিবচরে ২ বাড়িতে ডাকাতি : বন্দুক লুট, আহত ১
শিবালয়ে শ্বশুর বাড়িতে জামাতার রহস্য মৃত্যু
কেশবপুর পৌরসভায় ৩ বছরে উন্নয়ন ব্যয় সাড়ে ৩৫ কোটি
সৈয়দপুরে বাল্যবিয়ে বর দন্ডিত
কটিয়াদীতে মেছো বাঘ উদ্ধার
চট্টগ্রামে দুজনের মৃত্যু
ধামরাইয়ে ৪শ’বর্ষী রথযাত্রা উৎসব ২৬ দিনব্যাপী
সোনারগাঁয়ে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ
বাঁশখালীতে ছিনতাইকারী মাদক বিক্রেতা ধৃত

সোমবার, ০১ জুলাই ২০১৯ , ১৭ আষাঢ় ১৪২৫, ২৭ শাওয়াল ১৪৪০

রাজশাহীতে রেশম উৎসব

‘সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের তাগিদ’

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত রেশম উৎসবে রেশম শিল্পের উন্নয়নের পথে সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত সকলকে একত্রে কাজ করে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার তাগিদ দেয়া হয়েছে। গত শনিবার বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত রাজশাহী রেশম কারখানা চত্ব¡রে অনুষ্ঠিত রেশম উৎসবে অতিথিবৃন্দ এ কথা বলেন।

রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহা পরিদর্শক, একে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম (বার) বলেন, রেশম শিল্পের উন্নয়নে এর সমস্যা সমূহ চিহ্নিত করতে হবে। রেশম শিল্পের সকলস্তরে সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সঠিক লক্ষ্য ও পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে এর উত্তরোত্তর উন্নয়ন ঘটাতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, রেশম শিল্পের উন্নয়নের জন্য সকলকে এক সুতোয় থাকতে হবে। এজন্য সকল স্টেকহোল্ডারদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শুধুমাত্র সিল্ক ব্রান্ডিং পেলেই হবে না, সকলকে এ শিল্পের উন্নতির জন্য কাজ করে যেতে হবে। রেশম চাষ করলে লাভ হবে বিষয়টি সকলকে বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ের সকলকে জানাতে হবে। বিশ^ বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পণ্য উৎপাদন করতে হবে। উৎসবে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আবদুল হাকিম। স্বাগত বক্তব্যে তিনি রেশম উৎসব আয়োজনের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তিনি চীন ও ভারতের প্রযুক্তি এবং তাদের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে এ শিল্পকে পূর্বের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তিনি রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সকল জেলায় এ শিল্পের সম্প্রসারণের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি রেশম চাষিদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আনয়ন, পাট পণ্যের ন্যায় রেশম পণ্যে ভ্যাট মুক্তকরণসহ রেশম চাষিদের ভর্তুকি দেয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে ভারতের দুইজন বিশেষজ্ঞ কে কে শেঠী এবং বাবু গিরিধরণ কে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কে কে শেঠী বাংলাদেশে রেশম শিল্পের সমস্যা ও উন্নয়নের বিষয়ে বক্তব্য দেন। তিনি তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, ভারতের মালদা জেলার ন্যায় বাংলাদেশেও রেশম শিল্পের উন্নয়ন করা সম্ভব। বিশেষ অতিথিবৃন্দ রেশম স্টল পরিদর্শন করেন। সেখানে তারা রেশম চাষিদের উৎপাদিত গুটি থেকে রাজশাহী রেশম কারখানায় উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের খাঁটি রেশম কাপড় দেখেন। অনুষ্ঠানে গম্ভীরা, কবিগান এবং আলকাপ এর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রেশম শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী, বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যবসায়ীবৃন্দ, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।